কাহিনীর শুরু এখান থেকেই। বাথরুম থেকে বের হয়েই টের পেলাম খিদে পেয়ে গেছে। ঘরে বিস্কুট শেষ কমলাও নেই। কি মুশকিলেই না পড়লাম...এক রাতের ভাত কয়বার খাবো
কী করা যায় কী করা যায় চিন্তা ভাবনার এক পর্যায়ে এক আন্টির কথা মনে পড়ে গেল। আন্টি চালের গুড়া, ডিম, পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে একটা পিঠা বানানো শিখিয়েছিলেন। জানতাম চালের গুড়া নেই। ঠিক করলাম বেসন আছে তাই দিয়ে কাজ চালাবো। যেই ভাবা সেই কাজ।
রান্না ঘরে গিয়ে একটা বাটিতে নিলাম একটু বেসন দিলাম তাতে একটু লবন, পাঁচফোড়ন গুড়া, একটা পেঁয়াজ, একটা মরিচ কুচি। এবার একটা ডিম ভেংগে অল্প পানি দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। চুলায় তেল দিয়ে গরম করে তাতে একটু করে বেসন নিয়ে তেলে ভেজে নিলাম। রান্না ঘরে কাজের ফাঁকে ভাবছিলাম সব ঘুমে আমি একাই জেগে আছি কিন্তু খেয়াল করে শুনি চুলার পাশে রাখা মুরগীর বাচ্চার বাক্স থেকে চিউ চিউ আওয়াজ আসছে। ভাবলাম যাক আমার ছানা-পোনা জেগে গেছে আমার আলাপ পেয়ে
ভাজা হলে রুমে নিয়ে খেয়ে ফেলিনি কিন্তু। আপনাদের কথা মনে ছিল তাই আগে ছবি তুলে নিলাম
খেতে গিয়ে দেখি গলায় আটকে আসছে। পানি খএয়েও কাজ হলনা
আম্মা দুপুরে টমেটোর টক রান্না করেছিলেন। পরে তাই দিয়ে ভিজিয়ে খেলাম
এবার মেগা সাইজের দুই গ্লাস পানি খেয়ে শুয়ে পড়লাম
শুয়ে শুয়ে টের পেলাম পেটের পাগলা কুত্তাটা ঘেউ ঘেউ বন্ধ করলেও পুরোপুরি না
এবার আবার পুরোদমে শুরু করলে রক্ষা নেই ভেবে তাড়াতাড়ি কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর জন্যে দোয়া-দুরুদ পড়ে শুরু করলাম। কোন ফাকে যে ঘুমিয়ে পড়েছি টের পাইনি আর
ওহ! আমার ছানা-পোনা দেখবেন না
চেয়ারের উপর খাবার খেতে ব্যস্ত
খাওয়ার পরে একটু বিশ্রাম, সেই ফাকে ঘুম
পাশে কেউ না থাকলে ভাল লাগেনা। তাই কাউকে যেতে দেখলেই তার পেছন পেছন দৌড়

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



