এই দেশে গায়ের আর খুঁটির জোর থাকলে অনেক অযোগ্য লোকও যে যোগ্য হয়ে যায়, তার প্রমাণ মোস্তফা জব্বার কাগু। মুনির কি বোর্ড নকল করে বিজয় কি বোর্ড বানিয়েছেন অথচ তার এই নকল সফটওয়্যারকে খাওয়ানোর জন্য এমন কোন হীন কম্ম নেই যা তিনি করেননি। মার্কনি যেমন জগদীশ বোসের রেডিও শুধু নকল করে ক্ষ্যান্ত থাকেননি, পেটেন্টও করেছিল যাতে তিনি ছাড়া আর কেউ নকলবাজী চালাতে না পারে। কিন্তু যারা সত্যিকারের বিজ্ঞানপ্রেমী তারা কিন্তু ঠিকই স্যার জগদীশ চন্দ্র বোসকে রেডিওর জনক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন, সভ্য সমাজ দিক বা না দিক। তেমনি মোস্তফা জব্বারের বিজয় কি বোর্ড গত প্রায় দুই দশকে বাংলা টাইপিং এ কোন গতি আনতে পারেনি, একমাত্র কম্পোজের দোকান ছাড়া!! একটা সময় ছিল যখন আমরা সবাই ইংরেজীতে বাংলা লিখতাম। কিন্তু আজকে শিক্ষিত সমাজে বাংলায় টাইপিং তুমুল জনপ্রিয়। এর পেছনে মূলত দুটি সফটওয়্যারের অবদান। পিসিতে অভ্র এবং মোবাইলে রিদ্মিক। সব সভ্য জাতি নিজের ভাষায় লিখে অভ্যস্ত। এমনকি যে চীনের প্রায় সত্তর হাজার বর্ণমালা আছে, সেই তারাও নিজের ভাষায় টাইপ করে। আর আমাদের জব্বার কাকু এমন এক কি বোর্ড বানাইসে যে আইনস্টাইন মামাও পাগল হয়ে যেত কিছু টাইপ করতে গেলে। জব্বার কাকুর সেই শৃংখল থেকে বাংলা ভাষাকে মুক্ত করেছে অভ্র। আর অভ্রকে মোবাইলের উপযোগী করেছে রিদ্মিক। মোস্তফা কাকু অভ্রকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল, পারেনি।আজ মোস্তফা কাকুর শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে রিদ্মিকের ওপর। ওনার চক্রান্তে গুগল প্লে স্টোর থেকে রিদ্মিক সরিয়ে দিয়েছে। আসুন সবাই জব্বার কাকুর বিজয় কি বোর্ডকে সর্বনিম্ন রেটিং দিয়ে ভাষাকে মুক্ত করি।
বি।দ্র। আমি আমার এই পোস্ট রিদ্মিক দিয়ে লিখেছি। যারা সবসময় এন্ড্রয়েড সেট ইউস করেন কিন্তু বাংলা লিখতে পারছেন না তারা নেট থেকে রিদ্মিকের এপিকে ফাইল নামিয়ে সেটে ইন্সটল করুন। গুগল প্লে তে পাবেন না, এই পর্যন্ত এক লাখের উপরে ডাউনলোড করা এই অসাধারন এপটি আজ জব্বার কাকুর অভিযোগের কারনে গুগল সরিয়ে দিয়েছে।