
ছবিঃ জলমোরগ
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি পাখিদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। আল্লাহর এ অনুপম সুন্দর সৃষ্টির প্রতি ছিল তার গভীর আকর্ষণ এবং অনুকম্পা। শুধু তাই নয়, আল্লাহর প্রত্যেক সৃষ্টির প্রতিই ছিল তার অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা।
একদিন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তাঁর সাহাবাদের নিয়ে বসে ইসলামকে মানবতার দুয়ারে পৌঁছে দেয়ার জন্য পরামর্শ করছিলেন। এমন সময় একজন সাহাবি একটি পাখির কয়েকটি বাচ্চা ধরে নিয়ে উপস্থিত হলেন। আর সেই সাহাবির মাথার ওপর দিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মা পাখিটি কিচিরমিচির করতে করতে উড়ে আসছিল।
নির্মম দৃশ্যটি সৃষ্টিকুলের মহান বন্ধু আল্লাহর নবী (সা.) -এর দৃষ্টিগোচর হতেই তাঁর অন্তর যেন অজানা ব্যথায় ব্যথিত হল। সন্তানহারা মা পাখিটির আহাজারি যেন নবীজীর কোমল হৃদয়ে বিষাক্ত তীরের মতো বিঁধল। সেই সাহাবা দয়ার নবীর কষ্ট পাওয়া চেহারা দেখেই বিষয়টি আঁচ করে নিলেন। নবী (সা.) সাহাবাকে পাখিটি রেখে আসার কথা বলতেই সাহাবা দ্রুত হেঁটে স্বস্থানে পাখির বাচ্চাগুলো রেখে আসেন।
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বলেন, আমি নবী করিম (সা.) -কে বলতে শুনেছি, ‘হতভাগ্য খারাপ প্রকৃতির লোকের দিল থেকে দয়া-করুণা কেড়ে নেয়া হয়।’ পাখির প্রতি নবী (সা.) -এর এ দরদমাখা ভালোবাসা আমাদের কী শিক্ষা দেয়??
আজ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায়, সিলেটে বিপন্ন প্রজাতির "জলমোরগ" শিকারের ঘটনা পড়ে একজন পাখি প্রেমি হিসেবে মনে দারুণ ব্যথা পেলাম। মানুষ কতোটা নিষ্ঠুর হলে শুধুমাত্র নিজের সখ পূরণের জন্য সুন্দর এই প্রাণীগুলো কে হত্যা করতে পারে??
পাখিদের প্রতি জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এদের বংশবৃদ্ধি এবং সংরক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য সৃষ্টি করে এদের হত্যা ও উত্ত্যক্তকারীদের যথাযথ শাস্তির বিধান কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি। শীতের মৌসুমে দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাখিরা থাকার জন্য অতিথি হয়ে আমাদের দেশে আসে, কিন্তু তাদের প্রতি প্রতিবেশী মানুষ চালায় নির্মম অত্যাচার আর এ কারণে কোনো পাখি প্রাণ হারায় আর কোনোটি চরম ভয় পেয়ে চলে যায় স্বদেশে যে কারণে প্রকৃতী হারায় তার সৌন্দর্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




