মুনীর চৌধুরী
‘কণ্ঠস্বর’ গোষ্ঠীর বলবান প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের উৎপীড়নের শিকার হয়ে আমি এই সভার সভাপতিত্ব করতে তিন ঘণ্টার জন্যে অঙ্গীকারবদ্ধ। কুক্ষণে রাজী হয়েছিলাম, কারণ আমার জানা উচিত ছিল যে ‘কণ্ঠস্বর’ গোষ্ঠীর স্বভাবের মধ্যে শ্রদ্ধা অন্যতম প্রশংসার বিষয় নয়। এবং তাদের বহু রচনায় আমি পড়েছি যে অধ্যাপকবর্গই তাদের কাছে সর্বাপেক্ষা অশ্রদ্ধেয়। তবু মনে মনে শুধু এইটুকু সাহস ছিল যে যেহেতু এই বয়সের তরুণ-সাহিত্যিকদের মধ্যে অনেকেই আমার ছাত্র এবং যেহেতু তাদের সাহচর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ্য করা আমার জন্যে বাধ্যতামূলক, সুতরাং এই সভায় তাদের সাহচয কয়েকঘণ্টা সহ্য করা দুঃসহ না—ও হতে পারে। আমি বিস্তৃততর প্রচার মাধ্যমে এ-কথা অনেকবার বলেছি যে আমি আশপাশের লেখকদের পাঠ্য অপাঠ্য অসংখ্য লেখা অনবরত পাঠ করে থাকি। বিশেষ করে ‘কণ্ঠস্বর’ গোষ্ঠীর লেখা আমি আগ্রহের সঙ্গে পড়েছি। পড়েছি এবং একটা কথা ভালোভাবে অনুধাবন করেছি যে, আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে যে নানারকম স্তরের উদ্ভব হচ্ছে, বিলয় হচ্ছে তার একটা স্পষ্ট সন্ধিসূত্র এদের পরিচয়ের মধ্যে নিহিত আছে। আমরা অর্থাৎ আমাদের বয়সী লোকেরা একটি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে বড় হবার পর অনেককাল ধরে আধিপত্য করে এসেছি এখানকার সম্ভাবনাশীল সাহিত্যের ওপর। এই তরুণদের মধ্যে একজন একবার আমাকে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আঘাত করে জানিয়ে দিয়েছিল যে আমার সমগ্র সাংস্কৃতিক চিন্তার মধ্যে একটা মস্তবড় গলদ না হলেও একটা পরস্পরবিরোধিতা আছে।. ... আরো পড়তে থিয়েটার পত্রিকা যেতে পারেন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬