তখনকার জামাতের মতো এখনকার নব্য জামাতীদেরও একই ভাষা, একই প্রতিক্রিয়াশীল যুক্তি, একই ভাবে বিদেশী প্রভুদের পদলেহন! এরপরও জামাতপন্থীরা দাবী করবে, রাজাকার-আলবদর, বাংলাদেশে হত্যা, ধর্ষন সম্পর্কিত প্রশ্নে এদের কোন দ্বায়িত্ব নেই? সুতরাং এরা ক্ষমা চাইবে না, উল্টো গোলাম আজমের গুনগান গাইবে, আর আমরা এদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সপ্ন দেখবো , এদের হাতে হাত ধরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করবো? তারপর বলবো „জাকাতুল্লা খায়ের"“। এত বেশী সুশীল কারো হতে ইচ্ছে হলে হতে পারেন, আমি হতে চাই না। নিজেকে যথেষ্ট যৌক্তিক ও রুচিবান বলেই জানি ও চারপাশে সেভাবেই পরিচিত।কিন্তু সুশীলতার নামে ক্লীব হতে চাইনা।
অন্যমতের মানুষকে মুহুর্তেই রাজাকার বলার পক্ষপাতিও নই। গালাগালি কখনো করিনি, গালাগালিকে সমর্থনও করি না। কিন্তু একটি মানুষের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় হতাশার প্রতিবাদ গালাগালি হয়ে বেরিয়ে আসে, তখন সে গালাগালির চেয়ে হতাশার দিকেই তাকাতে চেষ্টা করি। নারী অবমাননাকারী গালিগালাজ, ব্যক্তিগত আক্রমণের উদ্দেশ্যে গালিগালাজকে ঘৃনা করি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যারা সোচ্চার হয়েছেন, গালিবাজের তকমা এটে তাদেরকে একঘরে করার বিরুদ্ধে আমার দৃঢ় প্রতিবাদী অবস্থান সার্বক্ষনিক। আমি আমার সর্বশক্তি নিয়ে তাদেরকে গালাগালি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবো, কিন্তু ঘাতক ও সুবিধাবাদীর বর্বর কাঠগড়ায় এই প্রতিবাদীদের আসামী সাজানোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো বেশী শক্তিতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৪৮