নাম শুনে হয়ে পড়ো না বিভ্রান্ত
ভেবো না আমায় উদভ্রান্ত, নই আমি দিকভ্রান্ত
এখানে নেই কোনো সরকারবিরোধী স্লোগান
এখানে নেই কোনো আপত্তিকর উত্থান
এখানে নেই কোনো কারান্তরীনের ভয়
এখানে নেই কোনো নির্যাতনের ক্ষয়
তাই বলে ভেবোনা এখানে নেই কোনো ক্ষোভ
নেই কোনো রাগ, নেই কোনো প্রতিবাদ
এখানেও চলেছে প্রতিরোধের মহড়া
এখানেও রয়েছে অস্ত্রের ঝনঝনানি
এখানেও রচিত হচ্ছে তীব্র কোনো প্রতিবাদলিপি
পদাঘাতের পটভূমিতে…
এখানে জনবল হলো আবেগ
এখানে অস্ত্র হলো ভালোবাসা
এখানে মিত্র হলে তোমরা
এখানে শত্রু হলাম আমি একেলা
বাধ সাধছি আমি তোমাদের ভালোবাসার পথের মাঝে
ছুঁড়ে ফেলতে চাইছি তোমাদের শত আবেগ, আমার আবেগের তোড়ে
ছিড়ে ফেলতে চাইছি ঐ বদ্ধ বইয়ের পাতা
যে বইকে তুমি সযত্নে আগলে রেখেছ তোমার হৃদয়ের মণিকোঠায়
ভাগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি তোমাকে সেই ঘর হতে
যে ঘরে নিত্যদিন সৃষ্টি হচ্ছে তোমার চিরসুখের বাসর…
আমার দাবী - দাওয়া আমি পেশ করেই যাচ্ছি
তুমি শুনলে কী শুনলে না খেয়াল না করেই
আমার চেতনার বিস্ফোরন আমি ঠিকই ঘটিয়ে চলেছি
সে চেতনা তোমার স্পর্শ করলো কি করলো না কর্ণপাত না করেই
আমি তোমাকে কাছে পেতে চাইছি
তোমার চুলারণ্যের বাঁকে অন্য কাওকে হারাতে দেখেও
আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাইছি, সেই ভালোবাসা
তোমার দরোজার সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়বে জেনেও
তোমার দুয়ার আমার জন্য বন্ধ জেনেও
আমি ক্রমাগত সেই দুয়ারে করাঘাত করে চলেছি…
এটা স্পষ্টত বেআইনী, এটা সুস্পষ্টত আইনের লঙ্ঘন
এর জন্য আমার পাওনা রয়েছে দন্ড
এবং, হয়তোবা আমি তা পেতেও শুরু করেছি
প্রতিনিয়ত অন্তর্দন্দ্বের ঘুর্ণিপাকে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মাধ্যমে
আজ আমার কবিতাও হয়ে পড়লো বেআইনী
আর আমি হয়ে পড়লাম, তোমায় নিয়ে কবিতা লেখার মাধ্যমে
অমার্জনীয় দন্ডে দন্ডিত আসামী…