somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাধবীর মৃত্যু

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত দুই দিন ধরে জ্বড়ে ভুগছি । ঘুম আসলেও ঠিক মত ঘুমাতে পারছিনা । ভোরের দিকে ঘুমানোর ব্যর্থ চেস্টা করে মাত্র উঠলাম । পুরো শরীর ব্যথা ।ডাক্তারদের উপর একটা ক্ষোভ থেকে গত দুই বছর আমি অষুধ খাইনা ।মন খারাপের আরেকটা দিন শুরু হল । দুই বছর ধরেই এমন যাচ্ছে । অথচ এই আমিই কখনো মন খারাপ করতে পারতামনা মাধবীর কারনে ।

মাধবী নিজে যেমন চঞ্চল ছিলো তেমন আমাকেও চঞ্চল করার চেস্টা করতো সবসময় । শেষ যেবার জ্বড় হয়েছিল তখন মাধবী আর আমি একসাথেই থাকতাম । সেদিন দেখেছিলাম কতটা ভালবাসা থাকলে এরকম একটা চঞ্চল মেয়ে তার ভালবাসার মানুষের সামান্য জ্বড়ে কিভাবে ভেঙ্গে পরে ।একটা মানবী একটা মানবকে কতটা ভালবাসতে পারে তা আমি এই মাধবীকে দেখেই শিখেছি ।

আট মাসের সংসার ছিল আমাদের ।এই সংসার বলতে সাধারন বাঙ্গালিদের সংসার নয় ।আমরা কেউ কাউকে বিয়ে করিনি ।কারন আমরা ভালবাসায় বিশ্বাস করতাম একটা স্বাক্ষরে নয় । চার বছর প্রেম আর আট মাসের সংসারে আমাদের একবারের জন্যেও মনোমানিল্য হয়নি । দুজনের বাবা-মা গ্রামে থাকতো বলে তারা কিছুই জানতোনা ।

মাঝে মাঝে মাধবী মাঝ রাতে খুব কান্না করতো ,যদি বাবা-মা মেনে না নেয় !মেনে না নেয়াটাই স্বাভাবিক ।আমাদের দেশে এখনো ভালবাসার থেকে ধর্মের মূল্য যে বেশি ।দুই ধর্মের দুই মানব মানবীর বিয়ে এই সমাজ এই সংসার কখনোই মেনে নেয় না ।ধর্মান্তরিত হলে মেনে নেয় জানি কিন্তু আমি বা মাধবী কেউই এটা করতে চাইনি কিন্তু একসাথে থাকতে চেয়েছি ।

সমাজ সংসার থেকে পালিয়ে আট মাস একসাথে থাকলেও সেই আট মাসকে আট বছর বা আশি বছর আমরা করতে পারিনি । আল্লাহ-ঈশ্বর-ভগবান বাঁচতে দেয়নি মাধবীকে । দুই ধর্মের দুই ঈশ্বরের বোধহয় পছন্দ হয়নি বিষয়টা যে এই দুইটি মানুষ ধর্মের ঊর্ধে গিয়ে একে অন্যকে ভালবেসেছে । হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম ডাক্তারও বাঁচাতে পারেনি । ডাক্তার যেহেতু বাঁচাতে পারেনি তাই আমি আর ডাক্তারের কাছে যাইনা ।

প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ভাবি মাধবীর কথা আর মনে করবোনা । কিন্তু ঘুম থেকে উঠে সেই মাধবীর মুখটাই চোখের সামনে ভেসে ওঠে । আর সারাদিন মন খারাপ ভাবটা থেকে যায় ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×