ইংরাজী ২০১৫ সাল, কেমন গেল এই নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি চলছে-- বিভিন্ন কাগজে কলমে, লক্ষ করে দেখবেন যাঁরা লিখছেন তারা অধিকাংশই উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষ-- "বছর যায় বছর আসে গরিবের কি যায় আসে" গরিব গরিবই থাকে, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জন্য সরকারের কি ভূমিকা থাকা উচিত আর তারা কি ভূমিকাই বা পালন করেন ?
গত বছর অর্থাত ২০১৫ সালে ব্ঙ্গলা দেশে যে কয়জন ব্লগার বা মুক্তমনা মানুষ খুন হয়েছেন তার জন্য জনগনকে মাঠেময়দানে নেমে সরকারের কাছে দাবী করতে হয়ছে যে, খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু কেন ? দাবী করতে হবে কেন ? সরকারেরইতো এগিয়ে আসা দরকার, মানুষের সুরক্ষাদেয়াতো সরকারের কাজ।
বাঙ্গলাদেশে একের পর এক ব্লগারদের খুন করা হচ্ছে। এ খুনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, ধারাবাহিক ঘটনা। এ পর্যন্ত কেবল ব্লগ লিখে পরিচিতি পাওয়া এমন পাঁচ জন লোককে হত্যা করা হয়েছে, আছে আক্রমণের ঘটনা। যদিও অনেক আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সন্দেহভাজন কিছু লোককে আটক করেলও কারা কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পল্লবীতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীবকে। গেলো দুবছরে ৫ জন ব্লগারকে হত্যা করা হলেও বিচার হয়নি একটিরও। ২০১৩ সালে নিহত ব্লগার রাজিব হত্যা মামলা ঝুলছে আদালতে।সবগুলো ঘটনারই মূল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই পুলিশের কাছেও। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নিহত ব্লগারদের পরিবার।
তাহলে সরকারের কি ভূমিকা ? গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষ তার নিজের কথাটুকুও কি বলতে পারবেনা ?
একের পর এক ব্লগার খুন হলেও দেশের সরকারের এবং বিশ্বের কোন সরকারেরই বিকার নেই, নেই তদন্তে অগ্রগতি, নেই বিচার শুরু নিয়ে বক্তব্যও। অথচ তারা যা খেয়াল করেনা তা হলো এই খুন হয়ে যাওয়া, হতে যাওয়া লোকগুলো সব সময়েই প্রগতির পথের লড়াকু যোদ্ধা, এরা গোঁড়ামির বিরুদ্ধে স্রোতের বিপরিতে হলেও দাঁড়াতে জানে। আর যারা এদেরকে খুন করছে তারা কোনভাবেই যে কোন দেশেরই বর্তমান সরকারের সমর্থক বা ভোটার হিসেবে নিজেদের নাম লেখাবে না। কারণ এরা দল হিসেবে সরকারকেও ধর্মবিরোধী বলে মনে করে। তাই যতই অতি ধার্মিক কথা সরকারের মুখ থেকে বের হোক না কেন তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেনা, সুতরাং সব দেশের সরকারেরই সতর্ক ও সাবধান হবার সময় হয়েছে নইলে বিপদ অনিবার্য ।