somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় সরকার অনুগ্রহ করে জামাত কে নিষিদ্ধ করার মত আত্মঘাতি পদক্ষেপ নিবেন না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১৩ সালে সারা দেশ জুড়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে শাহবাগে প্রথম কিছুদিন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত গণমানুষের যে আন্দোলন হয়েছিল, তার অন্যতম দাবি ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এ কথা সবারই জানা ছিলো যে কমপক্ষে চারটি রাজনৈতিক দল দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। সে সময় গড়ে ওঠা বেসামরিক প্রশাসন, বেসামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং ডেথ স্কোয়াডগুলোর নেতৃত্ব এবং সদস্য প্রধানতই এসেছে এই চারটি দল থেকে। দলগুলো হলোঃ জামায়াতে ইসলামী, নেজাম-ই-ইসলামী, পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। এর মধ্যে জামাতে ইসলাম বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে রাজনৈতিক, সামরিক ভাবে সাহায্য করার জন্য দ্যর্থহীনভাবে প্রমানিত হয়েছে।

স্বাধীনতার বিরোধীতা করা জামায়াতের চারিত্রিক ধর্ম এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন তাদের রাজনৈতিক মুলমন্ত্র। এর প্রমান পাওয়া যায় পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময়ও। ১৯৪১ সালে যখন ভারতবর্ষের কম্যুনিস্ট বিরোধী শক্তি হিসেবে "জামায়াতে ইসলামী হিন্দ" নামে দলটি গঠিত হয় তখন তারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধীতা করে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ফতোয়া দেন যে মুসলীম লীগ, জিন্নাহ এরা কেউই “খাটি মুসলিম” না। হাস্যকর হচ্ছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়, সেখানেও এই ধর্মীয় বিভাজন ও খাঁটি মুসলিম তত্ব ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান নামক কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হলে সেটা “আহাম্মকের বেহেশত” এবং “মুসলমানদের কাফেরানা রাষ্ট্র” হবে।

প্রিয় পাঠক, আজকে যুদ্ধপরাধের দায়ে যখন জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে, তখন পাকিস্তানের আস্ফালন, অনায্য প্রতিবাদ দেখে যদি আপনার হাসি না পায়, তাহলে আপনার রসবোধ নিয়ে নিজেই চিন্তিত হোন। এটা সময়ে দাবি।

আপনাদের নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে, যে দলটির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই দলটি কিভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়? আমারও একই প্রশ্ন ছিল। কিছু বই এবং ইন্টারনেটে একটু খোঁজাখুঁজি করতেই অনেক তথ্য পেলাম। এত সব তথ্য লিখতে হলে ব্লগ পোস্ট না বই লিখতে হবে। জামায়াতে ইসলামী: পুনরুত্থান ও নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গ আলী রিয়াজ নামক এক ভদ্রলোক একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি দারুন ভাবে জামায়াতে ইসলামীর পুনরুত্থান নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাদের সাথে ঘটনাটি শেয়ার করছি। চলুন একটু পিছনে যাওয়া যাক।

১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর। কার্যকর হলো বাংলাদেশের সংবিধান।
সংবিধান কার্যকর হবার পর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২ এবং অনুচ্ছেদ ৩৮-এ ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করার ফলে এটা মনে করা হয় যে, ধর্মের বিবেচনায় সংগঠন করা যাবে না। ফলে দল হিসেবে এই সব দলেরই অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায়। কিন্ত আইনীভাবে এই সব দলকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই জারি করা গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত আইনেও কোনো সংগঠনকে অভিযুক্ত করার বিধান না থাকায় সাংগঠনিকভাবে এই দলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কোনো বিধান রাখা হয়নি, বিবেচিতও হয়নি। ফলে জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগসহ কোনো দলকেই ১৯৭১ সালে তাঁদের ভূমিকার জন্য জবাবদিহি করতে হয়নি।

আমি জানতে চাই, কেন কোনো সংগঠনকে অভিযুক্ত করার বিধান রাখা হয় নি? কি কারন ছিল? এত বড় একটা ফাঁকের কি রহস্য ছিল?

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ঘটনা ঘটে ১৯৭৪ সালে। এই বছর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবাসিত লাখ লাখ বাঙ্গালীর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের নায়েব-ই-আমীর মওলানা আবদুর রহিম বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং জামায়েতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক ভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটাই ছিল প্রথম বড় ধরণের পদক্ষেপ। এক অর্থে জামায়াতের পুনর্জীবন লাভ। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা।

হে আমার দেশের নিরব রহস্যময় ইতিহাস, হায় তৎকালীন প্রশাসন! হায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা! ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত ভেজা মাটি যখন শুকাতে পারে নি, তখন কিভাবে এত বড় একটি কালসাপকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হলো? এত উদার মন নিয়ে, এত অদুরদর্শী চিন্তা ও আবেগ নিয়ে কি একটি দেশ পরিচালনা করা যায়? আপনি এবং জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ডে কি আমাদের জাতির জন্য অন্ধকার বয়ে আনে নি? আমরা কি পিছিয়ে পড়ি নি?

পরবর্তীতে, ১৯৭৩ সালের ১৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের দেয়া অনুকম্পা কিংবা ৩০ নভেম্বরে ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা জামায়াত সহ অনেক দলের নেতার মুক্তির ব্যবস্থা করলেও গণহত্যায় যুক্তদের যেমন সম্ভাব্য বিচারের হাত থেকে রক্ষা করেনি ঠিক একই ভাবে দলগতভাবে কোনো দলকে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেনি। আটক ও বিচারাধীনদের জন্য দায়মুক্তির ব্যবস্থা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সামরিক শাসন জারির পর – ৩১ ডিসেম্বরে।

প্রিয় পাঠক, জামায়েতে ইসলাম দল জন্য আদর্শিকভাবে দরজা খুলে দেয়া হয় ১৯৭৭ সালের ২৩ এপ্রিল সামরিক ফরমান জারি করে যখন রাষ্ট্রীয় আদর্শ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার অবসান ঘটানো হয় ঠিক তখনই। ১৯৭৬ সালের রাজনৈতিক দলবিধি দলগতভাবে জামায়াতে ইসলামীকে আইনী বৈধতা না দিলেও মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের রাজনৈতিক সংগঠন করার আইনী অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল – এক আইনের আওতায় তিনটি প্রধান স্বাধীনতা বিরোধী দল বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার লাভ করে। বাংলাদেশে প্রায়-মৃত জামায়াতে ইসলামীর শরীরে নতুন রক্ত সঞ্চালনের ঘটনা সেই প্রথম।

ইতিহাসের সত্য বড়ই নির্মম ও এক পেশে। কেননা সত্য সব সময়ে সত্যের পক্ষেই থাকে। সত্যের কোন আবেগ নেই, দল নেই, নীতি নেই। এই দেশে জামায়াতের বিস্তারের দায়ভার আমাদের পূর্ববর্তী শাসকগণ কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।

ইতিমধ্যে জামায়াত বাংলাদেশে জাকিয়ে বসেছে। স্বাধীন দেশে রাজাকারদের গাড়িতে উড়েছে জাতীয় পতাকা! শুরু হলো আর্থিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠানে জামায়াতের বিনিয়োগ। ফলাফল আসতে শুরু করে অচিরেই। অধ্যাপক আবুল বারকাত ২০০৫ সালে একটি গবেষনা করেছিলেন। সেখানে দেখা গেছে জামায়াতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ থেকে ৯ ভাগ। তারা প্রতি বছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে শুধু রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গি কর্মকান্ড ছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা ব্যয়, রাজনৈতিক কর্মীদের বেতন, জনসভা আয়োজন ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ।

তাদের ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা মুনাফার ২৭ শতাংশ আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যার মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক, বীমা ও লিজিং কোম্পানি। ২০ দশমিক ৮ শতাংশ আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে, ১০ দশমিক ৮ ভাগ আসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে। ১০ দশমিক ৪ ভাগ আসে ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে। ৯.২ শতাংশ আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ৮.৩ শতাংশ আসে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে। যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও সংবাদ মাধ্যম থেকে আসে ৫.৮ শতাংশ।

আপনি মানেন বা না মানেন কিছু সত্য তিক্ত কথা বলি। এই দেশে প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে কোন গণতান্ত্রিক কাঠামো নেই। দল চলছে পরিবারতন্ত্রের ছায়া অবলম্বনে। আওয়ামীলীগের বর্তমান জীবিত কেউ আশা করতে পারে না, তিনি শেখ হাসিনার অবর্তমানে দলের প্রধান হবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। সবার চোখ জয়ের দিকে। বিএনপিরও একই অবস্থা বরং অবস্থা আরো প্রকট এবং তারেক জিয়াকেই ভাবা হচ্ছে পরবর্তী কান্ডারী। এই জয় ও তারেক রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন হোক বা না হোক, তারা সৎ হোক বা অসৎ কিচ্ছু আসে যায় না, তাদের সবচেয়ে বড়গুন যথাক্রমে দুইজনের মা ই দেশের দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান।

সেই তুলনায় জামায়াত একটা দলীয় গনতন্ত্র রক্ষা করে চলে। তা না হলে জামাতের আমীর রাজাকার গোলাম আজমের ছেলে আজমীই দলটির আমীর হতো। তৃনমূল পর্যায়ে জামায়াত যেভাবে তাদের কর্মীদের সাইকোলজিক্যালি হ্যান্ডেল করে, ব্রেনওয়াস করে, তার ১০ ভাগও আমাদের এই দুই দল করতে পারে না। এমনও দেখেছি এরা কোন একটা অঞ্চলকে টার্গেট করে কাজ করে। এলাকার গরীব, সহজ সরল ধর্ম প্রাণ মানুষরাই এদের টার্গেট। জীবন এদের সাথে বড়ই নির্মম আচরন করেছে, টাকার অভাবে হয়ত কোন ছেলের বাবা মা চিকিৎসা বন্ধ, বোনের বিয়ে দিতে পারছে না, ব্যবসা করার পুঁজি নেই। এদের সামনে হাজির হয় জামায়াতে ইসলামীর লোকরা। বেঁচে থাকার তাগিদে এরা পা দিয়ে ফেলে জামায়াতের চালে। কেউ টাকার বিনিময়ে টাকা দিয়ে সাহায্য করে, কেউ করে প্রাণ দিয়ে। আপনার বিপদে যে আপনার ইজ্জত বাঁচিয়েছে, পাশে দাঁড়িয়েছে, তার পাশে আপনি দাঁড়াবেন, এটাই স্বাভাবিক। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ধর্মভীরু মানসিকতা। অনেকেই যখন বুঝতে পারেন, তখন আর ফেরার পথ থাকে না, অনেক দেরী হয়ে যায়।


যাইহোক, ধান বানতে শীবের গীত গাইলাম। মুল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বর্তমানে জামায়াতের তরুন প্রজন্মের অধিকাংশ কর্মী চান, তাদের দলে যে সকল নেতাদের গায়ে যুদ্ধাপরাধের দাগ লেগে আছে, তাদের ফাঁসি বা আজীবন কারাগারে থাকার দন্ড সম্পন্ন হয়ে যাক। কেননা, এই যুদ্ধাপরাধের ইস্যুর কারনে এই দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ জামায়াতকে কখনই ভোট দেয় নি, ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়েও জামায়াত থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যদিও ইসলামের সাথে জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই। জামায়াত যদি ইসলাম হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে পৃথিবীতে ইসলাম বিলুপ্ত হয়েছে।

জামায়াতের তরুন কর্মীরা চায় সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করুক। এতে লাভ, জামায়াত নতুন নামে আবার সহজে ফিরে আসতে পারবে। তাদের চিন্তা চেতনা, রাজনৈতিক আদর্শ সবই অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু নতুন বোতলে পুরানো মদ। এই দেশের অধিকাংশ মানুষ যতই আওয়ামীলীগ বা বিএনপি বিরোধী হোক না কেন, জামায়াতকে ভোট দিবে না। কেননা এই দেশের মানুষের মনে আজও একাত্তরের ক্ষত শুকিয়ে যায় নি। কিন্তু যদি জামায়াত ভিন্ন নামে আত্ম প্রকাশ করে তাহলে ধর্মভীরু বাঙালি, মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ বাংলাদেশীরা তাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলেও আনতে পারে। এই সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেননা এই সরকার যেভাবে ক্ষমতায় আছে, তারা তা স্বীকার না করলেও তারা জানেন, প্রকৃত অবস্থাটা কি এবং কতদিন এইভাবে তারা চালাতে পারবেন।

ফলে যদি কখনও নতুন বোতলে পুরানো মদ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ক্ষমতায় চলে আসে, তা হবে আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের অপমান। তাই এই ধারনা থেকে এটা বলা আবশ্যক যে এই ধরনের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে চাইলে সরকারকে যথেষ্ট পরিমানে সতর্কতা অবলম্বন করে এবং প্রস্ততি নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ সব পদক্ষেপের জন্য সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা-শক্তির এবং ঝুঁকি নেবার প্রস্ততি আছে কিনা তা সরকারই ভালো বলতে পারবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×