-এবারও চাকরিটা পেলামনা রিতু
-- আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে রাসেল?
- আমাকে আরেকটু সময় দাও প্লিজ
-- আমি আর সময় দিতে পারছিনা, বড় দুলাভাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ছোট দুলাভাই মেজর। আর আমি সেখানে তোমাকে নিয়ে কিভাবে তাদের সামনে দাড়াই।
- তুমি এভাবে বলতে পারলে রিতু? এই চার বছরে কি আমার উপর এতটুকুও ভরসা হয়নি?
-- ভরসার ব্যাপারটা আলাদা রাসেল, প্লিজ বি প্র্যাকটিকাল
- তুমি আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে রিতু?
-- প্রথম প্রথম কষ্ট হবে তবে মানিয়ে নিতে হবে কিছু করার নেই।
- আমার কথাটা ভাবলেনা একবারও?
-- বাস্তবতা আমাকে আর ভাবতে দিচ্ছেনা রাসেল। বাবা যে ছেলেটাকে ঠিক করেছে ও আগামি সপ্তাহে আসছে। আমেরিকা থাকে ওখানে একটা হসপিটালের ডক্টর।
- তবে কি আজই আমাদের শেষ দেখা?
-- হুম রাসেল আজকেই। এই নাও ১০০ টাকা রেখে দাও আমার কাছে এখন আর নেই
কথাটি বলেই জোর পা চালিয়ে হেটে যেতে শুরু করল রিতু।
হঠাৎ পিছন থেকে রাসেল এসে ওর হাতটা চেপে ধরে।
-- কি ব্যাপার রাসেল? বলেছিলাম তো আমার কাছে এখন এর থেকে বেশি নেই
- আমি টাকা চাইতে আসিনি।আজ আমি চাকরি পেয়েছি রিতু। একটা ব্রিটিশ কম্পানিতে, ওরা আমাকে চীফ এক্সিকুটিভ অফিসার হিসেবে হায়ার করেছে, মান্থলি স্যালারি ৮০,০০০ টাকা, পারফর্মেন্স ভাল করলে আরো বাড়বে স্যালারি।
-- এই খুশির সংবাদটা তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন রাসেল?তুমি জানো আমি কত্ত খুশি হয়েছি? চলো এক্ষুণি বাসায় গিয়ে বাবাকে বলতে হবে।
- আমি চেয়েছিলাম তোমাকে সারপ্রাইজড করব কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস দেখো। আমি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেলাম। এটা আমার জন্যে জরুরি ছিল।
তারপর ওই ১০০ টাকার নোটটা রিতুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে পিছু ফিরে হেটে চলে রাসেল। রিতু রাসেলকে কেঁদে কেঁদে অনেক বার ডাকে। কিন্তু রাসেল শুনতে পায়নি, হয়ত শোনার চেষ্টাই করেনি......
-