একুশে টিভির সুবাদে বদরগন্জে নারী নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা প্রথম দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম এটা সমাজের বিবেক কে নাড়া দেবে। দিয়েছেও তাই।
গতকাল ঘটনাটির ফলোআপ অনুস্ঠান দেখছিলাম। সেখানে স্থানীয় কিছু সংখ্যক মহিলা এবং একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘটনাটিকে তুচ্ছ বলে বিবেচনা করছেন। সেই মহিলাদের এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তিটির ঘটনাটিকে তুচ্ছ বিবেচনা করাটা আমার মনে হোলো একই অর্থে তারা বলেন নি।
মানুষে মানুষে পার্সেপশনের কি ভিন্নতা!
মহিলা হয়তো ভয়ে অথবা তার সচেতনাতার মাত্রার ভিত্তিতে মুল্যায়ন করেছেন আর প্রভাবশালী ব্যাক্তিটি করেছেন পলিটিকালি।
মহিলাটি বলেছেন " আসলে ঘটনাতো খুব ছোটো, কিন্ত টিভিতে তা খুব বড় করে দেখিয়েছেন"।
এখানে আমার মনে হচ্ছে গ্রামের এ জাতীয় ঘটনা যেন তাদের গা সহা। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তাদের চারপাশে বাস্তব জীবনের বড় পর্দায় এ জাতীয় ঘটনা দেখে অভ্যস্থ এই জনগোস্ঠি টিভির ছোট পর্দায় উঠে আসা এই ঘটনাকে ভিন্ন ভাবে দেখছেন।
আসলে স্হানীয় মহিলাদের অভিব্যাক্তিতে বোঝা গেছে প্রথমে তারা ভয়ে মুখ খুলে নি। যা খুবই স্হাভাবিক।এটা সচেতনতার অভাব নয় বরং পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার আলোকে সঠিক পদক্ষেপ, আমি হলেও তাই করতাম।
কিন্ত একটি টিভি ক্যামেরা এবং পুলিশের সামান্য পদক্ষেপ সেই ভয় ভেঙে দিতে পারে। তার প্রমান স্হানীয় জনগন এখন মুখ খুলছে , আর অপরাধীরা কারাগারে।
আমরা কেন আরো বৃহত্তর পর্যায়ে ছোটো ছোটো পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ভয় দুর করে অন্যায়ের প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার করতে পারি না ??
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৬