somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিধর্মী কর্তৃক ইসলাম অবমাননা এবং আমাদের ইসলামপ্রীতির বাস্তবতা। (৫) আশেকে রাসূল সমাচার।

২২ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Click This Link (4) দেওয়ানবাগী কেবলা কাবা ১৯৮৯ সালে এক ঐতিহাসিক স্বপ্ন দেখে।
( স্বপ্ন শুধু হুজুর কেবলা দেখে তাইনা, কেবলা কাবার সমর্থনে মুরিদানরাও বিখ্যাত বিখ্যাত স্বপ্ন দেখার যোগ্যতা রাখে। )
তার স্বপ্নের বর্ণনাঃ আমি দেখি, ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল মনোরম বাগান। ঐ বাগানে আমি একা হেঁটে বেড়াচ্ছি। হঠাৎ বাগানের এক স্থানে একটি ময়লার স্তুপ আমার চোখে পড়ল। আমি দেখতে পেলাম, ঐ ময়লার স্তুপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় ( আমি এম আশিক লিখতে মনে কষ্ট অনুভব করছি। ) হযরত রাসূল সাঃ এর প্রাণহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে। তাঁর মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাটুতে ভাঁজ হয়ে গাড়া অবস্থায় রয়েছে। হযরত কে এ অবস্থায় দেখে আমার ভীষণ কষ্ট লাগল। আমি তাঁকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। সেখানে আমার সাহায্য করার মত কোন লোক পেলাম না। তখন আমি নিজেই হযরত হযরত রাসূল সাঃ কে উদ্ধারের জন। এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম। ষাথে সাথেই হযরত রাসূল এর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল। তিনি চোখ মেলে আমার দিকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ধর্মের পূর্জীবনদানকারী! ইতিপূর্বে আমার ধর্মকে আরো পাঁচবার পূনর্জীবন লাভ করেছে। একথা বলে হুজুর সাঃ উঠে দাঁড়িয়ে আমার সাথে হেঁটে চলে আসলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল। (রাসূল কি সত্যি@ই গরীব ছিলেন? প্রকাশ ১৯৯৯ পৃঃ ১১-১২। )
¤ প্রিয় পাঠক!
চিন্তা করুন, মুসলমানের লেবাস ধরে যখন নবী সাঃ কে নিয়ে এরকম অবমাননাকর কিচ্ছা কাহিনী রচনা করে, তখন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মুরতাদ, বিধর্মীরা এ সুযোগ হাত ছাড়া করবে কেন?
এবার তার স্বপ্ন নিয়ে একটু আলোচনা করি। কথা হলঃ সে কি আসলে স্বপ্ন দেখেছে? নাকি বানিয়েছে?
ধরে নিলাম সে স্বপ্ন দেখেছে। তাহলে তা'বির ( স্বপ্নের ব্যখ্যা ) অনুযায়ী বলা হয় নবী সাঃ কে কেউ হাসি খুশি অবস্থায় স্বপ্নে দেখলে এটা তার ঈমান নিষ্কলুতার পরিচয়। মলিন চেহারায় দেখার অর্থ ঈমান দুর্বলতার পরিচয়। এখন কেমন ভেজাল ঈমানদার হলে নবী সাঃ কে ময়লার স্তুপে প্রাণহীন অবস্থায় দেখতে পারে তা সহজেই বোঝা যায়। নবী সাঃ কে মৃত দেখে দেঃবাগী ভন্ড প্রমান করেছে তার ঈমান মৃত অর্থাৎ সে বেঈমান। আবার তার ধৃষ্টতা দেখুন, একজন ভন্ড-বেঈমান হওয়া সত্বেও নবী সাঃ এর হাটুতে হাত দেয়ার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে পাওয়ার কথা বলে খোদার আসনে ভাগ বসানোর মত চরম ধৃষ্টতা দেখিয়ে দিল। আর তার মত ভন্ড এবং বেঈমান নবী সাঃ কে স্বপ্নে দেখেছে এটা গাজাখুরী কথা। এটা স্বপ্ন নয়, বানানো কিচ্ছা। একটা হাদিস শরিফে দেওয়ানবাগীর ভন্ডামী কিভাবে ফাঁস হয়েছে দেখি-
হযরত জাবের ইবনে সামুরা রাঃ হতে বর্ণিত, নবী সাঃ এরশাদ করেনঃ এই দ্বীন ইসলাম চিরস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। এবং মুসলিমদের একটি জামাত ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই দ্বীনের উপর অটল থেকে অব্যহত লড়াই চালিয়ে যাবে। ¤ সহিহ মুসলিম- ৫০৬২, মুসনাদে আহমদ- ২১০২৩, কানজুল উম্মাল- ৩৪৪৯৫।
# হাদিসের সারমর্ম হলঃ কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম মৃত হবেনা। আর দেওয়ানবাগী ভন্ডের ধর্মমতে ইসলামের পাঁচবার মৃত্যু হয়েছে।
এভাবে সে স্বপ্নের বর্ণনা দিয়ে নিজের কপালে আগুন♛♛ জ্বালানোর ব্যবস্থা করেছে।
►-|══════════════-
দেওয়ানবাগ দরবারের এরকম ভন্ডামীর লিস্ট অনেক লম্বা। আমি দেওয়ানা মুরিদানের একজন মুরিদের স্বপ্নের ঘটনা দিয়ে উপসংহার টেনে চলমান প্রবন্ধের অন্য আলোচনায় যাব।
আগেই বলেছি হুজুর কেবলার সমর্থনে মুরিদরাও স্বপ্ন দেখতে পারঙ্গম। আর দেঃবাগী ভন্ডের ধর্মীয় সমস্ত কর্মকান্ডই দুঃস্বপ্ন-কূস্বপ্নের মাধ্যমে সমাধান হয়।
☻যেমনঃ
*۩ দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলা কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্বেও হজ্ব করেনা বলে এক সময় ভক্ত অভক্তের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়।
*۩ দেঃবাগী হুজুর তার ধর্মব্যবসার বই গুলো মানুষকে খাওয়ানোর জন্য
*۩ এমপিদের দস্তখত জাল করে।
*۩ ওদিকে শশুর বাড়ির শালা-সুমন্দী আর হারামজাদাদের আদুরে ঠ্যাঙানী খাওয়ার পর হজ্বে যাওয়া দুরে থাক সাঙ্গপাঙ্গ ছাড়া রাস্তায় গেলে গণধোলাই অনিবার্য তার অভিজ্ঞতা কেবলা কাবার হয়েছে। এখন হজ্বে না যাওয়ার তাৎপর্য, ফায়দা কিভাবে দেওয়ানা মুরিদদের খাওয়াবে চিন্তায় বিভোর, প্রধান প্রধান পেঁটেভাতে খাছ মুরিদরাও পেরেশান। স্বপ্ন না দেখা পর্যন্ত সমাধান সম্ভব নয়। অবশেষে সব টেনশন গায়েব করতে এক মুরীদ স্বপ্ন না দেখে আর পারলনা।
স্বপ্নটা দেখে ফেলল একজন স্ব ঘোষিত মাওলানা। নাম তার আহমদ উল্লাহ যুক্তিবাদী। গ্রাম- সরুলিয়া, থানা- ডেমরা, জেলা- ঢাকা।
→→ চলবে >>
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৩৬
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×