আমি আজ কবিতা লিখেত এসেছি
মহাকালের পাতায়, একটি রাস্ট্রের উথ্থান
কিছু আশার বুনন, একটি স্বপ্নের জাগরণ-যার মূল বক্তব্য।
আমি লিখতে এসেছি
বারুদ উত্তেজনায় ঠাসা একাত্তর, বায়াণ্ন কিংবা
ঊনসত্তরের দিনগুলোর কথা ।
যখন প্রাণের মূল্য হয়েছিল তুচ্ছ, দু’শ বছরের
বিভেদ ভোলা বাঙালী-এসেছিল প্রানের টানে;
মিছিলে, মিটিঙে কিংবা রণাঙ্গনে।
দৃপ্ত কণ্ঠে বলছিল স্লোগানে স্লোগানে-
“বীর বাঙালি অস্ত্র ধর
বাংলাদেশ স্বাধীন কর” !!
আমি সেই কবিতা লিখব আজ,
যে কবিতার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে;
বেদনার অশ্রু,হারানোর মোড়কে মোড়ানো
প্রাপ্তির মালা। সে কবিতার খাতায় চিত্রিত হয়-
বাংলা মায়ের ধর্ষিত বিধ্ধস্ত মুখের
চাপা গোঙ্গানি,হায়েনাদের কাটাকুটির জলন্ত ক্ষতগুলো
যেখানে চিৎকার করে বলে “যুদ্ধ চলছে” !
সন্তান হারানোর বিষণ্ন সিম্ফনী
বেজে ওঠে মনের বিউগলে। মনে পড়ে-
সেই মায়ের কথা,যে আজও পথ চেয়ে থাকেন অহর্নিশি
স্বপ্ন দেখেন, খোকা, ওই এল বলে!
তাকে আমি বলতে পারিনা-তোমার খোকা এখন
স্বর্গ থেকে চেয়ে দেখে, নির্ঘুম চোখের ব্যাকুল দৃষ্টি,
কষ্ট পায়, তোমার তুলে রাখা ভাত আর
ডালের বড়ির নষ্ট হওয়া দেখে।
অন্তিম অপেক্ষায় তোমার-
তিলে তিলে নিঃশেষ হওয়া দেখে ।
আমি আজ কবিতা লিখি, স্বাধীন বাংলায়
চোখে এখনো ভাসে সেদিন, হে স্বাধীনতা!
কত তিতিক্ষার ফসল তুমি, কত মুক্তিসেনার
তাজা রক্ত,যুবতী রমণীর বেঁচে থাকার অবলম্বন
সম্মানটুকু তুলে নিয়েছ অবলীলায়;
তবু তোমায় স্বাগত জানাই আজ আমি!
লিখি কবিতা, বলে যাই-স্বাধীনতা তুমি আমার
স্বাধীনতা তুমি বাংলার, পনের কোটি জনতার।
ভীরু বাঙালিরে তুমি দিয়েছ পরিচয়
দিয়েছ হারানো সম্মান, জাগ্রত অহঙ্কার।
স্বাধীনতা, তুমি হিরন্ময়!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৪৬
বন্ধুরা
ব্লগার সেবু মুস্তাফিজ শত কবির বন্দনা নামে একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলেন যেখানে একশ জন কবিতা লিখবে । কিন্তু কবি সঙ্কটে থেমে আছে । আশা করি সবাই এই পোস্টটা থেকে সেবু ভাইয়ের পোস্টে যাবেন এবং তাদের অংশটুকু লিখে দেবেন । আমি উনাকেও অনুরোধ করবো একটিভ হতে । লিঙ্ক টা দিয়ে দিচ্ছি । সবাইকে অনুরোধ এই বিষয়টা তে যুক্ত হতে ।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১:০৮