somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাওর থেকে ফিরছি

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সারারাত ইঞ্জিনের নৌকা তীর থেকে বেশ খানিকটা দূরে নোঙর করা ছিল। অনেক্ষণ শুয়ে-বসে চাঁদনী দেখতে দেখতে আমারা হাওরের ঠান্ডা জল-হাওয়া খাচ্ছিলাম। চারপাশে এক অপার্থিব সৌন্দর্য্য। এ সৌন্দর্য্য আমাদের এ শহুরে জীবনে দেখা যায় না।আগের রাতে ঘুম নেই। তার ওপর সারাদিনের জার্নি। শরীর সবারই ক্লান্ত। আমরা রাত প্রায় ১ টার দিকে একে একে ছাদ থেকে ভেতরে চলে গেলাম। একটু ঘুমানো দরকার। নৌকার পাটাতনে পাতলা তোষক পাতা। মাথায় বাচ্চাদের বালিশ সাইজের বালিশ। শত ব্যবহৃত চাদর। ভুল হয়ে গিয়েছে। বাসা থেকে একটা ছোট চাদর নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। মাথার বালিশের উপর গামছা বিছিয়ে কোনরকমে শুয়ে পড়লাম। ঘুম এল খুব দ্রুতই। নিজের বিছানা ছাড়া আমার ঘুম ভালো হয় না। ঘুম বেশিক্ষণ হলো না আমার। ছাড়াছাড়া ঘুম হলো সারারাত। তার ওপর ঘুরলেই রাতুলের শরীরে গুতা খাই নয়তো পিয়াসের সাথে বাড়ি খাই। বেশ ক'বার গভীর রাতে খোলা জানালা দিয়ে চারপাশটা দেখি। সম্পূর্ণ নিশ্চুপ জলাভূমি। দূরসীমান্তের সারবদ্ধ ফ্লাডলাইটগুলো শুধু জ্বালাচ্ছিল। নৌকা একেবার স্থির যেন!

খুব ভোরে সূর্য ওঠার আগ থেকেই আমি পুরোপুরি ঘুমশূণ্য। আরো আগেই উঠে যেতাম। কিন্তু অন্যরা সব গভীর ঘুমে। ওদের বিরক্ত করতে চাই নি বলে এতক্ষণ আর বিছানা ছাড়ি নি। কিন্তু আর পারা গেল না। আমি পিয়াসকে ডিঙিয়ে দরজা খুলে বের হয়ে এলাম। চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলাম। চাঁদহীন আকাশচিরে আলো চলে আসছে। হঠাৎ করে পূর্বাকাশে জ্বলজ্বলে সুর্যের আভা দেখা দিল। আমি দাঁত মাজলাম বেশ খানিকটা সময় নিয়ে। তারপর চোখ-মুখ ধুঁয়ে নৌকার ছাঁদে উঠে বসলাম। একা একা ভোর উপভোগ করতে লাগলাম। খানিক সময় বাদে হাসানও ঘুম ভেঙে উঠে এল।



ভোর ৫.৪৫ এর দিকে আমি হাঁকডাক জুড়ে দিয়ে সবগুলোকে উঠিয়ে দিলাম। এত সুন্দর ভোর একাএকা দেখবো কেন? সবাইকে নিয়ে দেখবো। কিন্তু বন্ধুরা বুঝলো না। ওদের নাকি কাঁচাঘুম ভেঙে দিয়েছি! যাই হোক। তারা আড়মোড়া ছাড়াতে ছাড়াতে আমাকে গালি দিতে শুরু করলো। মাঝিভাইও উঠে গেল। আমি আর হাসান মাঝিকে বললাম নৌকা পাড়ে ভেরাতে। আমি জলের মানুষ না। তাই পাড়ে নামতেই নেমে পড়লাম ভূমিতে। মনে হলো যেন কত হাজার বছর পর আমি মাটির স্পর্শ পেলাম। দু'জনে বাজারে চলে এলাম। ওয়াশরুমের কার্যক্রম এখানেই সেরে নিলাম আমরা। ভোর সাড়ে ৬ টার সময়ই সেই রবিন রেস্টুরেন্টের কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা দু'জনই প্রথম কাস্টোমার। বসে বসে পরোটা ভাজা দেখলাম। কিন্তু ডিম ভাজি হয় না। লবণ খুঁজে নাকি পাচ্ছে না! আমাদের পর এসে গ্রামের লোকজন সবজি-পরোটা খেয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধার্ত দুই যুবক বসে আছি। আমাদের দেখে গ্রামের লোকদের মায়া হলো। নিজের নাস্তা সারতে সারতে আমাদের ডিমভাজি তারাতারি দেবার জন্য তাগাদা দিতে লাগল। কিন্তু তবু আমাদের ডিম আসে না। সবজি দিয়েও খাচ্ছি না, কারণ একটু আগেই কাক এসে তাতে ছোঁবল মেরেছে। হোটেলের বয় লোকমান যদিও খানিকটা সবজি ফেলে দিলো, কিন্তু আমাদের খুঁতখুতানি গেল না। ডিমের অপেক্ষায় রইলাম। অবশেষে ডিম-পরোটা খেয়ে বোটে ফিরে দেখি আমাদের বাকি মেম্বাররা তৈরি। তারাও নেমে এল। আমাদের পরবর্তী বাহন মোটর বাইক। বাইকপ্রতি ২৫০ টাকা।

আমরা সংখ্যায় সাত জন। বাইক মোট চারটা। পিয়াস সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বিধায় একা এক বাইকে উঠে বসলো। প্রথমেই আমরা গেলাম লাক্ষাম ছড়া। মিনিট দশেকের পথ। আমি আর সিফাত আগেই পৌঁছে গেলাম। বাকিরাও এলো একটু দেরিতে। এসেই বুঝলাম ইহা দেখার জন্য না এলেও হতো। এমন ছড়া পুরো সিলেট অঞ্চলে অনেক আছে। যাই হোক এসেই যখন পড়েছি, তাই একটু ঘুরে যাই। দেখলাম বেশ কয়েকজন নারি-শিশু ছড়ার পানিতে ছাঁকনি দিয়ে কি যেন তুলছে। জিজ্ঞেস করতেই এক নারী জানালেন তারা কয়লা ছেঁকে তুলছেন। এক বস্তা তুলতে পারলে ছ'শ টাকা বিক্রী করতে পারবেন। মেঘালয়ের পাহাড়ে রয়েছে কয়লা খনি, আর আমরা সেখান থেকে খয়ে আসা উচ্ছিষ্ট কয়লা তুলছি। বাহ! কি সুন্দর দেশভাগ হয়েছিল। আর নাই-বা বলি। লাক্ষাম ছড়ায় বেশিক্ষণ থাকা গেল না।



মেঘালয় পাহাড় থেকে ধেঁয়ে আসছে কালো রঙ। মানে বৃষ্টি। সিলেট যাবে, আর বৃষ্টিতে ভিজবে না? তা তো হবে না। আমরা দ্রুত ফিরতে লাগলাম। বাইক দিয়ে ট্যাকের ঘাট বাজার পর্যন্ত পৌঁছানো গেল না। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পথের ধারের একচালা টিনের একটা বাইক ওয়ার্কশপে দাঁড়িয়ে রইলাম কোনমতে। বৃষ্টির ছাঁট তবু গায়ে আসতে লাগলো। প্রায় পৌণে ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর বৃষ্টি কমলো। চলে এলাম বাজারের সেই হোটেলে। আমি আর হাসান ছাড়া বাকি সবাই নাস্তা করে নিলো। এখানেই আবার বৃষ্টি বাড়লো। ঘন্টা পেরিয়ে গেলো। আমরা বসে বসে বৃষ্টি উপভোগ করতে লাগলাম।



সাড়ে ৯ টার দিকে বৃষ্টি খানিকটা কমে এল। আমরা আবার বাইকে উঠে বসলাম। এভাবে সারাদিন বসে থাকা যাবে না। এবার যাবো বারিক্কা টিলা। নীলাদ্রি লেকের পার ঘেষে কাঁচা রাস্তায় বাইকে ঝাঁকি খেতে খেতে চলছি। কিছুক্ষণ পর বাইক থেমে গেল। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাঁচা রাস্তার এক জায়গা ভেসে গিয়েছে। পুরোটা খরস্রোতা নদী যেন। হাঁটুজল ভেঙে আমরা পার হয়ে এলাম। বাইকের ভাইরা অনেক কসরত করে তাদের বাইকগুলো পার করলেন।



এরপর পাকা রাস্তা। মসৃণ পিচঢালা পথ পেয়ে বাইকগুলো চলতে লাগলো। কিন্তু ভারতীয় বৃষ্টি আমাদের আবার ছেঁয়ে ধরলো। আবার পথের পাশের একচালা এক দোকান ঘরে বসে রইলাম। দোকান থেকে সিলেটি চাও খেয়ে নিলাম। এবারও বৃষ্টি কমতেই ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে রওনা হলাম। বেশ চলছে আমাদের বাইকগুলো। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে চারপাশের সবুজগুলোও একেবারে পরিচ্ছন্ন।



সামনে খাড়া ঢাল বাইক থেকে নেমে পায়ে হেঁটে উঠলাম। বেশ খাড়া। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়ও আমার সবাই বড়বড় নিঃশ্বাস ছাড়ছি। একটু পর আমরা আমাদের গন্তব্য বারিক্কা টিলায় উঠে এলাম বাইকে চেপে। নামতেই দেখলাম অপূর্ব এক চিত্র। প্রকৃতির এক চিত্রপট যেন। বৃষ্টি এর মধ্যে সৌন্দর্য্যের পসরা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।



এখানেই দেখা হলো শিশু সঙ্গীত শিল্পী আরিফ দেওয়ানের সাথে। তার দৃষ্টি নেই। কিন্তু কণ্ঠে মধু। সে তার স্বলিখিত ও সুরারোপিত একটি গান শুনালো। তারপর আরেকটি জনপ্রিয় গানও শুনিয়ে দিল। আমরা তাকে অল্পকিছু সম্মানি দিলাম। মুগ্ধ হয়ে ওর গান শুনছিলাম। সিফাত ওর ফোনে গান দু'টো ভিডিও রেকর্ড করে নিলো। আমরা থাকতে থাকতেই আরো দু'টো গ্রুপ এল। ওরা চলে গেলো। কিন্তু আমরা রয়ে গেলাম। অনেকগুলো ফটোশুট চললো। একেকজন একেকভাবে পোজ দিচ্ছি। আমাদের দুই ফটোগ্রাফার সিফাত আর পিয়াস ছবি তুলছে। টিলার নিচেই যাদুকাটা নদী। দূরের বালিয়ারি পেরিয়ে ভারতের মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়। ব্যাকগ্রাউন্ডে অসাধারণ লাগছে। টিলার একটু সামনে এগিয়েই আরেকটি সীমানা প্রাচীর পেলাম, বাংলাদেশ-ভারত লেখা। আমরা এবার নদী পাড় হবো। বাইক চলে গিয়েছে। খেয়াঘাট নামছি ঢাল বেয়ে। সিফাতের বাইক এক্সিডেন্টের ফলাফল খোঁড়া পা। হাঁটছে ধীরে ধীরে। পুরো ট্যুরে ওর ওপর প্রচণ্ড ধকল গেল। এ পা নিয়ে এত হাঁটাহাটি, পাহাড়ি পথ চলা চাট্টি খানি কথা না। খেয়া পাড় হলাম জনপ্রতি ৫ টাকায়।



নদী পার হয়েই আমরা হাঁটুলজ পেরিয়ে কোমর জলে নেমে গোসল সেরে নিলাম। বালিয়ারির রাজ্য। নদীর নিচের বালি সরে সরে যায়। ভরাবর্ষা না। তাই নদী শুকিয়ে তিন ভাগের একভাগ। গোসল শেষে চা খেলাম পারের এক অস্থায়ী দোকান থেকে। তারপর প্রায় ২০-৩০ মিনিট বালির রাজ্য হেঁটে পৌঁছলাম লাওড়ার গর বাজারে। সেখানে হালকা নাস্তা করে অটোতে চড়ে রওনা হলাম সুনামগঞ্জ সদরে। সারারাস্তা একপাশে মেঘালয়ের পাহাড়। সুনামগঞ্জ যখন পৌঁছেছি বেলা প্রায় ৩ টা ততক্ষনে। ১০০ টাকা টিকিট কেটে বিরতিহীন বাসে করে রওনা হলাম, যাব সিলেট। উদ্দেশ্য পাঁচ ভাই রেস্তোরায় খাওয়া।

ঘন্টা পেরিা প্রায় ৫ টা বাজে তখন। হাসান আর সিফাতের আগ্রহে ঢুকলাম সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ততক্ষণে আমাদের পেটে বেশ ক্ষুধা। দুপুরে কেউই ভাড়ি খাবার খাই নি। আই সি টির ক্যাফে খোলা পেয়ে আমরা খেতে বসলাম। মাছ-ভাত-ডাল ৭৫ টাকা। তুহিন, রাতুল, পিয়াস আর রাতুল ভাত খেল। বেলা পরে যাওয়ায় আমার আর ভাত খেতে ইচ্ছে করলো না। আমি স্যাণ্ডউইচ, এক স্লাইস পুডিং আর এক কাপ দই খেলাম। খরচ পড়লো ৬০ টাকা। সাইফ আর হাসানের মধ্যে স্যাণ্ডউইচ নিয়ে তুলকালাম বাঁধলো। অর্ডার একটা কম পড়ে গিয়েছিল বলে। হাসান ফোন করে শাহজালালে পড়ু্য়া ওর কাজিন সৌরভকে নিয়ে এল। পেটে খাবার পরায় কেউ আর নড়ে না। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল। আনুমানিক সাতটার দিকে আমরা উঠে এলাম। একটা অটো নিয়ে রাতের সাস্ট দেখতে লাগলাম। টিলার উপর শহীদ মিনার দেখলাম। এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে এলাম এত নির্জন ক্যাম্পাস আমি আগে দেখি নি।



সাস্ট এর গেট থেকে দু'টো অটোতে উঠে বন্দর রওনা হলাম। আমি, সিফাত আর সাইফ এক অটোতে। বাকি ৫ জন অন্য অটোতে। আমরা বন্দর নামতেই হাসান আর সিফাত বললো ওরা এই প্রথম সিলেটে। শাহজালালের দরগা যাবে। দু'টো রিক্সা নিলাম। আমি সিফাতকে, আর হাসনকে ওর কাজিন সৌরভ সঙ্গ দিলো। বাকিরা আগে থেকে কেটে রাখা বাসের টিকেট নেবার জন্য কাউন্টারের উদ্দশ্যে গেল। রিক্সায় থাকতেই খবর পেলাম- আমাদের পিয়াস ভাগ্যক্রমে তার দামী ডিএসএলআর নিয়ে নেমে পরেছে। কিন্তু অটোর পেছনে নিজের ব্যাকপ্যাক রেখেই চলে গিয়েছে। এখন সেই অটো কোথায়? আর সেই ব্যাগই বা কোথায়?

আমরা চারজন শাহজালাল (রহ) এর দরগাহ ঘুরে এলাম। আমাদের ভালো ট্যুরটায় একেবারে শেষমূহুর্তে একটা দাগ লেগে গেল! আমাদের মন খানিকটা খারাপ হয়ে গেল। এদিকে পিয়াস অটোর লোকজনের কাছে খুঁজতে লাগলো। তার ব্যাগ হারানোর খবর জানালো। শেষমেষ ব্যর্থ হয়ে সৌরভকে দায়িত্ব দেয়া হলো। ওর ভার্সিটির গেটে একটু খোঁজখবর রাখার জন্য। এই সিলেট শহরে আর কোন উপায় নেই।

বেশ খানিকটা সময় কীন ব্রিজের পাশে বসে রইলাম। চা-কলা খেলাম। তারপর ১০ টার দিকে আমাদের সিলেট আসার যে কারণ- পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট রওনা হলাম। রিক্সা করে চলে এলাম জল্লার পারে। দ্বিতীয়বার যখন পাঁচভাইতে খাই, তখন প্রথমবারের চেয়ে একটু উন্নতি ছিলো ডেকোরেশনে। কিন্তু কয়েকবছর পর এখন পুরোই চেঞ্জড। দোতলা করেছে, এসিও লাগিয়েছে উপরতলায়। তাই ওপরেই খেতে উঠলাম। আগের মতন জায়গার অভাব নেই এখন। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। ভুরিভোজ করে নেমে এলাম। বাস রাত সাড়ে ১২ টায়। অনেক সময়। শহরে হাঁটছি। পাঁচভাই থেকে এসে পানসিতে এসে ওরা চা খেলে। আমার অত চা'য়ের নেশা নেই। তাই আর খেলাম না। ১১ টার পর চলে এলাম রিক্সা নিয়ে কীনের পাশে। হেঁটে হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে শ্যামলীর কাউন্টারে এসে বসলাম।

ফেরার গাড়ি আর দেরি করে নি। ঠিক সময়ে রওনা হলো। ফেরার সময় সবাই ক্লান্ত। তাই বাসে বেশ খানিকটা ঘুমিয়েছি। তুহিন তো এক ঘুমে পুরো রাত পার হয়েচে। বাস ঠিক ভোর ৬ টায় ঢাকার সায়েদাবাদে। পিয়াসের ব্যাগ হারানো ছিল আমাদের এবারের ট্যুরের দুঃখজনক ঘটনা। সুন্দর একটা গল্পের শেষটায় একটু দাগ লেগে গেল।



পাদটীকাঃ কিন্তু শেষ হইয়াও গল্প শেষ হলো না। পরদিন হাসানের কাজিন সৌরভ খবর দেয়। ভার্সিটির গেটে এক অটো ড্রাইভার একটা ফোন নাম্বার দিয়ে গিয়েছে। কারো ব্যাগ তার অটোতে রয়ে গেছে। সৌরভ তার ঠিকানায় গিয়ে ব্যাগটা নিয়ে আসে। গোসলের সময় ভেজা কাপড় ছিল। সেগুলো তিনি শুকিয়ে রেখেছেন। দায়িত্ববান লোকজন এখনও পৃথিবীতে রয়ে গেছে। সেই ব্যাগখানা আজকে ঢাকা এসে পৌঁছেছে। এক ছোটভাই সিলেট ছিল। সে নিয়ে এসেছে। কিন্তু সে তার ওয়ালেট আবার বাসের সিটে ফেলে এসেছে। তবে বাসের সুপারভাইজার জানিয়েছেন- ওয়ালেট সহীহ সালামতে তাদের গাবতলীর কাউন্টারে আছে।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১৪
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×