বিশ্বে সবচেয়ে বোকা জাতি হলো
বাঙ্গালী জাতি। যে জাতি ভাষার জন্য জীবন দিতে পারে, কিন্তু ভাষার মুল্যায়ন করতে জানেনা।
আমার মতে ভাষা আন্দোলন ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
কারন একটি দেশে একাধিক ভাষা চলতে পারে। এতে কোন সমস্যাই নেই বরং সব গোষ্টিয় আপন আপন মাতৃভাষা নিয়ে চলতে পারে। আমাদের প্রতিবেশি ইন্ডিয়া
সেখানেওতো ভাষা নিয়ে কোন বিরোধ ছিলনা।
একেক প্রদেশে একেক ভাষা চালু আছে। আজ আমরা বাঙলায় কথা বলি আর রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দু হলেও বাঙ্গলাই কথা বলতাম।
এতে কোন সমস্যাই দেখা দিতনা
তখন অফিস আদালত,ভার্সিটি এবং রাষ্ট্রীয় কার্যক্ষেত্রে উর্দুর পাশাপাশি বাঙলার অবস্থান সমান থাকতো।
ফলে ধার করা ইংলিশ নিয়ে মাথা ঘামাতে হতো না।
বাঙালী জাতী অতি আবেগপ্রবণ জাতি অল্পতেই নিজ জান কুরবান করতে মাঠে নেমে পড়ে।
এখানে পাকি সরকার এবং আমাদের কিছু বুদ্ধিজিবিদের মাথায় গোঁড়ামি কাজ করেছিল
যার কারনে হাজারো প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে।
উর্দু যদি রাষ্ট্রীয় ভাষা হতো এবং পাশাপাশি বাংলাভাষার সমমুল্যায়ন থাকতো তাহলেই কিন্তু ল্যাঠা চুকে যেত।
আমাদের ভাষা যদি তুর্কিশ আলজেরিয়ান ও ফিলিপাইন ইত্যাদের ভাষার মত হতো তাহলেও আমি মনে করি ভাষা আন্দোলন সার্থক হতো।
কারন তারা নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
বরং কথা বলার জন্য ভিন্ন ভাষাচর্চা কে তারা তাদের সংস্কৃতির পরিপন্থি মনে করে।
অথচ আমরা আন্দোলন করে নিজেদের তাজা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে যে ভাষা অর্জন করেছি সেই ভাষার ব্যবহার দেখলে বড়ই আফসোস লাগে। আমরা বাংলাভাষা চর্চা করিনা বাংলা+ইংলিশ (বাংলিশ) চর্চা করি।
হাই হেলো গুড মর্নিং থ্যাংকইউ হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের অবদান।
আফসোস ভাষা আন্দোলনের চার দশক পেরিয়ে গেলেও
বাংলাভাষা তার খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসতে পারেনি।
এখনো মাঝে মাঝে অভিধানে এমন শব্দ পাই যার ব্যাবহার
আমাদের মুখ অভিধানে এখনো শুরু হয়নি।
যাইহোক দেশের জন্য মাতৃভাষার জন্য যারা দিয়েগেছে প্রাণ তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করি আল্লাহ তাদের কে জান্নাত করুন।