somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

True Love Comes From Heaven

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



“প্রেম জিনিসটা তাদের কাছে সুখময় স্মৃতি যারা কখনো ব্যর্থ হয়নি। কিন্তু প্রেমের দুঃসময় স্মৃতি হলো যখন এতো প্রিয় জিনিসটা সফল হতে পারে না। প্রেম হলো অসময়ের বৃষ্টির মতন, হঠাৎ এসে ভিজিয়ে চলে যাবে অথবা হঠাৎ কোথাও হারিয়ে যাবে। আর তারাই সুখী যারা এই বৃষ্টিটাকে ধরে রাখতে পারে।’’

১.
চার প্লেট বিরিয়ানি, চারটা ড্রিংস, চিকেন ফ্রাই!
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে রেস্টুরেন্টে গিয়ে এগুলো প্যাকিং করে “শান্তি নগর” এ আনার কাজ হচ্ছে ফাহাদের! যেহেতু ফাহাদের বাবার রেস্টুরেন্ট আছে!

ফাহাদ এবং তার তিন বন্ধু মিলে তারা চারজনে একটা আলোচিত গ্রুপ পাড়ার।
আলোচিত হবার বিশেষ একটা প্রধান কারণ হলো- ওই যে, বয়সের দোষ!
তবে ফাহাদের বাকি তিন বন্ধুর থিওরি হলো, প্রেম করে একটা মেয়েকে ঠকানো বা মেয়েটা ছেলেকে ঠকানোর চেয়ে পতিতাদের কাছে যাওয়াই ভালো! আর এখনকের বর্তমান সময় প্রেম মানেই তো একই দাঁড়ায়! ফাহাদ বাদে বাকি তিন বন্ধুদের প্রতিদিনিই পতিতাদের প্রেমের প্রয়োজন হয়! আর ফাহাদের কাজ, তিনি প্রতিদিন শান্তি নগরের গেটে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে বাকি তিন বন্ধুর বিশ্বস্ত কর্মকর্তা!

“শান্তি নগর” নামটি তাদেরই দেওয়া! একটা পুরনো বাড়ি শহর থেকে অনেক বাহিরে! যা তাদের অকাজ-কুকাজ সব কিছুই এই শান্তি নগরের ভেতরেই হয়! সেজন্য তারা তাদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র শান্তি নগরকে দাবী করে! এবং সেখানে কেউ তেমন একটা যাওয়া আসা করে না!

বন্ধুরা মিলে আড্ডা হচ্ছে.........
হঠাৎ ফাহাদ আবিষ্কার করলো কে যেন একটা গান গাইছে।
সুন্দর গলার স্বর। শুধু সুন্দর বলা যাবে না যথেষ্ট সুন্দর বলা যায়।
ফাহাদ বন্ধুমহল ছেড়ে উঁকিঝুঁকি দিয়ে খুঁজতে লাগলো।
অবশ্য বেশিক্ষণ খুঁজতে হয় নি তাকে।
কফি সপের বাহিরে অনেক মেয়েদের ভিড় থেকে আওয়াজ আসছে। প্রায় কাছাকাছি গিয়ে ফাহাদ মেয়েটাকে দেখে আবার চলে এলো বন্ধুমহলে।

পাড়ার সবাই ফাহাদের প্রতি ক্ষিপ্ত! ফাহাদের এদের সাথে চলাফেরা করা ঠিক না!
ছোটবেলা থেকেই তারা এক সাথে বড় হয়েছে।
যাদের সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ দেখে তাদের সাথে না থেকে কি পারা যায়। যায় না।
ফাহাদকে পাড়ার অনেকেই উপদেশ দিতো তাদের সাথে না থাকতে।
কিন্তু ফাহাদের মাথায় সেই নীতিবাক্য চলে আসতো- উপদেশ সবাই দিতে জানে!
কিন্তু ফাহাদ মনে করে জগতে বাস্তবতাটাই ভয়ংকর। সে কখনো তাদের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারবে না।

যে মেয়েটাকে ফাহাদ গান গাইতে দেখে চলে এসেছিলো সেই মেয়েটি কফি সপের দিকে আসা দেখাতেই ফাহাদ বন্ধুমহল ছেড়ে মেয়েটার সামনা সামনি হলো-
- আচ্ছা গানটা কি আপনি গেয়েছিলেন!
- হ্যাঁ আমিই গেয়েছিলাম।
- আপনি কি কোথাও গান শিখছেন?
- না! আমি কোথাও গান শিখছি না। কেনো?
- না আসলে... সেই জন্যই জিগ্যেস করলাম আরকি! গানটা আপনার গলার সাথে যাচ্ছে না নাকি আপনার গলা গানটার সাথে যাচ্ছে না সেটা নিয়ে একটু কনফিউশনে আছি তো সেজন্য! (একটা হাসি দিয়ে ফাহাদ চলে গেলো)

রূপন্তী-
ফাহাদের উত্তর শুনে প্রথমে মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। তবে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখলো।
মনকে বুঝালো জগতে এমন কিছু মানুষ আছে যে অন্যকে অপমান করে তারা বেশ আনন্দ পায়। কেননা, সেটাই তাদের সারা জীবনে একটা অংশে পরিণত হয়ে যায়।

প্রথম দেখায় ফাহাদের এমন আচরণ কারোরই ভালা না লাগার কথা! কিন্তু প্রিয়ন্তীর এমন একটা খারাপ বা এমনও একটা ভালো লাগেনি!

২.
জগতের সব নিয়ম প্রকৃতিতে ধরাবাঁধা। রূপন্তী পৃথিবীর আলো দেখার আগে বাবা মারা গিয়েছেন। আবার পৃথিবীর আলো দেখার পর পরে মা মারা গিয়েছে। রূপন্তীর জীবনে কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন ওর দাদুমা। ঠিক তেমনি রূপন্তীও।
বেঁচে থাকার জন্য এই কঠিন বাস্তবতার পৃথিবিতে রূপন্তীকে বড় করে তুলেছে সাহসী এবং মিশুক টাইপের মেয়ে। তবে এটা একটু মাত্রাতিরিক্ত।

ফাহদের বন্ধু ফাহাদ কে লক্ষ্য করে বললো-
দেখ ফাহাদ পৃথিবীর সব মেয়েই ভালো যদি ভালো চোখে দেখিস!
আবার চোখ উলটে দেখলে সব একি! ব্যাপার টা বুঝা গেলো!
ফাহাদ কোনো উত্তর দিতে চাইলো না! কিন্তু রূপন্তীকে সে ভালোবাসে সো রূপন্তীকে বলতেই হবে! অতএব ভালোবাসি ভালোবাসো!

দ্বিতীয় বারের দেখা ফাহাদ এবং রূপন্তীর-
- ওই তোর বাবা নাকি টেররিস্ট?
- কেনো এমন মনে হচ্ছে?
- তোর বাবা তোকে যে, একটা কিউট টাইপের বোম বানিয়েছে! তুই জানিস না তো!
- প্রেমে পড়েছিস নাকি?
- কোনো কনফিউশন নেই! শুধু একটা কনফার্মেশন ম্যাসেজ পেলেই ডিল ওকে!
- ডিল! হুম...ইন্টারেস্টিং! বল কি জানতে চাস?
- তুই যে একটা মারাত্মক বোম! না বুঝে, অকারণে যদি টাস করে ফেটেফুটে যাস?
- এরকম হবে না তুই শিওর থাক!
- তাইলে ডিল ওকে! তবে মনে রাখিস, বোম ফুটে গেলে কিন্তু বাঁচার আশা থাকে না! হেলাল হাফিজ তার কবিতায় বলেছেন-
নিউটন তুমি বোমা বুঝো, মানুষ বুঝো না!
তেমনি পরিশেষে তোকে নিয়ে আমার এমন লিখতে যাতে না হয়-
রূপন্তী তুমি ভালোবাসা জানো, ভালোবাসতে জানো না!
-হাহাহাহা! যখন মানুষ সময়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যায়, তখন সময়ই মানুষকে পরিবর্তনশীল করে তোলে!

৩.
রূপন্তীর সাথে প্রথম ডেইট!
ফাহাদ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে! পৃথিবীতে বীরপুরুষরা প্রেম করে না! আর যে বীরপুরুষ প্রেম করেই ফেলে সে নিজেরই অজান্তে ভিজাবিড়াল হয়ে যায়!
ফাহাদ অনেক নার্ভাস! কোন কথা দিয়ে কথা বলা শুরু করা যায়! তা নিয়ে!
কিন্তু ফাহাদ এমন একটা উদ্ভট প্রশ্ন করে বসলো! সাধারণত যে কোন মেয়ের কাছে এ প্রশ্নটা অদ্ভুত লাগবে, অথচ রূপন্তীর কাছে তেমন লাগলো না! ফাহাদ বললো-
- তুই কি কুমারী?
- আমি যতোদূর জানি তোদের একটা “শান্তি নগর” আছে! সেখানে প্রতিদিন নূতন নূতন একজনকে নিয়ে যাও তোমরা! আচ্ছা তোমার পার্ফমেন্স কতো মিনিটের?
- ফাহাদ চুপ মাথা নিছু করে!

রূপন্তী ফাহাদের চুপচাপ নিরবতা ভাঙল-
- আচ্ছা তাহলে পৃথিবীতে বিধাতা বিশুদ্ধ বলে কিছুই দেন নি?
- হ্যাঁ দিয়েছেন তো!
- সেটা কি?
- ভালোবাসা!
- হ্যাঁ আমি পড়েছি! “True love comes from heaven”
- ঠিক তাই! সত্যিকারের ভালোবাসা বিধাতা নিজ হাতে বানিয়েছেন! তবে এমন ভালোবাসা সবার ভাগ্যে জোটে না!
- হুম! তোর ভাগ্য ভালো নিশ্চিন্তে থাক! আমাদের ভালোবাসাই বিশুদ্ধ!
- When miracle meet’s man Epics are bron!
- মানে কি বিশ্বাস হচ্ছে না! তাহলে চল তোর শান্তি নগরে!
- (এটা শুনে ফাহাদ হা করে তাকিয়ে আছে রূপন্তীর মুখের দিকে)
- রূপন্তী হাসি দিয়ে বললো চলি! কাজ আছে! পরে দেখা হবে!
আর নেক্সট টাইম থেকে তুই বাদ দিয়ে তুমি বলি, কেমন!

৪.
বন্ধুদের আড্ডায় বসে আজকের ব্যাপারটা ফাহাদ শেয়ার করলো!
বন্ধুরা শুনেই ফাহাদকে বললও-
- সালা সুযোগ পেয়েছিস যখন লুটে নিবি! কি বা** করলে! ধুর!
- তোদের এই কথাটা- না বুঝে, না জেনে বলে ফেছিস ভেবে আমি ধরে নিলাম! জীবনে যেনো আর দুঃস্বপ্নেই রূপন্তীকে নিয়ে এরকম কথা যেনো আমার কানে না আসে মনে রাকিস!
- ভাব চু**উ সালা! আমাদের কাছে মেয়েদের নিয়ে গল্প বলা মানেই ওরা আমাদের তৃপ্তির ধারণ ক্ষমতা!
- একটু চিন্তা ভাবনা করে কথা বল বন্ধু! পতিতার জাত গুলো কিন্তু মেয়েজাতি!
- লজিক চু**উ! আমাদের পাশ থেকে সরে গিয়ে চু**উ!
- হুম! আমরা সবাই শিক্ষিত! কম শিক্ষা হলে সমস্যা কিন্তু আবার বেশি শিক্ষিত তার চেয়ে ভয়ংকর! তোদের দেখে বুঝা যায়! কথাবার্তা গুলো একটু বিবেক রেখে বল!
- আচ্ছা! ভালো কথা, একটা কথা বলতো- কোথাও এমন হয়েছে যে প্রথম দিন দেখায় হাই হ্যালো! দ্বিতীয় দিন দেখায় প্রপোজ! আর প্রথম ডেইটে যে মেয়ে বলেই ফেলে চলো শান্তি নগরে, সেই মেয়ে আর কেমন ভালো হবে? তুই বলো! তোর মহা জ্ঞান দিয়ে?
- (চুপচাপ মাথা নিছু করে বসে রইলো ফাহাদ)
- কোথায় গেলো তোমার বা**র বিবেক! উত্তর দাও না? সালা পণ্ডিতি সু**স অন্য কোথাও যেয়ে! তুই কয়টা মেয়েকে জানিস? সব মেয়ে একই ধরণের! গীমারা প্রথমে ভাব দেখায় পরে দেখা যায় সব গুলাই পতিতার মতো! তোরটাই দেখিস এমন হবে!
- রূপন্তী যদি পতিতার মতো হয় তবে তার খদ্দের শুধুই আমিই হবো! এবং রূপন্তী যদি পতিতাও হয় সেটা আমার জন্যই হবে!
মনে রাকিস! বলে ফাহাদ চলে এলো উঠে!

৫.
মানুষের অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসের জন্ম!
অভিমান থেকে রাগের জন্ম! ঠিক তেমনি-
অতি তাড়াহুড়ো থেকে সন্দেহের জন্ম!

হ্যাঁ সন্দেহে প্রায়! বিপাকে পড়ে গেলো ফাহাদ! তার বন্ধুদের কথা শুনে!
বন্ধুদের কথাগুলো যে ফেলে দেবার মতোও না আবার!
রূপন্তীকে চিনি না, জানি না, না জানি ও কি করে, কোথায় থাকে, কিচ্ছু- কিচ্ছু জানি না! রূপন্তীর ফোন আসলো, ফাহাদ ফোনটা পিক করলো-
- ফাহাদ কাল দেখা করবো ফ্রি থাকবে?
- কাল দেখা করবা কাল ফোন দিলেই তো হয়! এখন বলার কি দরকার!
- তা অবশ্য ঠিক! তবে তুমি ফ্রি থাকবে কিনা সেটা জানতে চেয়েছিলাম আরকি!
- ফাইজলামি করো? আমি বেকার, কাজকাম কিছুই করি না! তা জেনেও তুমি?
- মেজাজ খারাপ থাকলে ফোন কেটে দিয়ো! পিক করার দরকার নেই! মেজাজ ঠিক হলে ফোন দিয়ো! ভালো থেকো!

ফাহাদের তিন বন্ধুরা আসলো ফাহাদের বাড়িতে!
ফাহাদকে সরি বলার জন্য! সরি বলার ধরণটা-
আরে গাধা রাগ করে আছিস এখনো! আমারা তোকে একটু বাজিয়ে দেখলাম! তুই আমাদের মতো কিন! কেননা, তুই তো মেয়েদের দেখলে উলট দৌড়িস! সরি দোস্ত আসলেই তুই যে মেয়েটাকে ভালোবাসিস বুঝলাম!
উত্তরে ফাহাদ, আরে ধুর সালারা জানতাম এমন কিছু একটা হবে! তোরদের সাথে সে ছোট বেলা থেকেই বন্ধুত্ব, তাও একই সাথে সবাই বড়ো হলাম! তোরা এমন কথা বলতে পারিস না! তোদের আমি ভালো করেই চিনি! একটা হাসি দিলো ফাহাদ কথাগুলো শেষ করে!

বন্ধুরা জিগ্যেস করলো-
- দেখা করাবি কবে তোর পতি......... সরি বউয়ের সাথে!
- কাল দেখা হবে চলিস!
- আচ্ছা! বলে ফাহাদের ঘর ত্যাগ করলো সবাই!

৬.
প্রথম রিং শেষ হবার আগের রূপন্তী ফোন পিক করলো! ফোন ধরেই-
-কি মেজাজ ঠাণ্ডা হয়েছে!
- হুম! সরি, আসলেই মেজাজটা খুব খুবই খারাপ ছিলো!
- বুঝেছিতো বলেই একটা হাসি দিলো রূপন্তী!

কিরে সালা ও কি আসবে নাকি আসবেনা! ফাহাদ তার ফ্রেন্ডস্‌দের নিয়ে এসেছে দেখা করতে! অনেকক্ষণ ধরে তারা অপেক্ষায় রূপন্তীর!
- আরে হ্যাঁ আসবেই! জ্যাম-ট্যামে হয়তো আটকে আছে!
- কে জানে তোর কপালে কি আছে! যদি শিওর হয় তাইলে তুইও জ্যামে আটকে যাবি! আর যদি রাজপথের মতো রাস্তা ফাকা থাকে তাইলে তো আর হইছে! তোর রূপন্তী দেশ স্বাধীন!
- আবার শুরু করেছিস! এসব অশ্লীল চিন্তা সব সময় তোদের মাথায় থাকে কেনো? বলতো!
- সরি সরি... বলে হাসি দিলো বন্ধুরা! একটু মজাও করবো না সালা!

রূপন্তী আসলো সবার সাথে পরিচয় হলো, কথোপকথন চলছে সবার !
হঠাৎ ফাহাদের এক বন্ধু রূপন্তীকে জিজ্ঞাসা করলো-
- আচ্ছা রূপন্তী এটা কিভাবে সম্ভব?
- কি সম্ভব?
- এই তো, কেউ কাউকে ভালো করে না জানো, না ভালো করে পরিচয়ও হয় নি, অথচ টাস করে একে অন্যকে ভালোবেসে ফেললে? এটা কেমন করে? সভ্য সমাজে এটা কেমন করে হয়??
- হিহিহিহি! আসলে এটা যার যার মনের ব্যাপার! আমার মনে হলো ফাহাদকে আমার ভালো লাগে সো...
- আর ওমনি ভালোবাসা হয়ে গেলো? (হাহাহাহাহাহাহা)
- আসলে মনের কথা শুনতে হয়। কেননা, মনই তো ঈশ্বর!
মনের কথা শুনতে হয়, কেননা, মনই তো ঈশ্বর!
কথাটা শুনে ফাহাদের বন্ধুর হাহাহাহা টা থেমে গেলো!

৭.
বছর পার হতে লাগলো! ফাহাদ এবং রূপন্তীর অবশেষে মোট কথা দাঁড়ালো-
অনেক দিন হলো প্রেম করলাম, এবার বিয়ে অবধি যাওয়াটা কেমন হয়?
দুজনেই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো এ বছর তারা বিয়ে করেই ফেলবে!
তবে মাঝে মাঝে রূপন্তীর মনে ‘ভয়’ শব্দটা ভারি হয়ে উঠলো! এবং নোটিশ করলো-
কারা যেন শকুনের মতো অপেক্ষায় আছে! অনেক পরিকল্পনায় আছে!
রূপন্তী নিজের চিন্তাকে ছিঃ ছিঃ বলে নিজের ধারণা বদলে নিলো! কোনো একটা কারণ ভেবে! যদি ফাহাদের বন্ধুরা এমন হয় তাহলে ফাহাদ ও তেমনি হবে!
কিন্তু ফাহাদ এমন ছেলে নয়! এতোটাই খারাপ ছেলেদের সাথে ফাহাদ মিশবে না!
ফাহাদ তার বন্ধুদের অন্ধের মতো বিশ্বাস করে, আশা করি ফাহাদকে তারা অন্ধ প্রমাণিত করবে না!

একদিন ফাহাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় রূপন্তীর, ফাহাদের বন্ধুদের নিয়ে!
- ফাহাদ তোমার বন্ধুদের আচরণ আমার ভালো লাগছে না।
- কেনো ওরা আবার কি করলো?
- কিছু বলে নি! তবে তাদের চোখ, মুখ দিয়ে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে!
- তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছো? ক্লিয়ার করে বলো!
- রেগে যাচ্ছো কেনো? আমার মনে হলো তাই বললাম! আচ্ছা বাদ দাও!
- দেখো রূপন্তী, আমি জানি ওরা খারাপ তাইলে বলে আমি যাকে ভালোবাসি সেই তোমার সাথে খারাপ কিছু করার সাহসও পাবে না! কেননা, ওরা সেই ছোটবেলার বন্ধু আমার, তোমার থেকে আমি ওদের খুব ভালো করে চিনি!
- তার মানে তুমি আমাকে ভালো করে চেননা? (রূপন্তীর মুখটায় অনুশোচনা)
- তোমার সাথে যখন থেকে আমার পরিচয় হয়েছে! তখন থেকেই তোমার সব জানি এবং চিনি! আমি কী কোনোদিন তোমার অতীত নিয়ে জিজ্ঞাস করেছি বা তোমার কে আছে বা কে নেই?
- না করোনি তো!
- তাহলে আমার বন্ধুদের সম্বন্ধে এরকম বলার তুমি কে? তুমি তো তাদের সেদিন থেকেই চেনো! আর আমি সেই জন্মের পর থেকেই! সো সবার মুখে শুনেছো ওরা খারাপ তাই তুমি এমন ভাবছো! আর যদি তোমার মনে ওদের নিয়ে কোনো সংশয় থাকে তাহলে, ওদের সঙ্গ ছাড়তে বলো না, প্রয়োজনে তুমি চলে যেতে পারো!
- আসলে আমি এতোটা তোমাকে মিন করে বলি নাই সরি! মনে হলো তাই বললাম!
- তোমার মন কি? যা ইচ্ছে হলো তাই বলবা আর করবা???
- আমার কিন্তু মন বলেছিলো তোমাকে আমি ভালোবাসি সে জন্যই এখন ভালোবাসিই! (অনেক জোর করে ঠোঁটের কোণে হাসিটা দিয়ে বললো!)
- তার মানে কি? এখন মন বলছে না ভালবাসতে? তাইলে ভেসো না। তো কার কী?
- এই দেখো, কি কথা শুরু করে কোথায় চলে এসেছি! বাদ দাও!
- না না! তুমি কি নিয়ে কথা বলেছো সেটা বুঝতে পারছো?
- বললাম না বাদ দাও!
রূপন্তীর একটা স্বভাব যখন কথা বলার বা ঘটনা গুলো তার কূলে না আসে তখন সে আর কথা বাড়ায় না! রূপন্তীর ভাবনা এই যে, যে যেভাবে বোঝে তাকে সেই ভাবে চলতে দেওয়া উচিৎ, সময়ই তাকে পরিবর্তন করে নেবে!

৮.
আজ ফাহাদ এবং রূপন্তীর বিয়ে!
আত্মীয় স্বজন সবাই এসেছে ফাহাদের! প্রিয়ন্তীর শুধু দাদুমা ছাড়া আসার মতো আর নেই কেউ!
ভালোই হয়েছে ফাহাদের বাবার মৃত্যুর পর ফাহাদের মা খুব একা থাকেন বাড়িতে। প্রিয়ন্তীর দাদুমা থাকায় ভালই হলো, মা এখন গল্প করার একজন সঙ্গী পেলো!
আত্মীয় স্বজন একে একে সবাই যার যার গন্তব্যমুখী হয়ে রওনা দিলো!
শুধু ফাহাদের বন্ধুরা থেকে গেলো!

রাত প্রায় ঘড়ির কাটায় ৯:৪২!
হঠাৎ ফাহাদের কিছু একটা মনে পড়ে গেলো। অবশ্য সেটা ভুলার কথা!
রূপন্তী একদিন বলেছিলো বিয়ের রাতেই দেখবে আমি কেমন করে কি করি!
রূপন্তী যদি ভুলেই যায় তাহলে ভালোই হবে! অবাক করে দেবো!

ফাহাদ বন্ধুদের বললো চল বাইরে যাবো!
সেটা শুনে একেকজন একেকটা অজুহাত দেখিয়ে বললো সম্ভব না! তুই যা!
ফাহাদ আর জোরাজোরি করলো না! কেননা সেই সময়টা নেই! রাত হয়ে যাচ্ছে!
এই ভেবে একাই বেরিয়ে পড়লো!

দরজাটা খুললো ফাহাদের বন্ধুরা!
রূপন্তী বিছানায় বসে আছে! দরজার শব্দ পেয়ে রূপন্তী ভেবেছিলো ফাহাদ!
কিন্তু না! ফাহাদের বন্ধুরা হাতে দুধের চারটা গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অথচ ফাহাদ সাথে নেই তাদের!
রূপন্তী হালকা ভয় পেয়ে কেঁপে উঠলো সঙ্গে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে জিজ্ঞাস করলো-
- ফাহাদ কোথায়?
- ফাহাদ তো আছেই! এতো তাড়া কিসের একটু পর তো ও আসবেই! (উচ্চ স্বরে হাসি দিয়ে! একে একে সবাই বিছানায় গিয়ে বসলো! একটি গ্লাস রূপন্তীর দিকে বাড়িয়ে দিলো ফাহাদের বন্ধু)

রূপন্তী ভীষণ ভয় পেয়ে গেলো! মুখ ঘ্যামে যাচ্ছে। শরীর শীতল হয়ে আসছে লক্ষ্য করলো সে!
আবার জিজ্ঞাস করলো ফাহাদ কোথায়?
- আরে ফাহাদ তো আছে! তাকে তো প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে নাকি! বলে আবার হাসি দিলো সবাই!
আচ্ছা শোনো ফাহাদের তো কোনো বোন নাই, আর তার মা এবং তোমার দাদুমা ঘুমিয়ে পড়েছেন! বৃদ্ধ মানুষ তো তারা রাত জাগলে তাদের জন্য ভালো না! তাই আমার জানা মতো বাসর রাতে এক গ্লাস দুধ খাওয়ানো হয় ‘বর-কনে’কে সো আমরা এই সব করছি আরকি!
এই নাও বোন দুধটা খাও!

রূপন্তীর ভয়টা কিছুটা কমে গেলো বোন শব্দটা শুনে! অনেকটা স্বস্তিবোধ করলো সে!
দুধের গ্লাসটা হাতে নিয়ে খেয়ে ফেললো রূপন্তী!
মিনিট কয়েক যেতেই লক্ষ্য করলো,
মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করতেছে, তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে.........

ফাহাদ ঘরে এসে ঢুকলো। দরজা খোলা, ঘরে কেউ নেই!
বন্ধুদের নাম ধরে ডাকলো, কোনো সাড়াশব্দ নেই!

রূপন্তীকে ডেকে ডেকে ঘরে ঢুকেই দেখলো.........
রূপন্তী হাত পা ছড়িয়ে অচেতন হয়ে শুয়ে আছে! কাপড়চোপড়, চুলগুলো এলোমেলো!
হাতে, মুখে নখের দিয়ে আঁচড়ের দাগ!
লাল রঙের মতো দাগ রূপন্তীর শাড়ীতে!

আর বোঝতে দেরি হলো না ফাহাদের! ফাহাদ রূপন্তীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো! আর বলতে লাগলে আমাকে ক্ষমা করে দাও রূপন্তী, ক্ষমা করে দাও! জীবনে এতো বড়ো ভুল করবো ভাবতেই পারি নি!

প্রায় পাগলের মতো অবস্থা ফাহাদের! কি করে কি করবে কিছুই বোঝে উঠে পারছে না!

ফাহাদ দেরি না করে রূপন্তীর কাপড় খুলে নিলো! হাত মুখও পরিষ্কার করে নিলো!
ওয়াসরুমে শাড়ি নিয়ে গেলো! লাল দাগটা মুছার জন্য!
লাল দাগটা ধুয়েই যাচ্ছে ফাহাদ! আর ফাহাদের মনে পড়লো সেই কথা যে কথা প্রথম ফাহাদ রূপন্তীকে জিগ্যেস করেছিলো “তুমি কি কুমারী!”
জীবনে বড় ভুল করে ফেলেছি রূপন্তী! ক্ষমা করো! ক্ষমা করো বলে!

৯.
সকাল প্রায় ১০ টা বাজে!
রূপন্তীর ঘুম ভাঙলো! রূপন্তী উঠে বসতে চাইলো! অথচ মনে হচ্ছে তার সমস্ত শরীর তার ব্যথায় কাতর!
ফাহাদ বললও কি ব্যাপার উঠছো কেনো? সারারাত কতোই না দখল গেলো! রেস্ট নাও!
(ফাহাদ একটা লজ্জামার্কা হাসি দিয়ে!)

রূপন্তী কোনো কিছুর হিসাব মেলাতে পারতেছে না! কি সব হয়েছে বা কি সব হচ্ছে!
ফাহাদকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো রূপন্তী! কি হয়েছে গতকাল রাতে ফাহাদ? প্লিজ বলো?
ফাহাদ জোরে হাসি দিয়ে বললো -
- সরি বেশি অত্যাচার করে ফেলেছি! কী করবো প্রথম বিয়ে, তাও আবার বিয়ের রাত! নিজেকে সামলাতে পারি নি!
- তুমি কি আমার কাছ থেকে কিছু লোকানোর চেষ্টা করতেছো! সত্যি করে বলো প্লিজ!
- আরে কি লোকাবো? কি সব আজব কথা বলো?
- মানে তোমার বন্ধুরা দুধের গ্লাস নিয়ে আসলো! আমাকে বললো তুমি আছো ঘরে কোথাও, তারপর আমি দুধটা খেয়ে নিলাম! পরে আর কিছুই জানি না! (কাঁদতে কাঁদতে রূপন্তী বললো!)
- আরে ওইটা তো আমারই প্লান ছিলো! তুমি জানইতো আমার একটু লজ্জা বেশি! তাই তোমাকে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছি! তুমি না একদিন বলেছিলে মনে নেই, যে-
আমি তোমাকে কিস করতে যাবো তখন লজ্জায় করতে পারিনি! তখন তুমি বললে বাসররাতে দেখি কি ভাবে কি হয়! সেই জন্যই আমি এসব করেছি! আহাহাহাহাহাহাহাহাহা!

এটা শুনে রূপন্তীর মনে পুরোপুরি স্বস্তিবোধ আসলো! প্রিয়ন্তী যা ভেবেছিলো ফাহাদের বন্ধুরা যখন ঘরে ঢুকে তখন যা মনে মনে ভেবেছিলো......... রূপন্তী ভাবতেই গা শিউরে উঠে!

ফাহাদের উপর রূপন্তীর ভীষণ রাগ হচ্ছে আবার হাসিও পাচ্ছে! ফাহাদকে কি বলবে সেটা বুঝতে পারতেছে না! নিজের বাসররাতটা এমন হবে কে জানতো! এরকম বোধয় পৃথিবীতে আর কারোরই হয় নি! বলে ফাহাদের দিকে তাকালো! ফাহাদ হাসছে তার কথা শুনে!
ফাহাদের হাসি দেখে খুব রাগ হলো রূপন্তীর! তাই টাস করে একটা গালে বসিয়ে দিয়ে! ফ্রেশ হবার জন্যে চলে গেলো।

কি পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে নিজেকে ফাহাদ! সেটা পৃথিবীতে হয়তো কারোরই পক্ষে সম্ভব না!
ফাহাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহুর্ত ছিলো সেই সময়টা!
ফাহাদ কাঁদতে লাগলো! তার জীবনে এরমক ঝড় আসবে জীবনেউ কল্পনাও করে নি!
নিজেকে শক্ত করে নিলো ফাহাদ! রূপন্তী কিছুই বোঝতেই পারে নি!

এদিকে আবার রূপন্তীর দাদুমা আর ফাহাদের মা দুজনই চেঁচাচ্ছেন দরজা খোলা নিয়ে!
বন্ধুরা দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছিলো মা আর দাদুমার রুমে!
(হে বন্ধুরা বলছি! কেননা, আমি যাদের বন্ধু ভেবেছিলাম আমার মনে তারা ছিলো সুন্দর! ভাইয়ের মতো! এই আরকি আমার মতো তাদের ভেতরটা ছিলো না! ভালো থাক বন্ধু শব্দটা।)

১০.
বিয়ের প্রায় দেড় বছর!
খাবার টেবিলে সবাই বসে সকালে নাস্তা করতেছে! রূপন্তী হঠাৎ প্রশ্ন করে উঠলো!
আচ্ছা ফাহাদ-
- তোমার বন্ধুদের কোনো খবর পেলে! কোথায় গেলো তারা? বিয়ের পরে একদিনও দেখি নি?
- আছে কোথায় জীবন নিয়ে জুয়া খেলতেছে হয়তো! (রূপন্তীর কথাটা শুনে ফাহাদের ভেতরটা চমকে উঠলো!)
- বুঝলাম না! আগে এতো বন্ধু পাগলে ছিলে! এক মিনিটও তাদের ছেড়ে থাকতে না! আর এখন কোনও খবরই রাখো না! তোমরা ছেলেরা এমন ক্যানো? (ভুরু কুঁচকে বললো রূপন্তী)
- আরে বিয়ে পরে যে বন্ধুদের হারাতে হয় সেটা জানলে জীবনেই বিয়ে করতাম না! (ফাহাদ হাসতে লাগলো এটা বলে!)
- আচ্ছা শোনো একটা ফোন দাও ওদের কথা বলে একটা কথা জিজ্ঞাস করবো!
- কি কথা? (ফাহাদের গলায় মনে হলো পানি শুকিয়ে গেলো)
- আছে তোমাকে বলবো ক্যানো?
বলে প্রিয়ন্তীও রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো!
ফাহাদও রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো!

চার প্লেট বিরিয়ানি, চারটা ড্রিংস, চিকেন ফ্রাই এবং নূতন একটা আইটেম যোগ হলো- লাঠি!
এগুলো প্যাকিং করে “শান্তি নগর” এর দিকে রওনা দিলো ফাহাদ! শান্তি নগরে সারা জীবনের রাগের হিসাব মেটাতে!

এখন ‘শান্তি নগর’ এর গেইটে তালা লাগানো থাকে! তালাটার চাবি শুধু ফাহাদের কাছেই থাকে!
ফাহাদ তালাটা খুলে ভেতরে ঢুকলো!
চার প্লেট বিরিয়ানি, চারটা ড্রিংস, চিকেন ফ্রাই সুন্দর করে সাজিয়ে মাটিতে রাখলো!
তিন বন্ধুকে ডাক দিয়ে বললো, আসো বন্ধুগণ!

একে একে তিন বন্ধু বেরিয়ে আসলো! তাদের চেহারা প্রতিদিন দেখে ফাহাদ নিজেই চমকে যায়!
কাউকে চেনার মতো না চুলদাড়ি, গুফ বেশ লম্বা হয়ে গিয়েছে! দেড় বছর ধরে এগুলো কাটা হয়নি!

ফাহাদ জিজ্ঞাস করলো-
- কেমন আছো বন্ধুগণ?
- ফাহাদ এভাবে আমাদের কেনো লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিস?
- আপনাদের বেশি ভালোবাসি সেজন্য মেরে ফেলতে পারতেছিনা! তাই এই কষ্ট সহ্য করতে হবে মৃত্যু যতোদিন আপনাদের না হয়!
- কেনো এমন করতেছিস ফাহাদ আমাদের সাথে?
- কেনো? এই দেখো চেনো ওকে? (ফাহাদের বিয়ের কাপল ছবি প্রিয়ন্তীর সাথে দেখিয়ে)
- প্রিয়ন্তীকে দেখে ফাহদের বন্ধুরা চমকে যায়! তুই এই মেয়েকে নিয়ে সংসার করতেছিস?
- হুম! কি করবো বল! একদিন প্রিয়ন্তী বলেছিলো না, যে- মনের কথা শুনতে হয়। কেননা, মনই তো ঈশ্বর! সেদিন রাতে আমি আমার মনের কথা শোনলাম!

দেড় বছর বাদে বোঝতে পারলো তাদের কেনো ফাহাদ এভাবে বন্ধি করে রেখেছে! ফাহাদও এতো দিন তাদের উত্তর দেয় নি? সেই সময়টা ভুলে যেতে চাইতো! যখন আজ রূপন্তী তাদের কথা বললো তখন ফাহাদ তাদের বেঁধে রাখার সত্যিটা উন্মোচন করলো! তারা জানতো সেদিন রাতে ফাহাদও প্রিয়ন্তীকে ছেড়ে চলে এসেছিলো তাদের কাছে শান্তি নগরে এবং সেদিনই তাদের বেঁধে রেখেছিলো!

ফাহাদ রূপন্তীকে ফোন দিলো-
- হ্যাঁ রূপন্তী কি করতেছো?
- কিছুই না। কেনো?
- এই নাও স্পিকার অন আছে! আমার তিন বন্ধুর সাথে কথা বলো!
- হ্যালো ভাইয়েরা, সেদিন রাতে তো বোন বানিয়ে চলে গেলেন! তারপর আর বোনের কোনো খোঁজখবর নিলা না? তোমরা কেমন ভাইয়েরা???
- আমাদের ক্ষমা করো বোন! তিন বন্ধু একসাথে বললো!

ফাহাদ ফোনটা কেটে দিলো!
বন্ধুদের খাবারদাবার শেষ করিয়ে! প্রতিদিনের মতো শেষের আইটেমটা শুরু হলো- লাঠি থ্যারাপি!
যতোক্ষণ অবধি ফাহাদের শরীরে ক্লান্তি না আসে ততোক্ষণ পিটানোর থ্যারাপি চলবে!
এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাঠি থ্যারাপি চলবেই!

ভাগ্য কখনো কখনো আমাদের গন্তব্য পালটে দেয়!
তবে এটা আমি সবসময় নিশ্চিত............
আমার গন্তব্যের পরিবর্তন আসবে শুধু আমার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং ওর সাথে আজীবন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আমার মতে,
যদি তুমি সুখী হতে চাও, তাহলে সুখী কারোর সঙ্গী হও!

(বি দ্রঃ- গল্প তেমন গুছিয়ে লেখতে পারি না! চেষ্টা করলাম যতোটুকু পেরেছি! কাহিনীটা কল্পিত! দুই,এক লাইন হয়তো কারো লেখার সাথে মিল থাকতে পারে (যেহেতু মাথা লাইন গুলো বারবার আসছিলো! ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন! ভালো থাকুন! ধন্যবাদ!)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×