দ্যাশে সব মিলাইয়া শহীদ মিনার কয়টা, কইতে পারেন?
- ক্যান জিগাও?
- ক্যান জিগাই?
- সব কয়টা শহীদ মিনার আমার ভাইঙ্গা দিতে মন চায়!
নিশুতি রাইতে যখন পুরা দ্যাশ ঘুমে,
তখন একটা বুলডোজারে চইড়া দ্যাশের উপর থেইককা আরম্ভ কইরা
নীচ পর্যন্ত, সেই তেতুলীয়া-টেকনাফ সীমান্ত ছুইয়া,
ভাইঙ্গা মাটিতে মিলাইয়া দিমু সব শহীদ মিনার।
ওই মরার ইট সিমেন্ট সুরকির বেহেল্লা গাথন লাগবো না!
ওই বেহুদা ইট সিমেন্ট সুরকি
আমার কাছে কোন অর্থ রাখে না।
ভবিষ্যতেও কখনো রাখবো বইলা মনে হয় না।
আইজকা যখন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীনের মৃতু্যবার্ষিকীর
খবর ছাপন হয় 17 পৃষ্ঠায় কোন এক চিপায়,
তখন দ্যাশের সবগুলা শহীদ মিনার বড় অশ্লীল মনে হয়।
আপনাগো মনে হয় না?
ফুল লইয়া কয়েকদিন পরে হেইখানে জমায়েত হইবো
রাজাকার, খুনি আর ধর্ষকের দল।
কি শরম, কি ভীষন শরম!
এই আমরা দিতাছি শহীদগো উপযুক্ত সন্মান,
ভবিষ্যতেও দিমু এমনটাই চুক্তি শহীদ,
বীরশ্রেষ্ট আর ব্যাবাক মুক্তিযোদ্ধাগো লগে।
ভাইবেন না, আমি মাথা গরম করতাছি।
সব দেইখা শুইনা, ঠান্ডা মাথায়
এই নিশুতি রাইতেই
দ্যাশের সব কয়টা শহীদ মিনার আমার ভাইঙ্গা দিতে মন চায়।
আমি আবারো কই,
14ই ডিসেম্বরের এই নিশুতি রাইতে
16ই ডিসেম্বরের সূর্য বাংলার মাটিরে স্পর্শ করার আগে
দ্যাশের সব কয়টা শহীদ মিনার আমার ভাইঙ্গা দিতে মন চায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


