নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী, খাল, পুকুর, দিঘী, জলাশয় সারা দেশে জালের মত ছড়িয়ে আছে। প্রতি বছর বহু শিশু এমনকি মাঝে মাঝে বয়স্কদের ও পানিতে ডুবে মারা যাবার খবর শোনা যায়। যারা গ্রামে বাস করে তারা বলতে গেলে প্রাকৃতিক ভাবেই সময়মত সাতাঁর শিখে ফেলে। তবে অনেক অভিভাবকের অলসতার কারণে বাচ্চার সময়মত সাতাঁর না শেখানোয় বিপদ ঘটতে দেখা যায়। আর যারা শহরে থাকেন সমস্যা মূলত: তাদের নিয়ে। শহরে যান্ত্রিকতার মধ্য থেকে সময় বের করে সন্তানদের সাতাঁর শেখানোকে অনেক অভিভাবকই তেমন গুরুত্ব দেননা। তাদের জন্য এখনই সুযোগ। আপনার সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যত চিন্তার পাশাপাশি তার বেঁচে থাকার নিশ্চয়তামূলক প্রতিকার ও আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। যারা এই ঈদে গ্রামে যাবেন বা গেছেন তারা গ্রাম্য পরিবেশে সন্তানকে সাতাঁর শিখাতে পারেন। এ জন্য সর্বপ্রথম যা দরকার তা হলো আপনার ইচ্ছাশক্তি। আপনার ইচ্ছাশক্তি প্রখর হলে ২/৩ বা ৪ দিনই আপনার সন্তানের সাতাঁর শেখার জন্য যথেষ্ট। তবে মনে রাখবেন বেশিক্ষন পানিতে থাকলে আবার যেন অসুখ বাধিঁয়ে না বসে। আর যারা শহরে আছেন তাদের জন্য ও এখন মস্ত বড় সুযোগ। শহরে এখন মানুষের চাপ কম থাকায় আপনার নিকটস্ত পুকুর, দিঘী, খাল বা নদীতে গিয়ে ঝামেলাহীন ভাবে সাতাঁর শিখাতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপনি নিজে ভালভাবে সাতাঁর জানেনতো ? নিজে ভালোভাবে না জেনে শিখাতে যাবেননা, তাতে বিপদ হওয়া স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুইমিং পূলে যেতে পারেন। হোটেল রূপসি বাংলা, ধানমন্ডি লেক সুইমিং ক্লাবের মত অনেক স্থানেই আপনি ২/৩ হাজার টাকায় জনপ্রতি সাতাঁর শিখতে পারবেন। সাতাঁর শিখাতে পূর্বেই সন্তানকে পানির ভয় কমাতে মানষিকভাবে তৈরি করে নিন।
এছাড়া ও যা প্রয়োজন:
১। সন্তানের ওজন অনুযায়ী সঠিক মাপের লাইফ জ্যাকেট। পাবেন তাবু বা নৌ সামগ্রি বিক্রি কারক দোকান সমূহে। গুলিস্তান বা পল্টনে এমন দোকান আছে অনেক।
২। যেখানে জ্যাকেট কেনা সম্ভব নয়, সেখানে স্থানীয় রেডক্রোস কেন্দ্র বা কর্মিদের সহযোগিতা নিতে পারেন।
৩। যেখানে তা সম্ভব নয়, সেখানে নৌযানের বয়ার সাহায্য নিতে পারেন।
৪। যেখানে তা ও সম্ভব নয়, সেখানে বাজার থেকে জেলেরা জালে যে বলের মত ফ্লো ব্যবহার করে তা ২টি কিনে নিন অথবা মাঝারি মাপের ২টি প্লাস্টিক পট ব্যাবহার করুন।
৫। আর যদি উপরের কোনটিই সংগ্রহ করা সম্ভব না হয় তা হলে ২টি বড় সাইজের শুকনা নারিকেল অল্প ছোলা তুলে বেধেঁ নিন। অথবা বড় গামছার দুই প্রান্তে শক্ত করে বেধেঁ নিন।
আলোচিত ব্লগ
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ



ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।