somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রীমতী বোরাক ও সহোদরাবৃন্দঃ ভাস্কর্য প্রদর্শনী

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জৈবিক কথোপকথন, ধাতব প্রকাশ

আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা- তার প্রিয় হাবিবকে তার বিশ্বজগত সম্পর্কে সম্যাক ধারনা দেবেন, তাকে সত্যের সন্ধান দেবেন। পরিচয় করিয়ে দিতে চান সত্যের সেই চরম রু্পের সাথে — যার অপর নাম পরমাত্মা বা পরম প্রজ্ঞা। যার মধ্যে বসত করে যাবতীয় বোধ আর জ্ঞান।

জিব্রাইলকে নির্দেশ দেওয়া হল, নবীজিকে নিয়ে সাত আসমান পেরিয়ে সরাসরি আল্লার দরবারে হাজির করার। একমাত্র বোরাকেরই ছিল অনন্ত কাল গড়িয়ে যাওয়া পল অনুপল সময়কে তার ক্ষিপ্রগতিতে হারিয়ে দেবার ক্ষমতা। হুকুম তামিল করার জন্য জিব্রাইল নবীজিকে নিয়ে আরোহন করলেন বোরাকে... এক এক করে সাত আসমান পেরিয়ে নবীজিকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আল্লাহর দরবারে। এই ছিল নবীজির সাত আসমান পেরিয়ে মেরাজে যাওয়ার কাহিনী।

এক দিকে আমাদেরই মত মানুষ, আমাদের নবীজি আর অন্যদিকে জ্ঞানের চরম প্রতীক হিসাবে পরম প্রজ্ঞা... সকল মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে মুহাম্মদ (সাঃ) ছুটে যাচ্ছেন অজ্ঞানতা থেকে আলোর দিকে। আর দ্রুতগামী বোরাক আমাদের সংযোগ ঘটিয়ে দিচ্ছে প্রজ্ঞা পারমিতার সাথে।

আমাদের কাছে বোরাক, তাই সেই ভ্রমনের প্রতীক, যা উন্মোচিত করে পরম সত্যকে। কারন সকল সত্য একমাত্র মানুষের মধ্য দিয়েই নাজিল হয়, একমাত্র মানুষই সত্যকে উন্মোচিত করতে পারে। মানুষের অস্তিত্বের বাইরে কোন সত্য, কোন জ্ঞানের অধিষ্ঠান হতে পারে না।

আমাদের লোকজ সংস্কৃতির ধারার উল্লেখযোগ্য পৌরানিক চরিত্র হিসাবে — রিক্সার পিছনে শিল্পীর তুলিতে আঁকা বা মনোহারী দোকানে ছবি হিসাবে ঝুলতে থাকা দুলদুল অথবা বোরাক আর তার সাথে আমাদের চিরচেনা মেলার টেঁপা পুতুল বা প্রতিমা তৈরির পাল শিল্পিদের দক্ষতার মিশেল... এই নিয়ে প্রদর্শনী শ্রীমতী বোরাক ও সহোদরাবৃন্দ... পুরাতন ঢাকার জনপ্রিয় শিল্প ও সংস্কৃতি নিয়ে এই সব দৈনন্দিন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকে উপজীব্য করেই নাসিমুল খবির ডিউকের ভাস্কর্য ও ড্রইং প্রদর্শনী আজ থেকে শুরু হয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটির গ্যালারী অফ ফাইন আর্টসএ।


শ্রীমতী বোরাক ১


শ্রীমতী বোরাক অথবা ঢাকেশ্বরী বেগম


গার্মেন্টস কন্যা


প্রজ্ঞা পারমিতা অথবা পাইন্নার মা


শ্রীমতী বোরাক ১


বুড়িগঙ্গা

ব্যাক্তিগত ভাবে ডিউকের সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে। মনে আছে, ডিউকের সাথে প্রথম পরিচয়ের সময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র আর ডিউক তখন স্কুলের সীমানাও পার হয় নাই। সে সময় থেকেই আমাদের বন্ধুত্বের শুরু, আমি আবার বলছি এটা ছিল বন্ধুত্ব। আমাদের দুজনের সম্পর্কের মধ্যে জেষ্ঠতা কোন ভিত্তি হিসাবে কখনই কাজ করে নাই এবং পরিচয়ের প্রথম দিন থেকেই আমি এবং ডিউক পরস্পরকে নাম ধরে ডাকি।

আসলে একটা দীর্ঘ সময় ধরে আমি আর ডিউক আর আমাদের অন্যান্য বন্ধুরা বেড়ে উঠছিলাম একসাথে, অনেকটা সহোদর ভাইএর মতো। আমাদের চিন্তা চেতনার ধরনকে ভাগাভাগি করে। ফলে ডিউকের বেড়ে ওঠা আর প্রাপ্তমনস্ক হয়ে উঠতে তার চিন্তার বদলের প্রক্রিয়ার সাথে আমি যুক্ত ছিলাম খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে। একই সঙ্গে আমরা প্রভাবিত করেছি পরস্পরকে, আবার পরস্পরকে খুঁজে পেয়েছি অন্যের মাঝে।

আগামী ৩১শে ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত চলতে থাকা এই প্রদর্শনী দেখার জন্য আমি সবাই কে আমন্ত্রন জানাতে চাই।


কথা বলছেন নাসিমুল খবির ডিউক

সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

নামঃ নাসিমুল খবির ডিউক
জন্মঃ ১৯৭৩, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বর্তমান অবস্থাঃ খন্ডকালীন শিক্ষক, ভাস্কর্য বিভাগ। ফাইন আর্ট ফ্যাকাল্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। খন্ডকালীন প্রভাষক শিল্পকলার ইতিহাস ও নন্দনতত্ব বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অফ ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, (ইউ ও ডি এ) ঢাকা।
প্রদর্শনীর শিরোনামঃ শ্রীমতী বোরাক ও সহোদরাবৃন্দ
প্রদর্শনীর স্থানঃ গ্যালারী অফ ফাইন আর্টস, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। ৫, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট রোড, নিমতলি, ঢাকা।

প্রদর্শনী চলবে আগামী বৃহস্পতিবার ৩১শে ডিসেম্বর, ২০০৯ পর্যন্ত। খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৬
১৭টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×