প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে জার্মানী ছিল শক্তিশালী অবস্থানে, আর ব্রিটেন তথা মিত্রশক্তি ছিল পরাজয়ের পথে । ঠিক সেই মূহুর্তে একজন ইহুদী বৈজ্ঞানিক চেইম ওয়াইজম্যান এসিটোন নামক বিস্ফোরক দ্রব্য আবিষ্কার করেন, যা কাজে লাগিয়ে একের পর এক বোমা তৈরী ও হামলার মাধ্যমে ব্রিটেন তথা মিত্রশক্তি যুদ্ধে এগিয়ে যেতে থাকে । সেসময় মিত্রশক্তি অর্থ সঙ্কটেও ছিল, কিন্তু ব্যারন রথশ্চাইল্ড নামক ইহুদী ধনকুবের, যার সেসময় সম্পদের পরিমান ছিল প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তিনি মিত্রশক্তিকে অর্থের যোগান দেন, এবং সেই অর্থ ও বোমার উপরে ভর করেই মিত্রশক্তি জার্মানী তথা অক্ষশক্তিকে পরাজিত করে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ী হয় ।।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও মিত্রশক্তি হেরে যেতে বসেছিলো । কিন্তু, ইহুদী বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের পারমানবিক বোমা বানানোর তত্ত্ব আবিষ্কার এবং ইহুদী বিজ্ঞানী কার্ল ওপেনহাইমের আনবিক বোমা আবিষ্কার মিত্রশক্তিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র বানানো ও সেগুলো দিয়ে হামলা করে যুদ্ধজয়ের ক্ষমতা এনে দেয় ।। পাশাপাশি, সেসময় পৃথিবীর প্রকাশনা শিল্পের প্রায় ৯০ ভাগই ছিল ইহুদী লবীর আন্ডারে, উদাহরনস্বরুপ টাইম ওয়ার্নার কর্পোরেশন, যাদের প্রকাশনাগুলোর মধ্যে আছে দি নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা থেকে শুরু করে টাইম ম্যাগাজিন, সিএনএন, সিবিএস নিউজ, ফক্স নিউজ, টাইম ম্যাগাজিন, রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন ইত্যাদী । এর পাশাপাশি সব বড় বড় ব্যাংক, বীমা, এনজিও, কল - কারখানা ইত্যাদী ছিল ইহুদী ধনকুবেরদের টাকার উপরে প্রতিষ্ঠিত ।। দুই ইহুদী বিজ্ঞানীর বোমা আর এসকল ইহুদী প্রতিষ্ঠানের অর্থের উপরে দাড়িয়ে মিত্রশক্তি তথা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, এরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও জয়লাভ করে ।।
হিটলার এজন্যই ইহুদী মেরেছিলেন । চেইম ওয়াইজম্যান, ব্যারন রথশ্চাইল্ড, আইনস্টাইন, কার্ল ওপেনহাইম এরা সকলেই ছিলেন জার্মানীর অধিবাসী । যুদ্ধের প্রথম দিকে যখন জার্মানী জিতে চলেছিলো, তখন এরা জার্মানীকে অস্ত্র এবং অর্থ উভয়ের সহায়তা দেয়ার কথাই বলেছিলো । কিন্তু যখন তারা দেখলো জার্মানী দূর্বল হয়ে পড়ছে, তখন তারা ব্রিটেনের সাথে যোগ দেয় এবং ব্রিটেনকে সাহায্য করা শুরু করে ।। এমনকি, বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থা, যেটার সদর দপ্তর ছিল প্রথমে বার্লিনে, সেটাকেও তারা সরিয়ে নিয়ে যায় লন্ডনে । চেইম ওয়াইজম্যান নিজে ছিল ব্রিটেনের সমরাস্ত্র মন্ত্রনালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ।। এজন্যই হিটলার ইহুদীদেরকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন, বলেছিলেন এরা বেচে থাকলে ভবিষ্যতেও একই কাজ করবে, তাই এদেরকে মেরে ফেলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ ।। তবে, তিনি ষাট লাখ ইহুদী মেরেছিলেন এটা গাঁজাখুরি গল্প, হিটলারের নামে ব্রিটেন - ফ্রান্স - আমেরিকান লেখক আর মিডিয়ার অপপ্রচার, কারন হিটলার ক্ষমতায় আসেন ১৯৩৪ এ, সেসময় জার্মানীতে ইহুদী ছিল মাত্র পাঁচ লাখ, আর ১৯৬২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জার্মানীতে তখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখের মত ইহুদী ছিল । ৬০ লাখ ইহুদী না কোনোকালে জার্মানীতে ছিল, আর মেরে ফেলার পর ঐ পাঁচ লাখ কিভাবে জার্মানীতে রয়ে গেলো সেটাও এক বিরাট প্রশ্ন ।।
যাই হোক, ইহুদীরা এতসব সাহায্য কেবল একটা কারনেই করেছিলো, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য । ইহুদীদের পরিকল্পনার ছিল দুটি অংশ, একটি হলো জমি কেনা, আরেকটি হলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইসরায়েল বিষয়টি ফুঁটিয়ে তোলা । একদিকে ব্যারন রথশ্চাইল্ডের মত ইহুদী কোটিপতিরা ফিলিস্তিনে একের পর জংলা জমি, অনুর্বর ক্ষেত, খানা - খন্দ কিনে চলেছিলো, আরেকদিকে বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থার নেতারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালী, রাশিয়া, ভারত, মিসর প্রভৃতি দেশে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চলেছিলো ।।
আর আজ, সবকিছুই আমাদের সামনে পরিষ্কার ।। একের পর ফিলিস্তিনি মরছে, ১৮০০ মুসলমান, তার মধ্যে ৪০০ বাচ্চা, যাদের বয়স ১২ বছরের কম, মরে গেলো, অথচ সবাই চুপ । আমেরিকা অস্ত্র পাঠাচ্ছে, ব্রিটেন - ফ্রান্স - মিসর হামাসকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছে, জাতিসংঘ ইসরায়েলকে বৈধতা দিয়ে এখন আবার ফাকা বুলি ছোড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।।
হায়রে সেলুকাস…