অতিশয় আবেগি ব্রাজিলিয়ান সাপোর্টারদের অতিমাত্রায় লম্পঝম্প দেখিয়া সেদিন হঠাৎ করে ভাবিলাম এদের কে পরীক্ষা করা দরকার এরা আসলে কতটা ব্রাজিলীয়। যেই ভাবা সেই কাজ। যেখানে যাকে পেলাম ধরে বসলাম।
প্রশ্ন ১: "ভাই এতো যে ব্রাজিলের সাপোর্ট করেন বলেন তো ব্রাজিল কোন মহাদেশে অবস্থিত?'
: কেউ উত্তর দিল আফ্রিকা, কেউ বলল ইউরোপ কেউ কেউ বলল আমেরিকা।
:'কোন আমেরিকা?' কেউ বলল উত্তর আমেরিকা কেউ বলল দক্ষিণ আমেরিকা।
প্রশ্ন ২: 'ব্রাজিলের রাজধানীর নাম কি?'
বেশীর ভাগই কোন উত্তর দিতে পারলো না শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে হাসি দিল। কয়েকজন বলল, 'এটা জেনে আমগো কি লাভ।' যারা একটু বেশী চালাক তারা কয়েকজন আবার বুদ্ধি করে বলল, 'সান পাওলো'
প্রশ্ন ৩: 'ব্রাজিলের মুদ্রার নাম কি?'
: 'ডলার' কেউ কেউ বলল 'ব্রাজিলিয়ান ডলার'।
প্রশ্ন ৪: ব্রাজিলের পতাকা কেমন?
: এই উত্তর সবাই দিতে পেরেছে।
প্রশ্ন ৫: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের নাম কি?
: কেই পারল না। একজন শুধু জেন্ডার বলতে পারলো।
প্রশ্ন ৬: 'ব্রাজিলের ৫ জন প্লেয়ারের নাম বলো।'
: অনেকেই পারল। আবার অনেকে শুধু একটাই পারলো, নেইমার।
প্রশ্ন ৭: ব্রাজিল কয়বার বিশ্বকাপ ফুটবল জয় লাভ করে?
: এই উত্তর দেখলাম সবাই পারলো। একেবারে ১০০%। প্রশ্ন শেষ করার আগেই পেলাম উত্তর।
যাই হোক একটা ব্যাপার বোঝা গেল। ব্রাজিলের জন্য জান দিয়ে দিবে এমন অবস্থা হলেও ব্রাজিল দেশটার ব্যাপারে ধারনা খুবই কম। এই ইন্টারনেট, গুগল এর যুগে কোন দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়াটা অনেক সহজ। সেখানে বিস্তারিত না হোক সাধারন বিষয় গুলো তো অন্তত জানা উচিৎ এই পাগল ভক্তদের।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ। আর বিশ্বে জনসংখ্যা ও আয়তনে ৫ম। জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। আর আয়তন ৫২ লক্ষ ৯০হাজার ৮৯৯ বর্গমাইল। রাজধানী ব্রাসিলিয়া ( Brasília)। সাও পাওলো (São Paulo) তাদের বৃহত্তম নগরী রাজধানী নয়। ব্রাজিলের মুদ্রার নাম ব্রাজিলিয়ান রিয়েল। ব্রাজিল বিশ্বে এক উদিয়মান শক্তি।
## ব্রাজিলে পর্তুগীজ উপনিবেশ ছিল এক সময়। পর্তুগীজরা ১৫০০ সালে এখানে আসে। ব্রাজিল পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৮২২ সালে। ১৮৮৯ থেকে এটি একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র। এখনকার মানুষ গুলো মিশ্র। এখানে পর্তুগীজ, আফ্রিকান দাস এবং অরজিনাল আমেরিকান আদিবাসীদের মিশ্রনে এক নতুন ধরনের মিশ্র জাতি দেখা।যারা বিশ্বে আরেক অনন্য জাতি গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছে যা আর কোথাও নেই। যদিও এদের অনেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখেছে। তাদের সংস্কৃতিও মিশ্র।
২০০৮ এর জরিপ অনুযায়ী ব্রাজিলের শেতাঙ্গঃ ৪৮.৪৩% বাদামী (মিশ্র) : ৪৩.৮০% কৃষ্ণাঙ্গঃ ৬.৪৮% এশীয়ঃ ০.৫৮% আমেরিন্ডিয়ানঃ ০.২৮% আছে।
ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগীজ। ব্রাজিল ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলের ভাষা স্প্যানিশ।
ব্রাজিলের সাম্বা বিশ্ব বিখ্যাত। এটি এসেছে আফ্রিকান ধর্ম ও সংস্কৃতি থেকে। মুলত এঙ্গোলা ও কঙ্গো থেকে এসেছে বলে ধারনা। রিও দা জেনেরিও তে সাম্বা নাচা হয়।
## এবার বলবো ব্রাজিলের আশে পাশে কি আছে তা। মনে মনে কল্পনা করুণ আপনার সেই বাড়ি বা স্থানের কথা যেখানে আপনার শৈশব কেটেছে, যেখানে থেকে দিক চিনেছেন। কল্পনা করুণ আপনার সেই বাড়ি বা স্থান হল ব্রাজিল। আপনার সে বাড়ির উত্তরে অর্থাৎ ব্রাজিলের উত্তরে অবস্থিত ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দখলকৃত অঞ্চল ফরাসি গায়ানা।
পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু। আর দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে।
এবং দক্ষিণে উরুগুয়ে। সব ফুটবল লিজেন্ডরা এক সাথে। এখানে বলে রাখি আজকের ব্রাজিলের বিপরীত দল চিলির অবস্থান ও ব্রাজিলের কাছেই। বলিভিয়ার পশ্চিমে চিলির লম্বা অবস্থান। ব্রাজিলের আশে পাশে সব দেশ ছোট ছোট। অনেকটা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ইন্ডিয়ার মত।
## ব্রাজিল সম্ভাবনাময় দেশ। তারা উঠতি পরাশক্তি। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিল্মা ভানা রোসেফ (Dilma Vana Rousseff) তিনি ব্রাজিলের ১ম নারী এবং ৩৬তম প্রেসিডেন্ট।
## ব্রাজিলে রয়েছে প্রায় ২৫০০ টি বিমানবন্দর যা বিশ্বে সংখ্যার দিক দিয়ে ২য়। এখানে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। ব্রাজিলের মূল রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গাড়ি, ইথানল, টেক্সটাইল, পাদুকা, লৌহ আকরিক, ইস্পাত, কফি, কমলার রস, সয়াবিন, এবং কর্নড বিফ ইত্যাদি। বিখ্যাত আমাজন বনের ৬০% ব্রাজিলে অবস্থিত। এ এক রহস্যময় স্থান। ব্রাজিলের বীচ ও ভ্রমন পিয়াসী দের টানে। আমার অনেক ইচ্ছা আছে এই বনে যাওয়ার।
## এ পর্যন্ত ব্রাজিল দলটি পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলে জয় লাভ করে (১৯৫৮ তে সুইডেনকে ৫-২ গোলে, ১৯৬২ তে চেজ রিপাবলিককে ৩-১ গোলে, ১৯৭০ এ ইতালিকে ৪-১ গোলে, ১৯৯৪ তে ইতালিকে ৩-২ এ। ও ২০০২ এ জার্মানি কে ২-০ গোলে হারায়)। ব্রাজিলের কিংবদন্তী খেলোয়াড় পেলে। একটা বিষয় খেয়াল করুণ ফুটবলের দখলটা বরাবরের মত সে দক্ষিণ আমেরিকাতেই। আর্জেন্টিনা ব্রাজিল দুটোই প্রতিবেশি দেশ। আজকের চিলি ও তাই। পরবর্তী ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া ও তাদের প্রতিবেশী।
ব্রাজিলের মূল মন্ত্র, Ordem e Progresso এর মানে শৃঙ্খলা ও উন্নতি। ব্রাজিলের ফোন কোড ৫৫। ওখানে কাউকে ফোন করলে এটা কাজে লাগবে।
ব্রাজিল ভাল খেলে। তবে তার চেয়েও তাদের ভাগ্যটা একটু বেশী ভাল তাই ঝোপ মত টিকে যায়। তাদের চেয়েও যারা ভাল খেলে তারা দেখা যায় টিকে থাকে না। কাল চিলির সাথে যে নাকানি চুবানি খেলো তা আর কি বলব। ব্রাজিলের সাপোর্টাররা তো হুদাই লাফায়। ঘটনা ঘটলেও ফাল মারে কিছু না হলেও ফাল মারে। আসলে তো পুরাই ভুয়া।
তবে এটা সত্য যে আজ যে পরীক্ষা নিলাম তা যদি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে নিতাম তাহলেও প্রায় কাছাকাছি অবস্থা হত। অবশ্য তারা অন্তত ব্রাজিল থেকে ১ নম্বর হলেও বেশী পেত।
বিঃ দ্রঃ যে কেউ অতি সহজে যে কোন দেশের ইংরেজি নামের প্রথম তিন অক্ষর চাপিয়াই গুগ্লিং করে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন। তবে ব্রাজিলের ক্ষেত্রে প্রথম তিন অক্ষর দিয়া না খোঁজাই উত্তম। এতে অন্য রকম ফলাফল আসিতে পারে।
ফেইসবুক অতিশয় আবেগি ব্রাজিলিয়ান সাপোর্টারদের অতিমাত্রায় লম্পঝম্প দেখিয়া সেদিন হঠাৎ করে ভাবিলাম এদের কে পরীক্ষা করা দরকার এরা আসলে কতটা ব্রাজিলীয়। যেই ভাবা সেই কাজ। যেখানে যাকে পেলাম ধরে বসলাম।
প্রশ্ন ১: "ভাই এতো যে ব্রাজিলের সাপোর্ট করেন বলেন তো ব্রাজিল কোন মহাদেশে অবস্থিত?'
: কেউ উত্তর দিল আফ্রিকা, কেউ বলল ইউরোপ কেউ কেউ বলল আমেরিকা।
:'কোন আমেরিকা?' কেউ বলল উত্তর আমেরিকা কেউ বলল দক্ষিণ আমেরিকা।
প্রশ্ন ২: 'ব্রাজিলের রাজধানীর নাম কি?'
বেশীর ভাগই কোন উত্তর দিতে পারলো না শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে হাসি দিল। কয়েকজন বলল, 'এটা জেনে আমগো কি লাভ।' যারা একটু বেশী চালাক তারা কয়েকজন আবার বুদ্ধি করে বলল, 'সান পাওলো'
প্রশ্ন ৩: 'ব্রাজিলের মুদ্রার নাম কি?'
: 'ডলার' কেউ কেউ বলল 'ব্রাজিলিয়ান ডলার'।
প্রশ্ন ৪: ব্রাজিলের পতাকা কেমন?
: এই উত্তর সবাই দিতে পেরেছে।
প্রশ্ন ৫: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের নাম কি?
: কেই পারল না। একজন শুধু জেন্ডার বলতে পারলো।
প্রশ্ন ৬: 'ব্রাজিলের ৫ জন প্লেয়ারের নাম বলো।'
: অনেকেই পারল। আবার অনেকে শুধু একটাই পারলো, নেইমার।
প্রশ্ন ৭: ব্রাজিল কয়বার বিশ্বকাপ ফুটবল জয় লাভ করে?
: এই উত্তর দেখলাম সবাই পারলো। একেবারে ১০০%। প্রশ্ন শেষ করার আগেই পেলাম উত্তর।
যাই হোক একটা ব্যাপার বোঝা গেল। ব্রাজিলের জন্য জান দিয়ে দিবে এমন অবস্থা হলেও ব্রাজিল দেশটার ব্যাপারে ধারনা খুবই কম। এই ইন্টারনেট, গুগল এর যুগে কোন দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়াটা অনেক সহজ। সেখানে বিস্তারিত না হোক সাধারন বিষয় গুলো তো অন্তত জানা উচিৎ এই পাগল ভক্তদের।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ। আর বিশ্বে জনসংখ্যা ও আয়তনে ৫ম। জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। আর আয়তন ৫২ লক্ষ ৯০হাজার ৮৯৯ বর্গমাইল। রাজধানী ব্রাসিলিয়া ( Brasília)। সাও পাওলো (São Paulo) তাদের বৃহত্তম নগরী রাজধানী নয়। ব্রাজিলের মুদ্রার নাম ব্রাজিলিয়ান রিয়েল। ব্রাজিল বিশ্বে এক উদিয়মান শক্তি।
## ব্রাজিলে পর্তুগীজ উপনিবেশ ছিল এক সময়। পর্তুগীজরা ১৫০০ সালে এখানে আসে। ব্রাজিল পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৮২২ সালে। ১৮৮৯ থেকে এটি একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র। এখনকার মানুষ গুলো মিশ্র। এখানে পর্তুগীজ, আফ্রিকান দাস এবং অরজিনাল আমেরিকান আদিবাসীদের মিশ্রনে এক নতুন ধরনের মিশ্র জাতি দেখা।যারা বিশ্বে আরেক অনন্য জাতি গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছে যা আর কোথাও নেই। যদিও এদের অনেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখেছে। তাদের সংস্কৃতিও মিশ্র।
২০০৮ এর জরিপ অনুযায়ী ব্রাজিলের শেতাঙ্গঃ ৪৮.৪৩% বাদামী (মিশ্র) : ৪৩.৮০% কৃষ্ণাঙ্গঃ ৬.৪৮% এশীয়ঃ ০.৫৮% আমেরিন্ডিয়ানঃ ০.২৮% আছে।
ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগীজ। ব্রাজিল ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলের ভাষা স্প্যানিশ।
ব্রাজিলের সাম্বা বিশ্ব বিখ্যাত। এটি এসেছে আফ্রিকান ধর্ম ও সংস্কৃতি থেকে। মুলত এঙ্গোলা ও কঙ্গো থেকে এসেছে বলে ধারনা। রিও দা জেনেরিও তে সাম্বা নাচা হয়।
## এবার বলবো ব্রাজিলের আশে পাশে কি আছে তা। মনে মনে কল্পনা করুণ আপনার সেই বাড়ি বা স্থানের কথা যেখানে আপনার শৈশব কেটেছে, যেখানে থেকে দিক চিনেছেন। কল্পনা করুণ আপনার সেই বাড়ি বা স্থান হল ব্রাজিল। আপনার সে বাড়ির উত্তরে অর্থাৎ ব্রাজিলের উত্তরে অবস্থিত ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দখলকৃত অঞ্চল ফরাসি গায়ানা।
পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু। আর দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে।
এবং দক্ষিণে উরুগুয়ে। সব ফুটবল লিজেন্ডরা এক সাথে। এখানে বলে রাখি আজকের ব্রাজিলের বিপরীত দল চিলির অবস্থান ও ব্রাজিলের কাছেই। বলিভিয়ার পশ্চিমে চিলির লম্বা অবস্থান। ব্রাজিলের আশে পাশে সব দেশ ছোট ছোট। অনেকটা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ইন্ডিয়ার মত।
## ব্রাজিল সম্ভাবনাময় দেশ। তারা উঠতি পরাশক্তি। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিল্মা ভানা রোসেফ (Dilma Vana Rousseff) তিনি ব্রাজিলের ১ম নারী এবং ৩৬তম প্রেসিডেন্ট।
## ব্রাজিলে রয়েছে প্রায় ২৫০০ টি বিমানবন্দর যা বিশ্বে সংখ্যার দিক দিয়ে ২য়। এখানে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। ব্রাজিলের মূল রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গাড়ি, ইথানল, টেক্সটাইল, পাদুকা, লৌহ আকরিক, ইস্পাত, কফি, কমলার রস, সয়াবিন, এবং কর্নড বিফ ইত্যাদি। বিখ্যাত আমাজন বনের ৬০% ব্রাজিলে অবস্থিত। এ এক রহস্যময় স্থান। ব্রাজিলের বীচ ও ভ্রমন পিয়াসী দের টানে। আমার অনেক ইচ্ছা আছে এই বনে যাওয়ার।
## এ পর্যন্ত ব্রাজিল দলটি পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলে জয় লাভ করে (১৯৫৮ তে সুইডেনকে ৫-২ গোলে, ১৯৬২ তে চেজ রিপাবলিককে ৩-১ গোলে, ১৯৭০ এ ইতালিকে ৪-১ গোলে, ১৯৯৪ তে ইতালিকে ৩-২ এ। ও ২০০২ এ জার্মানি কে ২-০ গোলে হারায়)। ব্রাজিলের কিংবদন্তী খেলোয়াড় পেলে। একটা বিষয় খেয়াল করুণ ফুটবলের দখলটা বরাবরের মত সে দক্ষিণ আমেরিকাতেই। আর্জেন্টিনা ব্রাজিল দুটোই প্রতিবেশি দেশ। আজকের চিলি ও তাই। পরবর্তী ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া ও তাদের প্রতিবেশী।
ব্রাজিলের মূল মন্ত্র, Ordem e Progresso এর মানে শৃঙ্খলা ও উন্নতি। ব্রাজিলের ফোন কোড ৫৫। ওখানে কাউকে ফোন করলে এটা কাজে লাগবে।
ব্রাজিল ভাল খেলে। তবে তার চেয়েও তাদের ভাগ্যটা একটু বেশী ভাল তাই ঝোপ মত টিকে যায়। তাদের চেয়েও যারা ভাল খেলে তারা দেখা যায় টিকে থাকে না। কাল চিলির সাথে যে নাকানি চুবানি খেলো তা আর কি বলব। ব্রাজিলের সাপোর্টাররা তো হুদাই লাফায়। ঘটনা ঘটলেও ফাল মারে কিছু না হলেও ফাল মারে। আসলে তো পুরাই ভুয়া।
তবে এটা সত্য যে আজ যে পরীক্ষা নিলাম তা যদি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে নিতাম তাহলেও প্রায় কাছাকাছি অবস্থা হত। অবশ্য তারা অন্তত ব্রাজিল থেকে ১ নম্বর হলেও বেশী পেত।
বিঃ দ্রঃ যে কেউ অতি সহজে যে কোন দেশের ইংরেজি নামের প্রথম তিন অক্ষর চাপিয়াই গুগ্লিং করে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন। তবে ব্রাজিলের ক্ষেত্রে প্রথম তিন অক্ষর দিয়া না খোঁজাই উত্তম। এতে অন্য রকম ফলাফল আসিতে পারে।
ফেইসবুক
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৬