তারিখ ঠিক মনে নেই। তবে উক্তিটি ছিল ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এতটুকু মনে আছে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তির ওপর গড়ে উঠছে’। শক্তিশালী ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্রমে উন্নতির দিকে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার দূরদর্শী ও গতিশীল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হচ্ছে। বর্হিবিশ্বে বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে বাংলাদেশ বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
যদিও বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের রষ্ট্রপতির এ কথায় নতুনত্বের কিছু পান না। বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রাচীন কাল থেকেই ভালো। তাই হতে পারে দীর্ঘকালের বন্ধুর জন্য এতটুকু বলা তো বন্ধুর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। হয়তবা প্রথাসিদ্ধ হিসেবেই এমনটা বলেছেন।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ জানে না যে, গণতন্ত্র মানে কী? এরা জানে নির্বিঘেœ একটু চলাফেরা করতে আর গায়ে খেটে গতর ঠান্ডা করতে। তাই বাংলাদেশের মানুষের জন্য বোধ করি ভারতের রাষ্ট্রপতির কথা কোনো তাৎপর্য বহন করে না। তারা এখন গণতন্ত্র-মনতন্ত্র বুঝে না। বোঝে, দেশে যে গণহত্যা, গণধর্ষণ, গুম, খুন চলছে তা বন্ধ হয়ে যাক। বাবা-মা সন্তানকে বাইরে পাঠালে নিশ্চিন্তে থাকুক। রাজনীতিক ও সাধারণ মানুষের মাঝে দূরত্ব কমে যাক। নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হোক। মানুষ যার যার ধর্মকর্ম নিয়ে নিশ্চিন্তে একটি সুন্দর জীবন যাপন করুক। এতটুকুতেই বাংলাদেশের মানুষ সন্তুষ্ট। কোন দল এলো আর কোন দল গেল একমাত্র রাজনীতিবীদ ছাড়াই কেউই ওসব নিয়ে ভাবার সুযোগ পায় না বা আগ্রহ বোধ করে না। কারণ কোনো নতুল দল তাদের জন্য কোনো আর্শীবাদ নিয়ে আসে না। সবাই যে লাউ সেই কদু। এক মুদ্রার এপিট ওপিট। তাই জনগণ চায় জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা। সেটাতেই তারা বেজায় খুশী।