somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অন্ধকারের নক্ষত্র
আমার একাকি ই ভালো লাগে! অবরুদ্ধ বসবাসেও সারা দুনিয়াকে স্পর্শ করতে ভালো লাগে! আমি আমার খোলস হতে বের হতে পারি না! বের হলেও সে মুক্তি আমাকে যন্ত্রনা দেয়!অন্ধকারের নিস্তবদ্ধ,দীপ্তিহিন নক্ষত্র আমি!অতঃপর,নতুন পরিচয় প্রাপ্তির অপেক্ষায়..........

চে গুয়েভারা কেমন বিপ্লবের আদর্শ??

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চে গুয়েভারার প্রকৃত পরিচয় জানুক বা না জানুক, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির ভাইয়েরা অনেকেই তার ছবিওয়ালা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে, তার ছবিওয়ালা টিশার্ট গায়ে চাপিয়ে খুব ভাবের সাথে চলাফেরা করেন। এই লোককে কিউবার তথাকথিত বিপ্লবী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ তার আসল পরিচয় ছিল সে একজন কট্টর কমিউনিস্ট নাস্তিক, খুনি এবং সন্ত্রাসী। কমিউনিস্টরা তার আসল পরিচয় গোপন করে মিডিয়ার সামনে তাকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করে। আমাদের দেশের প্রথম আলোর মতো ইসলামবিদ্বেষীরা এই শয়তানের জন্ম-মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ বিশেষ ফিচার ছেপে তরুণদেরকে এই শয়তানের আদর্শের দিকে উৎসাহিত করে। “তার কাছ থেকে অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদের শিক্ষা নিলে সমস্যা কোথায়” প্রশ্ন তোলা নির্বোধরা ইসলামের শিক্ষা পায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের উজ্জ্বল আদর্শ থাকার পরও একজন মুসলিম কীভাবে এই নাস্তিকের কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করতে পারে? কেউ যখন সবকিছু জেনেও এই নাস্তিককে ডিফেন্ড করতে আসবে তখন বুঝবেন সেও ছুপা নাস্তিক। সকল নাস্তিক কমিউনিস্ট নয় কিন্তু সকল কমিউনিস্টই নাস্তিক। কমিউনিজমের মূলমন্ত্রই হল তথাকথিত শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে মানুষকে হত্যা করা। মাও সে তুং, লেনিন সহ আরও কমিউনিস্টরা তাদের কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ মেরেছে লাখ লাখ নয়, বরং কোটির চেয়েও বেশি।


চে গুয়েভারা অনেক সংগ্রামই পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে একটা হল কিউবা আক্রমণ। শান্তি প্রতিষ্ঠার অজুহাতে চে গুয়েভারা কিউবা আক্রমণকালে সেখানে শত শত নারী, পুরুষ, শিশু হত্যা করেন। তখন কিউবায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল বাতিস্তা সরকার। বাতিস্তা সরকারকে পরাজিত করে তিনি রাহুল ও ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগীতায় সরকার গঠন করেন। লোভী চে গুয়েভারা ঐ সরকারের বিভিন্ন পদ একাই দখল করেন। যেমন, শিল্পমন্ত্রী, জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর। এটা নাস্তিকদের সাধারণ মনোবৃত্তি, কৌশলে ভোগদখল। যেন উপরেরটাও খেতে পারে নিচেরটাও কুঁড়োতে পারে। যেসব সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কবি সাহিত্যিক তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল যুদ্ধের পরে তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করেন আবার তার হেড পদও দখল করেন। চিন্তা করে দেখুন এরা কতটা ক্ষমতালিপ্সু। এই নাস্তিক কুকর্মা, ট্রাইবুনালের আসামিদের খুঁটির সাথে বেঁধে মাথায় খুলি গুলি করে তাদের মস্তক চূর্ণ বিচূর্ণ করার হুকুম দেন। একেবারে সহিহ নাস্তিকতার নিয়ম। ধর্ম মেনে আর লাভ কী? ধর্ম মানলেই ঝামেলা। খুন করলে গুনাহ, মিথ্যা বললে গুনাহ ইত্যাদি। তাই ধর্মই বাদ। এই লোকটার এত খুনের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। যে সমাজতন্ত্রের মূল কথাই হল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করা যাবে না।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে এই কুখ্যাত ব্যর্থ সন্ত্রাসীর এমন হিরো হিরো ইমেজ গড়ে উঠলো কেমন করে? দেখুন বর্তমান জামানার ইসলামবিদ্বেষী মালালাকে কেউ চিনত না। কিন্ত মিডিয়াগুলো তাকে এমন বীরঙ্গনা বানিয়ে ছাড়লো যে শেষে তাকে নোবেল দিয়েই ছাড়লো। গুয়েভারার বেলায়ও এমনটাই করা হয়েছিল। তার বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রো কিছু সংবাদজীবিকে কবুতরের মত পুষেছিল যাদের সামনে টাকা ছিটালেই উড়ে এসে হাতে বসত। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল নিউ ইয়র্ক টাইমসের হারবার্ট ম্যাথিউ, CBS এর এড ম্যুরো ও ড্যান রাদার, ABC র বারবারা ওয়াল্টার্স। এরাই গুয়েভারাকে হিরো বানাতে সাহায্য করেছিল। বর্তমান কালেও যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অসভ্যদের হিরো বানানো হয় তার প্রমাণ আছে। যেমন মৃত্তিক ব্যান্ড দলকে এদেশের ৫% লোকও চিনে না। অথচ তাদেরকে নিয়ে মাঝে মাঝেই প্রথম আলো বড় বড় ফিচার ছাপে। কেন জানেন? কারণ সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এই ব্যান্ড দলকে হিরো বানাবার জন্য।
এত কিছু সত্ত্বেও এই কুখ্যাত নাস্তিক রেহাই পায়নি। আল্লাহ তাআলা গুয়েভারার কলিজায় জাহান্নমের আগুন জ্বালানোর আগে দুনিয়াতেও তাকে চূর্ণ বির্চূণ করেছেন। যুদ্ধের সময় বলিভিয়ার আর্মিরা তাকে শুধু হত্যাই করেনি পরবর্তীতে তার দুই হাত কেটেও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তাই যে সমস্ত ভাইয়েরা না জেনে নাস্তিক গুয়েভারার ছবিযুক্ত ব্যাগ, শার্ট, টুপি ব্যবহার করেন তাদের সতর্ক করা দরকার। তাদের বোঝানো দরকার আমাদের মুসলিমদের শরীরে কোন নাস্তিকের ছবি থাকতে পারে না।
কমিউনিজম তথা সমাজতন্ত্রের জঘন্য ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এই ডকুমেন্টারিটি দেখতে পারেন। ডকুমেন্টারিটি কোন মুসলিমের বানানো নয়,তাদের নিজেদেরই বানানো।ভিডিও টি দেখুন;;
https://www.youtube.com/watch?v=3pzMHD0F4yQ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×