ঈদুল আজহা দিবসে কোরবানী অপেক্ষা বনি আদমের অন্য কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন কোরবানীকৃত পশু শিং, লোম, এবং খুর সহ উপস্থিত হবে।
আর কোরববনীর পশুর রক্ত মাটিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা নেকির আশায় আনন্দের সাথে কোরবানী কর। তিরমিজি, মেশকাত- ১২৮
● যে জন্তু দ্বারা কোরবানী জায়েজ।
►-|═══════-
১) উট, গরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া এগুলো নর হোক মাদী অথবা খাশী হোক। উল্লেখিত পশু ছাড়া অন্য পশু দ্বারা কোরবানী জায়েজ নেই।
২) বন্যপশু দ্বারা কোরবানী জায়েজ নেই। ( হিন্দিয়া ২/৩১৯ )
● কোরবনীর পশুর বয়স।
►-|═══════-
৩) গরু, মহিষ, এগুলোর বয়স পুর্ণ দু'বছর্
৪) উটের বয়স পুর্ণ পাঁচ বছর। ( হেদায়া ৪/৪৩৩, ফতোয়ায়ে শামী ৬/৩২২)
৫) ভেড়া, দুম্বার বয়স পূর্ণ এক বছর। তবে ছয় মাসের ভেড়া দুম্বা শারিরীক দিক দিয়ে এক বছরের মত হলে এর দ্বারা কোরবানী জায়েজ।
৬) ছাগল যত মোটাতাজা হোক ১ বছরের ১ ঘন্টা কম হলেও কোরবানী হবেনা। ( ফতোয়ায়ে শামী ৬/৩২১-২২ )
♣ কোরবানীর জন্তুর গুনাবলী।
কোরবানী শব্দের অর্থ উৎসর্গ করা, ত্যাগ-সীকার, নৈকট্য অর্জন করা। ইসলামী শরিয়তে কোরবানী বলা হয়; নির্দিষ্ট পশুকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য জবেহ করা। ( মাজমাউল আনহার ২/২৯৭ )
নৈকট্য লাভের জন্য উত্তম বস্তু উপস্থাপন করা হয়। তাই আমরা ত্রুটিমুক্ত কোরবানীর পশু জবেহ করে থাকি। " তোমরা মোটাতাজা জন্তু কোরবানী কর, কারণ এ জন্তু পুলসিরাতের উপর তোমাদের বাহন হবে " ( বাদায়েউস সানায়ে ১/৮০ ) কোরবানীর পশু হৃষ্টপুষট হওয়া উত্তম। ( মুসনাদে আহমাদ ৬/১৩৬, আলমগিরী ৫/২৯৭, বাঃ সানায়ে ৪/২২৩ )
►-|════════-
৭) অন্ধ, কানা, খোঁড়া জন্তু দ্বারা কোরবানী জায়েজ নেই। ( জামে তিরমিজি ১/২৭৫, ফতোয়ায়ে শামী ৬/৩২৩ )
৮) জন্মের পর থেকে শিং না উঠে থাকলে কোরবানী জায়েজ আছে। শিং থাকলে অর্ধেকের বেশি ভাঙা বা গোড়া থেকে মূল সহ ভাঙা হলে জায়েজ নেই। ( জামে তিরমিজি ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাঃ সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগিরী ৫/২৯৭ )
¤ এপোর্যন্ত আমার সংগ্রহ থেকে দিলাম।
একেকজনকে একেক ধরণের মাসয়ালার সম্মুখিন হতে হয়। কার কোন বিষয়ের মাসয়ালা প্রয়োজন এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। http://www.alkawsar.com/article/740 আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন।