জীবনের ই কিছু এই সিরিজের লেখাটা শুরু করেছিলাম আর হালকা-ফানি লেখা লিখবোনা বলে। ঠিক করেছিলাম এবার থেকে ভারী ভারী সিরিয়াস লেখা লিখবো। কিন্তু খাছিয়ত তো আর বদলায় না। সিরিয়াস কথা লিখতে যেয়ে সিরিকাস হয়ে গেছে। যাইহোক কি আর করা সিরিকাস এক কাহিনীই বলি আজকে।
২০১০ সালের একুশে বই মেলা চলছিলো তখন। কাউকে সাথী না পেয়ে একা একাই গিয়েছিলাম। অনেক বই কিনেছিলাম সেবার সাথে সিদ্দিকা কবীরের একটা বই ও ছিল। বাসায় এনে দেখতে দেখতে চোখ আটকে গেল মেয়নেজের রেসিপিতে। এর আগে নিউমার্কেটের কিংসে খেতে বসে শুনি এক মেয়ে ওদের মেয়নেজের প্রসংসা করে একেবারে রেসিপিটাই জানতে চেয়েছে। দোকানীও গলে গিয়ে রেসিপি বলে দিল। শুনে মনে হল এত সহজ! সহজ বলেই মনে ধরেনি। ভরসা পাইনি বানাতে।
যাগগে সে কথা। সিদ্দিকা ম্যাডামের বই খুলে দেখি আসলে দোকানীর বলা রেসিপির সাথে তেমন তফাৎ নেই। তাই ভাবলাম একবার ট্রাই করে দেখি।
আমি আবার যতসব এক্সপেরিমেন্ট বাসায় কেউ না থাকলে করি যাতে নষ্ট হলে চুপচাপ ফেলে দেওয়া যায়।
রেসিপি অনুযায়ী প্রথমে তেল ব্লেন্ড করলাম। দেখি তেলটা অনেক সুন্দর হয়ে সাদা হয়ে জমে গেছে যেরকম আমরা মেয়নেজ খাই। বেশ আনন্দই লাগল। কিন্তু ডিমটা দিতেই আমার সব(আসলে মেয়নেজ খাওয়ার) স্বপ্ন একেবারে কই যে পালিয়ে গেল টের পেলাম না!
পরে আস্তে করে টয়লেটে ঢেলে ফ্লাস করে দিলাম। আর খুব আফসোস হচ্ছিল এতগুলো তেল নষ্ট করলাম বলে, ডিমটা না বাদ ই গেল।
পরে অপস্রা আপুর কাছে জিজ্ঞেস করলে আপু যে সিস্টেম বলল তাতে দেখলাম আমার কোন ভূল ছিল না কিন্তু কেন যে হল না....
আজও রহস্যই রয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



