মানুষ প্রতিনিয়তই অপেক্ষা করে। প্রত্যেকের অপেক্ষার কারনগুলো ভিন্ন ভিন্ন। তবে সুদিনের অপেক্ষা সবাই করে। কেউ কেউ এরকমটা ভেবে ঘুমাতে যায় যে ভোর বেলা উঠে দেখবো সব ঠিক হয়ে গেছে। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম তেমন। রাতে ঘুমের মাঝেও স্বপ্নে তো আগামী কয়েক ভোরের আলো দেখে ফেলে। কিন্তু, ঘুমটা ভাঙার আগেই টের পেয়ে যায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে। তাই সকালের সেই শান্তির ঘুম অধরাই থেকে যায়।
ছুটে চলার পথে কখনো বাসের জন্য অপেক্ষা, কখনো বা মুচির জন্য অপেক্ষা কতক্ষণে তার হাতের কাজটা শেষ করে হাতে ঝুলিয়ে রাখা স্যান্ডেলটা সেলাই করবে, কখনো সামান্য হাপ ছাড়ার অপেক্ষা, কখনো বা সুযোগের অপেক্ষা কখন একটু গা এলিয়ে দেয়া যায়।
ছোট্ট এই সাধারন গিনিপিগের জীবনটা অনেক দামী করে তোলে এই অপেক্ষা।
অপেক্ষাকে উপেক্ষা করে চলা যায় না। তাহলে নিজেকে হারিয়ে যেতে হয়।
অনেকেই অপেক্ষা করে বয়সটা কবে আরো বাড়বে, আরো বড় হবো, ছেলেবেলার না পাওয়া চাওয়াগুলো পূরণ করবেই। বড় হবার অপেক্ষাটা শেষ হলে বোঝা যায়, আসলে অপেক্ষাটা সামন্য স্বান্তনা ছাড়া কিছুই নয়।
যখন প্ল্যাটফর্মে একটা ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে পেটভর্তি যাত্রী নিয়ে, সে কিছুতেই টের পায়না সে কতগুলো অপেক্ষার বোঝা বহন করছে। কতগুলো স্বপ্ন নিয়ে চলবে সে।
অপেক্ষার সময় যত ফুরিয়ে আসে অপেক্ষার তৃষ্ণা ততই বাড়তে থাকে। তৃষ্ণার্ত সেই চোখ শুধু এদিক ওদিক তাকায়, কিন্তু, কেনো সে জানে না।
সময় বয়ে যায়. স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা কখনো কখনো কারো ঘুম হারাম করে দেয়। কখনো কখনো স্বপ্নের মাঝেই হেসে উঠে।
অবশেষে অপেক্ষা হয়তো খুব ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না, কিন্তু, অপেক্ষা কখনো শেষ হয়না।
প্রতি মূহুর্তে মৃত্যুর অপেক্ষা আর ঘুমানোর আগে নতুন সকালের অপেক্ষা কখনোই পুরোনো হয়না।