শিল্পীর দৃষ্টিতে আউটার স্পেস
কসমস কী?
কসমসের ধারণাটা একটু জটিল। কসমস হল অস্তিত্বশীল সমস্ত শক্তি ও বস্তুর সমষ্টি যেখানে সমস্ত ঘটনা ঘটে। আসলে এতে বিশ্বজগতের সামগ্রিক রূপটিই প্রকাশ পায়। এজন্য বর্তমানে কসমস শব্দটিকে মহাবিশ্ব (Universe) এর সমার্থক শব্দ হিসাবেই ধরা হয়। অর্থাৎ আমাদের অস্তিত্বই এই কসমসের ভেতর। মহাবিশ্বের সমস্ত গ্যালাক্সি,নক্ষত্র,গ্রহ,নেবুলা,মহাজাগতিক সমস্ত কণা, ব্ল্যাক হোল এসবই কসমসের অন্তর্ভুক্ত।
কম্পিউটারে কসমসের কাল্পনিক চিত্র।
একটা উদাহরণ দেই ক্লিয়ার করার জন্যঃ
ধরুন পানির উপর কিছু পাতা ভেসে বেড়াচ্ছে আর কোন পাতার উপর রয়েছে একটি ব্যাঙ। পাশে দুটি হাঁস সাঁতার কাটছে। আপনি বলবেন ব্যাঙটি পাতার ওপর রয়েছে এবং পাতাটি রয়েছে পানির উপর। পাশের হাঁস দুটিও রয়েছে পানির উপর। অর্থাৎ হাস,পানি আর ব্যাঙ সবকিছুই ধারন করে রয়েছে পানি। কসমসও ঠিক একইভাবে ধারণ করে রয়েছে অস্তিত্বশীল সবকিছু। চলুন সেই কসমস থেকে একটু ঘুরে আসা যাক।
Helix Nebula
(নীহারিকা/nebula হল ধূলিকণা, হাইড্রোজেন গ্যাস এবং প্লাসমা দ্বারা গঠিত এক ধরণের আন্তঃনাক্ষত্রিক মেঘ। একসময় নীহারিকা ছিল ছায়াপথ সহ যে কোন ধরণের বিস্তৃত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর সাধারণ নাম যা আকাশগঙ্গার বাইরে অবস্থিত। যেমন:বর্তমানে উল্লেখিত এনড্রোমিডা ছায়াপথের পূর্ব নাম ছিল এনড্রোমিডা নীহারিকা।)
The Trifid Nebula
অবস্থান : পৃথিবী থেকে ৫২০০ আলোকবর্ষ দূরে।
Orion Nebula
অবস্থানঃ প্রায় ৪০ আলোকবর্ষব্যাপী বিস্তৃত কালপুরুষ তারকামন্ডলে
Crab Nebula
Elephant's Trunk nebula
The Giant Incubator in Eagle Nebula
Crescent Nebula
Betelgeuse নক্ষত্র
অবস্থানঃ কালপুরুষ তারকামন্ডল
হাবলের (Hubble) লেন্সে ধারণকৃত কিছু উজ্জ্বল নক্ষত্র।
আউটার স্পেস
এবার চলুন আমাদের সৌরজগৎ (Solar System) এর দু-একটা ছবি দেখি।
সূর্যের সবচেয়ে বড় সৌরকলঙ্ক যার তাপমাত্রা প্রায় ২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সেখানে সূর্যের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা ৫০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
সৌরঝলক (Solar Flare)
সূর্যের কম্পিউটারাইজড ছবি।
আমাদের প্রিয় পৃথিবী
সুবহানাল্লাহ। সত্যি আল্লাহর সৃষ্টির সৌন্দর্য বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
(স্যাটেলাইটে ধারণকৃত ছবিগুলোর কপিরাইট নাসা কর্তৃক সংরক্ষিত)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩২