somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ আবগারি শুল্ক

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবগারি শুল্ক দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত দ্রব্যের ওপর আরোপিত কর। পরিভাষা হিসেবে ‘আবগারি কর’ ‘আবগারি শুল্ক’ অপেক্ষা ব্যাপকতর অর্থ বহন করে এবং এর মধ্যে দ্রব্য বা সেবার উৎপাদন, বিক্রয়, বা ক্রয়ের ওপর আরোপিত কর অন্তর্ভুক্ত। তাত্ত্বিকভাবে, ‘আবগারি কর’ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও আমদানির ওপর সমভাবে প্রযোজ্য হলেও বাস্তবে তা শুধু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ওপর আরোপ করা হয়। আবগারি শুল্ক সরকারি রাজস্ব সংগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, আবার এটি আয়ের পুনর্বণ্টনের উদ্দেশ্যেও ব্যবহূত হতে পারে। করারোপের সুবিধার নীতি প্রয়োগের জন্যও আবগারি শুল্ককে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন, কোনো বিশেষ দ্রব্যের (যথা, তামাকের) ওপর আবগারি শুল্ক সংগ্রহ করে উক্ত তহবিল ওই দ্রব্যের ভোগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আবগারি শুল্ক তথাকথিত অনভিপ্রেত দ্রব্যাদির (যেমন, মদ ও তামাকের) ভোগকে নিরুৎসাহিত করতে আরোপ করা হয়। কখনও বা (যেমন যুদ্ধের সময়) কোনো কোনো দ্রব্যের দুষ্প্রাপ্যতা বা মূদ্রাস্ফীতির চাপে উক্ত দ্রব্যের ব্যবহার/ভোগ নিয়ন্ত্রণ বা হ্রাসের জন্য আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়। আবগারি শুল্ক মূল্যভিত্তিতে অথবা পরিমাণভিত্তিতে নির্ণয় করা হয়। সূত্রঃ বাংলাপিডিয়া।
ব্যাংক তাদের গ্রাহকের আমানতের ওপর যেটুকু মুনাফা দেয় তা রীতিমত অন্যায়, তার ওপর প্রতিমাসে চার্জ ও বিবিধ উপায়ে তাদের ঘুণপোকার মতন চার্জের আঁচড় তো বাড়তি উৎপাত। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ব্যাংক পরিচালনা তো পুরোটাই ফাকাবুলি, যার ষোল আনাই মিছে। ব্যাংকের কাজ হল অর্থের বাজারে তথা Money Market এ কিন্তু তারা সর্দারি করে Capital Market তথা পুঁজি বাজারে। হুম আপনি বলতে পারেন এদেশে তো অর্থের বাজার নেই কিন্তু এত এত নতুন কিছু ঘটছে কত নতুন কিছুর সূত্রপাত হচ্ছে সেখানে একটা অর্থ বাজার তৈরি করাটা কি খুবই কঠিন পদক্ষেপ? ব্যাংকের উচিৎ মূলত আমানতের অবচয়জনিত ক্ষতি পূরণ টুকু তার গ্রাহকদের প্রদান করা কিন্তু অর্থের আবার অবচয় কি? অর্থের তো যত যোগান ততই মুনাফা, সাধারন মানুষের সাথে এই অজ্ঞতার খেলাটাই ব্যাংক গোষ্ঠী খেলে থাকে, এই যেমন আমাদের দেশে বিনিয়োগ বান্ধব কোন পরিবেশ নেই আবার যেমন ধরুন আপনার সঞ্চিত অর্থ নিজের হেফাজতে রাখাও নিরাপদ নয় যদিনা আপনি অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন কারীদের একজন হন। কারণ তাদের হিসেব আলাদা তারা অবৈধ অর্থ পাচার করে দেন নতুবা অন্য উপায়ে সংরক্ষণ করেন। তাহলে একবার ভেবে দেখুন আপনার কষ্টার্জিত সঞ্চিত অর্থ আপনি ব্যবহার করছেন না, সেটা ব্যাবহার করছে ব্যাংক, সেই অর্থকে পুঁজি করে মুনাফা অর্জন করছে ব্যাংক আবার দিনের পর দিন আপনি হাসি মুখে পরম নিশ্চিন্তে তাদের হাতে অর্থ তুলে দিচ্ছেন! ব্যাংক দিনের পর দিন এইভাবে " পরের ধনে পোদ্দারি" করেই চলেছে কারণ তাদের কে কি বলবে, তারা তো অতীব ক্ষমতাশালী। অধিকাংশ Group of Industries এর নিজস্ব একটি ব্যাংক থাকে, সরকার দলীয় এবং একই সাথে বিরোধীদলীয় হোমরা চমরা নেতৃবৃন্দের ব্যাংকিং ব্যবসায়ে একটি বড় আঁতাত রয়েছে। তারা নিশ্চয় নিজেদের মধ্যে আমানত কারীদের অর্থ গ্রহনের পর পারস্পরিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করে- " চল ভাগ কইরা খাই আধা আধা কইরা"
আমানতকারির কাছ থেকে ব্যাংক ঋণ নেয় Single Digit এ কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দের ঋণ দেয় Double Digit এ! আমার তো মনে হয় কিছু দিন পর ব্যাংকওয়ালারা আমানত কারীদের চোখ রাঙিয়ে বলবেন আমানতের আবার মুনাফা কি? তাদের বিলাসবহুল শাখার প্রস্তুতির সব ব্যয় কিন্তু আমানতকারীদের পকেট কেটেই হয়।
সরকারি ব্যাংকের কথা তো আলোচনারই বাইরে,সরকারি ব্যাংক সমূহ ঋণ খেলাপি দের খুঁজে খুঁজে ঋণ দেবে আর সরকার তাদের ভর্তুকি দেবে সেটাই তো নিয়ম! Bangladesh Bank তথা সকল ব্যাংকের অভিভাবকেরই যেখানে কথার কোন ঠিক নেই, বিশাল বড় Cyber চুরির পরও তাদের তদন্ত প্রতিবেদন ফাঁস করতে মানা, পাছে কেঁচো খুঁড়তে সাপ না বেরিয়ে যায়। সেখানে সরকারি ব্যাংকের আর কি দোষ বলুন।
আবগারি শুল্ক আগেও ছিল এখন নতুন করে আলোচ্য কারণ এর হার বেড়েছে। সরকার সাধারন মানুষকে ব্যাংক বিমুখ করতে চাইছে কিন্তু বিকল্প পথ যদি না থাকে তখন তো বিপদ। সঞ্চয় পত্রের মুনাফা কমিয়ে একটা বাড়তি খরচ নাহয় সরকারের কমবে কিন্তু ব্যাংক বিমুখতার বিকল্প রাস্তা তো সরকারকেই তৈরি করতে হবে তুঘলকি আমলে সিদ্ধান্ত গুলো কিন্তু যারপরনাই ভালই ছিল কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত সমূহের প্রধান সমস্যা ছিল- সঠিক সময়ের অনেক আগেই সিদ্ধান্ত গুলোর বাস্তবায়ন হয়েছিলো। জনগনের অলস অর্থ কাজে লাগিয়ে বহু চুরি চামারির পরও সরকার হয়তো অনেক কিছুই করতে পারত কিন্তু এইভাবে চাপের মুখে বিকল্প রাস্তা না দেখিয়ে জনসাধারণকে খেপিয়ে তো নিজের পায়ে সরকার নিজেই কুড়ল মারছেন। আমার অর্থনীতির ক্ষুদ্রতম জ্ঞান যা বলে ব্যাঙ্কে অর্থ না রেখেও আমানতকারিদের অর্থ সরকার অন্য ভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে পারেন বিভিন্ন উপায়, প্রক্রিয়া ও সুযোগ সরকারেরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতেই রয়েছে দরকার শুধু স্বদিচ্ছার, সৎ প্রচেষ্টার।
জনৈক আঁতেল পাবলিক যে হুদাই প্যাঁচাল পাড়ে।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×