বট গাছে কি ভূত-পেত্নীরা বাস করেন??? অধিকাংশের উত্তর পাব হ্যাঁ। কেউ হয়ত আমাকে তাড়াতেও আসবেন। কিন্তু ছোট্ট যুক্তি আপনার ধারণা পাল্টে দেবে, এটা আমার বিশ্বাস!!
অনেকেই জানবেন গাছ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন ছাড়ে ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। আমরা যখন নাক দিয়ে বাতাস ছাড়ি তা গরম লাগে। আসলে ওটা কার্বন-ডাই-অক্সাইড। সালোকসংশ্লেষণ ঘটে দিনে আর শ্বসন রাতে। শ্বসন সহজ ভাসায় সালোকসংশ্লেষণের উল্টা। অর্থাৎ শ্বসনে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর ছাড়াছাড়ি হয়।
রাতে সবার ভয় লাগে। হৃদস্পন্দন এর বাড়তি থাকে। মস্তিষ্ক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। সামান্য কিছুও অনেক বড় কিছু মনে হয়। এমন সময় আপনি গাছ তলে বসলে গাছের শ্বসনের কারণে আপনি অতিরিক্ত গরম অনুভব করবেন। শরীর সহজে ঘাম দিবে। খারাপ লাগতে থাকবে। বুক ধরফর করবে, কার্বন-ডাই-অক্রাইড এর আধিক্যের জন্য শ্বাস গ্রহণ কষ্টকর হবে। রাত জাগা প্রাণিগুলো হঠাৎ শব্দ করলে আপনার উচ্চ রক্ত চাপ সেটাকে সংজ্ঞায়িত করতে বাধা দিবে। ফলে আপনি বেহুশ বা মারাও যেতে পারেন। তখন আমরা সেটাকে কুসংস্কারে পরিণত করব!!!!!
-সংগ্রীহিত ও আমার অলস মস্তিষ্ক দ্বারা বর্ধিত।