যদিও আমি রাঁধুনী হিসেবে একেবারে যাচ্ছে তাই, কখনো কখনো নিজের রান্না নিজের গলা দিয়েই নামতে চায় না
আজ তাই রান্না করতে গিয়ে মনে হলো দেখি নতুন কিছু আবিষ্কার করা করা যায় কিনা। সেই ভাবনায়-ই আজকের রেসিপি।
ভুমিকাটা অনেক বড় হয়ে গেলো। আমি এখন রেসিপির লেকচার শুরু করবো সবার নড়েচড়ে মনযোগ দিয়ে বসুন।
হ্যা ঠিক আছে....
শুনুন, আমি কাপ-চামচ মেপে রান্না করিনা হাতের আন্দাজে দিই। আপনারা পরিমানটা একটু এদিক সেদিক করে দেখতে পারেন (সম্পূর্ণ নিজ দ্বায়িত্বে)
উপকরণ
১। মুরগী : ১কেজি (পোল্ট্রি নিয়েছি)
২। পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
৩। আদা-রসুন বাটা: ১চা. চা. করে
৪। দারচিনি: দুই টুকরা
৫। এলাচি: ৪টা
৬। জায়ফল- জয়ত্রী গুড়া: এক চিমটি করে
৭। টক দই: ১/২ কাপ পরিমান (সামান্য বেশী হতে পারে)
৮। লবন, চিনি: পরিমান মত
৯। তেল: পরিমান মত (আমি তেল কম ব্যবহার করি)
১০। জর্দা রং: এক চিমটি
১১। আলু: ছোট সাইজের ৩/৪টি
১২। মটরসুটি: ১/২ কাপ
প্রণালী:
মুরগী একটু বড় টুকরো করবেন। ধুয়ে লবন, এক চিমটি হলুদ মেখে রেখে দিন কিছুক্ষন। তেল গরম হলে আলু হালকা ভেজে তুলুন এরপর মাংস গুলো ভাজুন। সেই তেলে পেঁয়াজ হালকা বাদামী করে ভাজুন। এবার তাতে লবন, চিনি, গরম মশলা, কাঁচা মরিচ,আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষান। এই সময় টকদইটা দিয়ে দেবেন। ভাল করে কষানো হলে মাংশ, জায়ফল-জয়ত্রী গুড়া ও জর্দা রং দিয়ে মাংস কষান। ভাল কথা, কষানোর সময় আলুটাও দিয়ে দেবেন। মটরসুটি সাথে বা পরে দিতে পারেন।
মাংস কষানো হলে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। এবার মাখা মাখা ঝোল থাকতে নামিয়ে সাদাভাত বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন........
কি পরিবেশন করবেন, নামটাই তো জানা হলোনা
আসলে কি যে হল এটা আমিও জানিনা। না রোস্ট, না ঝাল মাংসের ঝোল। তাই আমি এটার নাম দিয়েছি ঝোষ্ট!
ঝোল+রোস্ট= ঝোস্ট
স্বাদ কেমন হলো জানতে চাচ্ছেন তো
খাবারটা কিন্তু খুব একটা খারাপ হয়নি, সত্যি বলছি
কিছু বাদ পড়ে গেলে মনে করাই দিয়েন। আমি আবার রান্না করার সময় এটা-সেটা দিতে ভুলে যাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



