অসম তোমার চাওয়া, আমি হরিজন
মহান আত্মার অধিকারী
মহাত্মা গান্ধী । বিশাল হৃদয় তার
তাইতো আমরা কামার, কুমার, চন্ডাল
হয়েছি হরিজন, মানে হরির দাস।
আমি বাবাকে দেখেছি
কি সুঠাম দেহের অধিকারী
যখন লোহা পিঠাতেন
মনে হত শিবের সকল শক্তিই যেন
তার উপর ভর করেছে, তার বড়
ইচ্ছা ছিল মন্দিরে যাওয়ার
শিবের অর্চনা করার, তার
স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো
মন্দিরে জায়গা হলোনা তার।
আজ আবার তুমি এসেছ
জাতে তোলার পাত নিয়ে
শাস্ত্রে পড়নি, জাতে উঠা আমাদের নিষেধ।
মানলে শাস্ত্র ঠিক মতো মান
আর না হয় চুড়ে ফেল এসব উপাখ্যান।
আর চিৎকার দিয়ে বল
মানুষে মানুষে নেই ভেদাভেদ
আমরা সবাই সমান।
আসলে আমরা মূর্খজন, কিন্তুু মানুষ
তাইতো চিত্ত উদ্বেলিত হয়, করি শাস্ত্রের অপমান
আদি পিতা আদি মাতা সকলেরই একজন
কিন্তুু আমরা নিচ নেই কোন সম্মান
রাজনীতি..,করি তাকে প্রণাম
তিনিই ঠিক করেছেন আমাদের অবস্থান
আজ আবার তিনি দিচ্ছেন পরিত্রান।
গণতন্ত্র আজ এক অবিসংবাদিত ভগবান
তাইতো কিছু সময়ের জন্য পাই সম্মান
তেত্রিশ কোটি দেবদেবি তেত্রিশ কোটি ভগবান
জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলছে এর পরিসংখ্যান।
আমি মাকে দেখেছি
শাস্ত্রের প্রতি ভক্তিতে তিনি ছিলেন খুবই নিষ্ঠাবান
শাস্ত্রের অর্চনায় নিজেকে দিয়েছেন বির্সজন।
আর আমি মূর্খ একজন
শাস্ত্র জানিনা, অর্চনা করি না
আর রাজনীতিকে করি তিরোধান
মানবতার ধর্ম করে নিয়েছি বর্ম
আর একনিষ্টভাবে আমি হরিজন।।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১