কুরআনে প্রায় বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের (আয়াত আরবি শব্দ, এর সাহিত্যিক অর্থ নিদর্শন) সংখ্যা প্রায় ৬২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)। প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম রয়েছে। নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়েছে। অনেকেই বলেন, সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত কোনো শব্দকেই নাম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। কিন্তু যদি আমরা ফাতিহা সুরাটি পড়ি, সেখানে ফাতিহা শব্দটি যা সূরার অভ্যন্তরে কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। তাহলে এই সুরাটির নামকরন কে করল?
আমরা দেখেছি যে কোরানে বর্ণিত সূরাগুলোর একটি নির্দিষ্ট সজ্জা রয়েছে। কিন্তু এই সজ্জাকরণ তাদের অবতরণের ধারাবাহিকতা অনুসারে করা হয়নি। বরং দেখা যায় অনেকটা বড় থেকে ছোট সূরা অনুযায়ী সাজানো; কিন্তু এটিও পুরোপুরি সঠিক নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে এই সূরাগুলোকে সজ্জিত করা হলো। এই সজ্জাকরন কি প্রফেট মোহাম্মদ (সাঃ) জীবিত থাকাকালীন সময়ে হয়েছে কিনা?
ইসলামের বেসিক কি? ব্যাসিক হচ্ছে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয় এবং নবী মোহাম্মদ (সাঃ) তাঁর প্রেরীত রাসুল। আমরা এটাও জানি যে, মোহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী, তাঁর মাধ্যমে খতমে নবুয়ত হয়েছে। আমরাও এটাও জানি, কোরানের আয়াত সমুহ সম্পূর্ন অবিকৃত অবস্থায় আছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে, কে বা কারা, কার অনুমোদনের ভিত্তিতে কোরানের এই সজ্জাকরন করেছিলেন? বা বিভিন্ন সুরা ও আয়াতের খেতাব এবং পারা হিসেবে কারা ভাগ করেছেন?
যদি এই সম্পর্কিত কোন সঠিক তথ্য আপনাদের কারো জানা থাকেন, তাহলে উপযুক্ত রেফারেন্সসহ আমার সাথে শেয়ার করবেন।
কোরান শরীফকে আয়াতের দিক দিয়ে আমরা শতভাগ অবিকৃত হিসেবে জানি, কিন্তু যদি আল্লাহ বা রাসুল (সাঃ) অনুমোদন ছাড়া এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়, তাহলে কোরান কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে - এই অভিযোগটি কি সত্যতা পাবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার সক্ষমতা দান করুন। দ্বিতীয় প্রশ্ন হজ্জ সম্পর্কিত। ইনশাল্লাহ সেটা আগামী পর্বে জিজ্ঞেস করব।