সংবিধানের অনু- ৭ “ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ”। এখানে ক্ষমতার অর্থ রাষ্ট্র ক্ষমতা বা সোসিও-পলিটিকাল এবং সোসিও-ইকোনমিক ক্ষমতা। রাষ্ট্র ক্ষমতার দুটি অংশ যথা সোসিও-পলিটিকাল হলো আইন প্রণয়ন, আইন প্রয়োগ( নির্বাহী), আইন ভঙ্গের প্রতিকার ( বিচার) এবং সোসিও-ইকোনমিক হলো রাজস্ব, বাজেট, পরিকল্পনাসহ অর্থ-ব্যবস্থা। কারণ অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যতীত রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্থহীন।
উক্ত ক্ষমতার মালিক জনগণ তখনই হবে যখন তা জনগণের নেতৃত্বে, কতৃত্বে ও অংশগ্রহনে প্রয়োগ বা ব্যবহৃত হবে।
কিন্তু প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকে সামান্য কিছু লোকের হাতে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রায়নের ফলে শাসন ও শোষণ মূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পরিবর্তে অংশগ্রহনমূলক গণতন্ত্রের প্রবর্তন করা প্রয়োজন যেখানে ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন হবে। জনগণের অংশগ্রহন এবং অধিকতর প্রতিনিধিত্বের জন্য স্থানীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা অর্থাৎ স্থানীয় সংসদ, পরিষদ(নির্বাহী), বিচার এবং অর্থ ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। এই স্থানীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা স্তরে গঠন করতে হবে এবং বর্তমানের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।