গত চার বছর ডিজিটাল ছেলেদের কাণ্ড পুরো জাতি অবলোকন করেছে। খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, টেণ্ডারবাজি এগুলোছিল তাদের রুটিনমাপিক কাজ।
আর এবার শাহবাগ মোড়ে জমায়েত হলো ডিজিটালের সাথে ডিজ্যুস প্রজন্ম। প্র্র্রথমে তারা ব্যাপকভাবে নিজেদের নির্দলীয় বলে পরিচয় দিলেও ক্রমান্বয়ে পুরো জাতি তাদের পরিচয় পেয়ে গেলো। কয়েকটি টকশো দেখলাম। যেখানে উপস্হাপক তাদের নির্দলীয় বলে পরিচয় দিলেও তাদের কথা ও খোড়া যুক্তিগুলো বারবার তাদের পরিচয় জানান দিচ্ছিলো। এই ডিজ্যুসদের পরিচয় একটু তুলে ধরার প্রয়োজন অনুভব করলাম। অবশ্য ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তাদের পরিচয় পেয়ে গেলো পুরো জাতি ।যাহোক পত্রপত্রিকা না, বাস্তব দেখা থেকে তাদের পরিচয় দিচ্ছি।
ঘুম ভাঙ্গে ১টার দিকে। তারপর বাথরুমে গমন এবং সেখানে বসেই সিগারেটের টান। পানি খরচ সেতো ঠাণ্ডা গরমের সাপেক্ষে। গোসল হয়তোবা সপ্তাহে একদিন।তাও আবার মাঝে মাঝে বাদ যায়। নিজেদের শরীরের পবিত্রতার দ্বায়িত্ব বডি স্প্রের উপর। প্রিয় পানীয় পেন্সিডাইল, আর গাঁজা মাথা ঠাণ্ডা রাখার টনিক।ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা অনেক আগেই করেছে, তবে দেশটা বাংলাদেশতো তাই ধর্ম বিরুদ্ধতার নাম দিয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষতা। সমাজে যে আরো মানুষ আছে সে বিষয়ে তারা পুরোপুরি বেখেয়াল। এজন্য সমাজের কোন সমস্যাই তাদের চোখে পড়ে না।আর প্রেমের বিষয়ে আসলেতো পুরোপুরি দেহসর্বস্ব। প্রায় সবাই একের অধিক প্রেম করে এবং সব প্রেমই বিয়ে বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক। তাদের এসবের বিরুদ্ধে যারা বলে তারা যে তাদের একনম্বর শত্রু হবে সে বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।আর এজন্যই সরকার সফলতার সহিত ডিজিটাল সাথে ডিজ্যুসদের নাটক মঞ্চস্হ করতে সক্ষম হয়েছে।আমি বলবনা সেখানে শুধু ডিজিটাল আর ডিজ্যুসরা ছিল বরং অনেক সাধারণ মানুষও সেখানে গিয়োছিল। এর অন্যতম কারণ সরকারের ইশারা চালিত তাদের মিডিয়াগুলোর ব্যাপক প্রচারণা, একুশের বই মেলা আর তাদের সাজানো নাটক স্বচক্ষে দেখার তাগিদে। আর সেজন্যই অনেক জ্ঞানী, ণ্ডণী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি সেই মঞ্চ থেকে দেশের আরো অনেক গুরুতর সমস্যাগুলো সেখানে তুলে ধরার জন্য বলল।কিন্তু অত্যন্ত সফলতার সহিত তারা তাদের পরিচয় তুলে ধরল। আর দেশবাসীর চিন্তে বাকী রইলনা এই নাটকের নির্দেশক, অভিনেতা আর কলাকৌশুলীদের। তাই আজ আমাদের আহবান সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে, পুলিশের পাহারা বসিয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত কোন নাটককে গণজাগরণ বলে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনার দুঃসাহস না দেখানোর। বরং নিজেদের পরিবর্তন করে সত্যিকারের সোনার মানুষ গড়ে যদি সকল প্রকার মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার ,প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ,আইনের শাসন ও দূর্নীতির উচ্ছেদের আন্দোলনের ডাক দেয় তবে কোনো মিডিয়ার আওয়াজ ছাড়া জাতি ঐ আন্দোলনের শরীক হবে। কারণ আজ জাতি বুঝতে সক্ষম হয়েছে শতমতবাদে বিভক্ত এই জাতির ঐকমত্যের ভিত্তি এই দাবীগুলোই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯