দেখা না দেখা
আমার বুকের অতল গহ্বরে অনেক দেখা না দেখা
দিনরাত্রির কথা,জমা আছে অজস্র স্মৃতির রেখা ।
সেদিন তোমার চোখে নরম জোছনার আলোর খেলা দেখে
আমার চমক লেগে গেছিলো,‘বিচ্ছুরিত হৃদয়ের রোশনাই’
বললে তুমি । আর আমি
বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আনমনা হয়ে যাই
‘কেমন করে ছড়াও তুমি তোমার জ্যোতির্ময় অন্তর’!
আমিতো অনন্ত কাল মনের ব্যথার অব্যক্ততায়
নিজের মধ্যে গুটিসুটি মেরে নিজে
পড়ে থাকি শুধু,আত-প্রকাশের কৌশল কিছুই জানিনা।
একদিন তোমার দৃৃষ্টির অগ্নি বৃষ্টির প্রখর রোদ্দুরে
আমার বোজানো চোখের পাতা খুলে গেলে
নিজেকে সবিস্তারে প্রকাশের কায়দা-কানুন
গোপন ইঙ্গিত,শারিরিক ভাষা রপ্ত করে ফেলে।
এরপর আমার শাণিত দৃষ্টির সমুখে
একে একে তোমার শীলিত সৌন্দর্যের রুপময়তা
তোমর সহাস্য ক্লান্তিময় লম্বিত বিকেলের ছায়া
রহস্যময় রাত্রির আধার,আবছা জোসসনার মায়া
নতুন নতুন অবিশ্বাস্য অর্থে ধরা দেয়,অন্যরকম
অদ্ভুদ সত্যের জানান দিয়ে যায় বোধে।
কতো বিচিত্র সেইসব দিনরাত্রির রুপ-রঙ
আলোতে,আলো-আধারিতে সেই চকিত দেখা এবং
আরো অজস্র গভীর অন্ধকার ;আরো কতো না দেখা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৪