প্রতিদিন এভাবে মানুষ হত্যা হতে থাকলে
এক সময় ১৯৭১ রের হত্যাকাণ্ডও ছাড়িয়ে যাবে।
হত্যা, ধর্ষণ, হামলা মামলার অবস্থা দেখে মনে হয় দেশে আবারো যোদ্ধ শুরু হয়েছে।
এ যোদ্ধ ক্ষমতায় টিকে থাকার যোদ্ধ।
এ যোদ্ধ জনগন কে যিম্মি করে স্বাধীন
দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাবার যোদ্ধ।
কোন আন্দোলন হবে না।
বিক্ষোভ হবেনা
রাস্তায় নামলেই গুলি
এ দেশ ক্ষমতাবানদের।
১৯৭১ রের যোদ্ধে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল
হত্যার বিরুদ্ধে হত্যা ছিল।
আন্দোলনে রাজপথ ছিল উত্তপ্ত।
আজ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র নেই
হত্যা বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ নেই।
আমরা পাকিস্তানী শাষন ব্যবস্থা দেখিনি
ইতিহাস পড়ে জেনেছি।
ইতিহাসের বিবরণ অনুযায়ী ৪৬ বছর পরে
এসে আবারো পাকিস্তানী শাসন ব্যবস্থা দেখছি।
কেউ যদি আমাকে বলে ৭১ রের পুর্বে
পাকিস্তানী শাষন ব্যবস্থা কেমন ছিল?
আমি তাকে বলবো দীর্ঘ ইতিহাস না ঘেটে
বর্তমান আওয়ামী শাষন দেখো।
৭১ রের পাকিস্থান নাম পরিবর্তন করে
২০১৬ এর আওয়ামীলীগ হয়েছে।
পার্থক্য শুধু এতটুকু তখন মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারতো।
আর এখন প্রতিবাদ করতে পারেনা।
ভাষা আন্দোলনের কথায় বলি
সেদিন কয়জন নিহত হয়েছিল
সেই আন্দোলনে???
অথচ সেই হত্যার প্রতিবাদে গোটাবাংলা দাবানলের মত জ্বলে উঠেছিল।
আজ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদী মিছিলেই মানুষ হত্যা হয়
ছয়জন।
নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার প্রচার অনুযায়ী।
আড়ালে কতজন হত্যা হয়েছে কে জানে?
প্রহসনের নির্বাচনে মানুষ হত্যার রেকর্ড
পাকিস্থান কেউ হার মানায়।
পিল খানায় সেনা অফিসারদের গনহত্যা,
শাপলাচত্বরে অপারেশন সার্চ লাইট,
প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ধর্ষণ, ঘুম খুন
হামলা মামলা ৭১ রের পাকিস্থান কেই স্বরণ করিয়ে দেয়।
আমরা মুক্তি চাইইইইইইইইইই
আমরা পাকিস্থান থেকে স্বাধিনতা চাইইই