কি ব্যাপার বিরক্ত হয়ে গেলেন, ভাবছেন ভুয়া পোষ্ট। ভাজির কথা বলে ঝোলের গুণকীর্তন গাওয়া শুরু করে দিয়েছে! আরে বসেন বসেন। একটু গল্প-সপ করলাম আরকি, করলা ভীতি যাতে কেটে যায়।
তা যা যা লাগবে করলা ভাজিতে
১। অবশ্যই করলা: কুচি করে রাখা। এটার কোন পরিমান বললাম না। যতটা ভাজি করবেন, আপনার পরিমান মত
২। পেঁয়াজ কুচি। যে পরিমান করলা তার তিন ভাগে দেড়/দুই ভাগ পেঁয়াজ থাকতে হবে। পেঁয়াজ কম হলে তিতা লাগবে কিন্তু।
৩। তেল: একটু বেশি পরিমান ই লাগবে। (আম্মা বলেন কম তেলে ভাজি তিতা লাগে কিন্তু আমি বেশীর ভাগ সময় কম তেলেই করতে পারি এবং আলহামদুলিল্লাহ তিতা হয় না
৪। মরিচ+লবন: পরিমান মত।
যেভাবে করবেন ভাজি:
করলা কাটার আগে বা পরে ধুতে পারেন। পরে ধুলে পানি ভাল করে ঝরিয়ে নেবেন। তেল গরম করে তাতে করলা পেঁয়াজ মরিচ লবন দিন (আমরা চিংড়ি ছাড়া ভাজি করলে তাতে হলুদ দেইনা, আপনারা চাইলে দিতে পারেন)। এবার হালকা হাতে নেড়ে ছড়িয়ে দিন। চুলার আঁচ প্রথমে একদম কড়া করে দেবন। করলা প্রথমে একটু হালকা নেড়ে তার পর মাঝারি বা তার চাইতে সামান্য বেশী আঁচে রাখুন।
করলায় যেটুকু পানি ছিলো তা টেনে গেলে তেলে ভাজা হতে থাকবে। এর মাঝে মাঝেই হালকা উল্টে পাল্টে ছড়িয়ে দিবেন।
এভাবে ছড়িয়ে রেখে ভাজি করবেন
![]()
এবার পানি টেনে হালকা তেল উঠে এলে কাঁচা কাঁচা রং থাকতেই নামিয়ে ফেলুন। তার পর কড়াইয়ের চারপাশে গোল করে ভাজিটুকু ছড়িয়ে রাখুন কিছুক্ষন। তেল নিচে জমা হলে অন্য পাত্রে তুলে নিন।
এই হল কমপ্লিট ভাজি
![]()
অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই মনে রাখবেন
* করলা কচলে ধোয়া যাবে না
* ঢেকে বা অল্প আঁচে ভাজি করা যাবে না
* খুন্তি দিয়ে গুতাগুতি করা যাবে না
* ভাজির পর রং চেন্জ হতে পারবে না (দেখতে কাঁচা থাকবে কিন্তু আসলে কাঁচা থাকবে না)
শেষ কথা: কতটুকু বুঝাতে পারলাম আসলে জানিনা। আমি সব সময় চেষ্টা করি সহজে রেসিপি দিতে যাতে আপনাদের বুঝতে & করতে সহজ হয়। কতটা সহজ হয় সেটা আপনারাই ভাল বলতে পারবেন। রান্নাটা আসলে আমার মনে হয় হাতে কলমের জিনিস। না দেখলে শুধু বই-খাতা দেখে করাটা একটু কঠিন। রেসিপিটা একজনেরও যদি কাজে লাগে তবেই আমার স্বার্থকতা।
উৎসর্গ: আমার সকল করলা অপছন্দকারী ভাই-বোন, আংকেল-আন্টিকে
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



