এই ৭ জানুয়ারিকে নিয়ে আকাশে বাতাসে "ফেলানি দিবসের" কথা শুনলাম। ফেসবুক ও ব্লগে অনেক এর লেখা পড়লাম।
যা হোক, বাংলাদেশ সরকার এর কিছু গুরত্তপূর্ণ ব্যক্তি আজ বিজিবি কার্যালয়ে ক্লোজ ডোর বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। বৈঠকের মূল বিষয় সীমান্ত হত্যা। বৈঠকে সিধান্ত হল, এখন থেকে আমাদের বিজিবিও ও ভারতীয় চোরাকারবারি/অনুপ্রবেশকারীদের গুলি করবে। বিএসএফ যদি কাউকে ধরে নিয়ে যায় তাহলে পাল্টা কিছু ভারতীয়ও ধরে আনা হবে। আমাদের সীমান্তবর্তী মানুষ গুলো যাতে কোন চোরাকারবারির সাথে যুক্ত না হয় সে জন্য তাদের সুদ মুক্ত ঋণের মাধ্যমে কর্মমুখী করে তোলা হবে। এছাড়াও আমাদের দেশি কোন মানুষকে যদি ভারতীয় চর হিসেবে পাওয়া যায় তাকে ওপেন ব্রাস ফায়ার করে মারা হবে।
গোপন খবরের ভিত্তিতে যা শুনলাম তা হল, এতে যদি ভারত সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের চাপ দিতে থাকে তাহলে গোপন ভাবে ভারতের সেভেন সিস্টারকে সহায়তা করা হবে। যাতে ভারত তার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এমন চাপে থাকে, আমাদের নিয়ে ভাবনার অবসরই পাবে না।
এদিকে বিভিন্ন দিক থেকে খবর আসতে লাগলো, জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ভারত যেভাবে সীমান্তে আগ্রাসী হতে শুরু করেছে তার প্রতিবাদে আমাদের তরুন সমাজ,মা-খালা ও গৃহকর্মীরা ভারতীয় চ্যানেল বন্ধে সরকারের কাছে একত্রে আবেদন নিয়ে আসছে। তাদের একটাই দাবী, ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হোক।
এ খবর পেতে না পেতেই শুনলাম, আগামী সপ্তাহ থেকে সঠিক নীতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত সকল ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ। এখুশিতে দেশে আনন্দ মিশিল বের হয়েছে। আমিও শরিক হলাম সে মিশিলে। এরই ভিতর কিছু দুষ্টু ছেলে আমার সামনে ধুম করে বাজি ফুটাল।
আমি জেগে উঠলাম। আসলে ব্লগ ও ফেসবুকে লেখা পড়ে ল্যাপটপে জেমসবন্ড এর Sky Fall মুভি দেখতে বসছিলাম। দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পরেছি খবর নেই। বন্ডের পটকা থুক্কু ব্যোম এর আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। কিন্তু দিবা স্বপ্নে যা দেখলাম তা সত্যি খুব ভাবাচ্ছে..................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


