মেডিক্যাল নিয়ে বহুত মাতামাতি শুনছি ওনাদের। বলি আপনারা কেমনে চান্স পাইছিলেন? লজ্জা করে না ছেলে মেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে? এক বছর ধরে আবার জীবন গড়ার যে সপ্ন দেখলাম তার ধ্বংস করার অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের? একটা শিক্ষার্থী তো যে কোন কারণেই এস এস সি/ এইচ এস সি তে ভাল নাও করতে পারে। তবে?
গত বছর যশোর বোর্ডে হয়েছে চরম দুর্নীতি। আমরা খাতা পুনর্মূল্যায়ণ করেও তা দেখেনি ঐ আসীন ব্যক্তিরা।
গত বার মেডিক্যাল পরীক্ষা দিলাম, মাত্র .২৫ এর জন্য চান্স পেলাম না। মেধাবী কোটায় আবেদন করলাম, আমার থেকে ২ মার্ক কম পাওয়া স্বচ্ছল একজনকে সুযোগ দিয়েছে (আমার বন্ধু), অথচ আমি পাইনি।
এবার একবুক আশা নিয়ে মাঠে কোমর বেঁধে নামলাম, তাও দেখি সব শেষ।
তাকিয়ে দেখুন একবার, মেডিক্যালে যারা ভাল করে তারা প্লাস পাওয়াই বা কতজন আছে!!! এরা ফেলনা নয়। মুখস্ত বিদ্যার পরীক্ষায় এরা হারলেই আসল মেধাবীর পরীক্ষায় অনেক উপরে!
নোট মুখস্ত করে নম্বর পাওয়া যায়, তবে সারা বই না পড়ে চান্স পাওয়া যায় না। কি ক্ষতি করেছি আপনাদের?
এই অন্তিম মুহুর্তে আমাদের কি হবে? ভার্সিটি পরীক্ষাওতো ঠিকভাবে দিতে পারব না!
দুর্নীতি হয় তো তা মাত্র হাতে গোণা নিশ্চয়। তার জন্য শিক্ষার্থীদের জীবন কেড়ে নেওয়ার কি দরকার?
কোচিং বন্ধের দরকার তো? নিয়ম করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ে কাজ করুন!
সবাই এগিয়ে আসুন। আমরা ছাত্ররা আবার গর্জে উঠব। আমরা এর প্রতিকার ও বিচার চাই।