somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মজার সত্য ঘটনা, বিবাহ অনুষ্টানের সময় বিভ্রান্ত।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিটি মানুষের জীবণে কোন না কোন এক সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা কখনো চির স্বরণীয় ও মজার হয়। এই রকম একটি মজার ঘটনা আপনদের সাথে শেয়ার করলাম।

আমার মা একবার আজ হতে প্রায় ১৪ বছর আগে ১৯৯৯ সালে, দিন তারিখ টিক মনে নেই, চট্টগ্রাম শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে (ষোলশহরের বিয়েবাড়ী) যান বিয়ের অনুষ্টানে। বিয়েটি ছিল আমার মা এর জেঠাত ভাইয়ের, যে বিয়েতে যাচ্ছিল আসলে সেই বিযের অনুষ্টানটি ছিল রাতে, কিন্তু আমরা কেউ ভাল করে বিবাহের দাওয়াত পত্রটি পড়ে দেখিনায়, আমি তখন এইচ,এস,সি ফাইনাল পরীক্ষার ব্যস্ততায় আমি মায়ের সাথে যেতে পারিনায়, মা আমার বড়ীস্থ আমার এক জেটাত ভাই কে নিয়ে যান সাথে ঐ বিবাহ অনুষ্টানে। রাতের বিবাহ হলেও ভুলে মা ও আমার জেটাত ভাই দিনের বেলায় চলে যায় কমিউনিটি সেন্টারে। বিবাহ অনুষ্টান স্থলে গিয়ে দেখেন সবাই অচেনা। কাউকে মা চিনতে পারতেছিল না।

সাধারণত বিবাহ অনুষ্টান স্থলে কনে পক্ষ ও কনে পক্ষের অথিতিরা আগে হাজির হয় কমিউনিটি সেন্টারে , বর পক্ষ হাজির হয় পরে। তায় প্রথমে মা প্রথমে ভাবছিল হয়তো কিছুক্ষণ পর আসবে বর পক্ষ ও বরযাত্রীরা,

কিন্তু একি ব্যাপার ইতি মধ্যে কয়েটি বাস বরযাত্রী বিবাহে অনুষ্টানে এসে দাওয়াত খেয়ে চলে গেছে কিন্তু মা কাউকে চিনতে পারলনা।

এবার মা চিন্তা করলো, পরে ভাবলো হয়তো বিবাহ অনুষ্টানে প্রচুর মেহমানের সমাগম হয়, সবাইকে তো চেনা সম্ভব নয়, হয়তো আরো বর যাত্রী আসবে পরে সেখানে পরিচিতরা থাকবে।

বিবাহের উপহার হিসেবে মা একটি দামী শাড়ী নিয়ে যায় , সেই শারীটিও মা বরপক্ষ হতে যে উপহার সামগ্রী গ্রহণ করতেছিল তাকে দিয়ে দেন।

ইতি মধ্যে একজন কনে পক্ষের মহিলা এসে মাকে জিজ্ঞাসা করেন, বর আমার মায়ের কি হন?
মা উত্তর দিল বর আমার ভাই ,,
যেহেতু বরের বোন,তায় তারা আমার মাকে নিয়ে বেশ খাতির যত্ন করে খাবার দেন ও বেশ আপ্যায়ন করেন । কিন্তু ঐ মহিলার কথাবার্তায় একপর্যাযে মা বুঝতে পরলো হয়তো ভুল কমিউনিটি সেন্টারে এসেছে । তায় এক জনকে জিজ্ঞাসা করলেন (এটাকি ষোলশহর বিয়ে বাড়ী ক্লাব” ঐ ব্যক্তি উত্তর দিল হ্যাঁ, এবার মা আরো বেশী চিন্তায় পড়ে গেলেন , কি ব্যাপার ক্লাব তো টিক আছে কিন্তু একে বারে সবাই অচেনা? ঐ সময় মোবাইল ফোন সবার কাছে তেমন একটা ছিলনা, মা কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে গিযে কলসেন্টার হতে আমার মামার বাড়ীর পার্শ্বে অবস্থিত একটি কলসেন্টারে ফোন করেন। কল সেন্টারের মালিক কে জিজ্ঞাসা করেন ঐ ( রোকন) আমার মায়ের জেঠাত ভাই, এর বিবাহ কোন কমিউনিটি সেন্টারে ও কখন হবে।

ঐ মোবাইল কলসেন্টারের মালিক আমার নানার বাড়ীর পার্শ্বস্থ লোক তায় তিনি আমার মামার বাড়ীর সবাইকে ভাল করে চিনতেন ও জানতেন, তিনি আমার মাকে জানালেন , বিয়ে হবে চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিয়ে বাড়ী নামক ক্লাবে, বিবাহ অনুষ্টান রাত্রের বেলায়।

এবার মা সঠিক উত্তর পেলেন, কমিউনিটি সেন্টার টিক আছে, শুধু টিক নেই টাইমের , অনুষ্টান হবে রাতে। বিবাহের টাইম সিডিউলটা ভাল করে কেউ দেখিনায় আমরা। না দেখে অনুষ্টানে চলে যায আমার মা।

মা সত্য ব্যাপারটি যখন জানতে পারেন তখন খুবই বিভ্রত আবস্থায় পড়ে যান, ইতি মধ্যে যে উপহারটি নিয়ে অনুষ্টানে গিয়েছিল তাও দিয়ে দিয়েছেন, সেটাতো আর ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়, তাছাড়া যদি সাবই ব্যাপারটি জেনে যান সাবই হাসাহাসি করতে পারেন বা হয়তো কেউ ফ্রট ভাবতে পারেন, কি করবেন বুজতে পারতেছিলনা মা,

পরে আমার মা ও আমার জেঠাত ভাই অনেকটা চুপি চুপি কাউকে কিছু না বলে আস্তে আস্তে বিবাহ অনুষ্টান স্থল ত্যাগ করেন,

পরে আবার আমার মা ঐ বিবাহ অনুষ্টান স্থল হতে গ্রামে আমার নানা বাড়ী ফিরে আসেন, পুরো ব্যাপারটি আমার মা প্রথমে গোপন রাখেন , কউকে এই ব্যাপারে কিছু বলেন নি, আবার অন্যএকটি শাড়ী কিনে উপহার দেন আমার মায়ের জেঠাত ভায়ের বিয়েতে,

বাড়ীতে আসে মা আমাদের এই কথা বলেন, পুরো ব্যাপারটি শুনে আমারা ভাই বোন সহ বাড়ীস্থ সবাই খুবই হাসাহাসি করে, এখনো খুবই হাসি পায় সেই কথাটি মনে পড়লে।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭



ছবি সৌজন্য-https://www.tbsnews.net/bangla




ছবি- মঞ্চে তখন গান চলছে, মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা.......... চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান।

প্রতি বছরের মত এবার অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪। গত ২৪/০৪/২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×