somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার পরিসংখ্যান?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেন ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার পরিসংখ্যান?

প্রশ্নটা জরুরি। এবং, তার উত্তর ভারতের বহুত্বের পক্ষে সুসংবাদ নয়। সত্যি কথা হল, মুসলমানরা প্রবল ভাবে জনসংখ্যা বাড়িয়ে ক্রমে ভারত নামক দেশটাকে ‘দখল’ করে নেবে, হিন্দুরা ‘নিজভূমে পরবাসী’ হবে— দেশের প্রায় একশো কোটি হিন্দুর একটা বড় অংশ স্বেচ্ছায় এই সুপরিকল্পিত গুজবে বিশ্বাসী। অতএব, এই গুজব়টাকেই যদি পরিসংখ্যানের মাটিতে দাঁড় করানো যায়, ভোটের বাজারে তার দাম তো থাকবেই।
এখন দেখা যাক, সঙ্ঘ পরিবার ভোটের বাজারে যে ‘আতঙ্ক’ ফেরি করে, সেটা কত দূর সত্য। অদূর ভবিষ্যতে কি মুসলমানরা ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারেন?
২০০১ থেকে ২০১১ অবধি ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে ২৪.৬ শতাংশ, আর হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ১৬.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ, এই দশ বছরের প্রতি বছর এই দুই গোষ্ঠীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় হার যথাক্রমে ২.২ ও ১.৫৬ শতাংশ। এই হার যদি অপরিবর্তিত থাকে, জনসংখ্যায় হিন্দুদের টপকে যেতে মুসলমানদের কত বছর সময় লাগবে, অঙ্কের হিসেব বলে, দুশো বছরেরও বেশি। ২২২০ সালে কী হবে, সেই গল্প বেচে ২০১৫ সালের ভোট জিততে চাওয়া কিন্তু প্রতিশ্রুতির চেয়েও বড় মিথ্যাচার।
ভারতে মুসলমানরা গোষ্ঠীগত ভাবে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন, কতটা পিছিয়ে রয়েছেন, তার কয়েকটা নমুনা পেশ করা যাক। মুসলমানদের মধ্যে সাক্ষরতার হার দেশের গড়ের তুলনায় প্রায় দশ শতাংশ কম। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মুসলমানদের মাথাপিছু ব্যয়ক্ষমতা গোটা দেশে সবচেয়ে কম— ২০০৯-১০ সালের নমুনা সমীক্ষার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে, এক জন হিন্দু গড়ে প্রতি মাসে ব্যয় করেন ১১২৫ টাকা, আর এক জন মুসলমান ৯৮০ টাকা। পাকা শৌচাগারই হোক অথবা শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার, বিবিধ আর্থ-সামাজিক সূচকেই মুসলমানরা জনগোষ্ঠী হিসেবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে। সরকারি চাকরিতে মুসলমানদের সংখ্যা কার্যত হিসেবেই আসে না। বস্তুত, সংগঠিত ক্ষেত্রেই তাঁদের উপস্থিতি জনসংখ্যার অনুপাতে উদ্বেগজনক রকম কম। কাজেই, মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের সন্ধান না করে বরং উন্নয়নের অসমতা নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×