অস্থিরতার ভেতর দিয়ে পার হচ্ছে সময়,
ধৈর্য্যচুত্যি ঘটতে ঘটতে এখন;
এসে ঠেকেছে একেবারে তলানিতে।
নেই বললেও খুব একটা অত্যুক্তি হবে না!
ইস! যদি সময়গুলো সব এক করে
জমা দিতে পারতাম কোন ব্যাংক একাউন্টে,
প্রয়োজনমত ডেবিট/ক্রেডিট করে নিতে পারলে
ব্যস! ল্যাটা যেত চুকে।
কিন্তু কিছু সময়তো জমা করে রেখেছি
তোমার কাছেও,
কোথায় দেবে তা ফিরিয়ে
এখনতো তোমারই দেখা নেই।
জীবিকা ধারণের তাগিদ আছে
তাই চলছে মধ্যবিত্তের অফিস করা,
বাইরেরটা সেই কেতাদুরস্ত
আর আছে শুধু ইয়েস স্যার! জ্বী স্যার !! হয়ে গেছে স্যার !!!
চালিয়ে নেয়ার মত
গড়িয়ে নেয়া সময় চাকা,
ঐ যে বলে না, চলছে গাড়ী...
সেইরকম আর কি।
তারপরেও দেখা নেই তোমার
জমানো সময় ফিরিয়ে দিবে না,
ঠিক আছে, না হয় নাই দিলে;
যাও, আর দিতে হবে না।
একবারতো আসতেও পারো
কিন্তু আর তো এলে না,
কত দিন হয়ে গেল
ঢলে পড়া সূর্য দেখতে যাই না।
মাঠে যে ডানপিঠে ছেলেরা খেলা করে
দেখিনা কতকাল কত সময়,
হয় না এখন মাঠে বসে বাদামের খোসা ছাড়ানো
ধ্যাত! বিশ টাকার বাদামে অর্ধেকটাই নষ্ট।
সোনালী অতীত এভাবেই চলে যায়
নষ্ট আর ঘুনে ধরা কোন ব্ল্যাকহোলে,
আর বেড়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা সাথে মহামারীও
চলে গেল অহংকারে মোড়া কত রথী মহারথীও।
না, ভয় পেয়োনা এখনো আছি আমি
সময়ের হাত ধরে;
প্রহর গুনতে গুনতে ক্লান্ত
এখনো একিভাবে তোমার পথ চেয়ে।
আর কত! বলতে পার
পারবে কি বলতে?
এই পাগলাটে মন আর অস্থির সময়
কবে যাবে? কিভাবে যাবে??
~ না মানুষী জমিন (১৮/৩/২১)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮