শাহবাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলাম আন্দোলনকারী দের অবস্থা জানার জন্য। পাবলিক লাইব্রেরীর মুখেই পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের ছেলেরা হাতে রড, রামদা,লাঠি, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ইত্যাদি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়েরপরিচয় পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেনা। আমি প্রাক্তন ছাত্র এবং পুরোনো পরিচয় পত্র দেখিয়ে ঢুকে গেলেও কয়েকজন নজরুল এর মাজার এর সামনে আটকে দিলো। তাদের হাতে কাপড়ে মোড়ানো রামদা। তাদের মিথ্যে বলে সামনে আগালাম। রোকেয়া হলের গেইট পর্যন্ত চলছে ছাত্রলীগের মহড়া। সবার হাতে অস্ত্র, মাথায় হেলমেট, কেউ কেউ আবার মুখোশ পড়া। তারা ঢিল ছুড়ছে রোকেয়া হলের গেইটে এবং তার সামনে, সম্ভবত যেখানে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়েছে। হাকিম চত্বর দিয়ে ঢুকে মল চত্ত্বর দিয়ে বের হলাম। এক উদ্দাম নেতা অপরাজেয় বাংলায় রামদা শান দিচ্ছে। কয়েকজন গাছের ডাল কেটে অস্ত্র প্রস্তুত করছে। মহসীন হলের সামনে যাবার পর চোখ পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়েরনীলক্ষেত গেইট দিয়ে ২০/৩০ জন হেলমেট পড়িহিত যুবক হাতে কাপড়ে মোড়ানো রামদা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে।"আইজকা শুধু লাশ ফালামু" কারও উচ্চকণ্ঠের হুংকার কানে আসলো। আমি ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতে থাকলাম নীলক্ষেত গেইট এর দিকে। হেলমেট পড়া, চাপাতি হাতে দ্বিতীয় দলটি আমার শরীর ঘেঁষে চলে গেলো। আমার পবিত্রদেহটা অপবিত্র হয়ে গেলো। ওরা আদতে আমাকেও খুন করে গেলো।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নীলক্ষেত এর বাইরে তো ঢাবির কোনছেলেদের হল নেই। তাহলে এই মুখোশধারী চাপাতি/রামদা হাতে যুবকেরা কারা
সংগৃহীত RH Rudrois এর ফেইসবুক ওয়াল থেকে