"আমরা যারা প্রবাসী" তারাও একটা মানুষ, রহিম সাহেবের ডায়েরি থেকে
বিদেশে যা মানুষ গুলো আসে তাদের সাথে দেশে থাকা মানুষ গুলোর চিন্তার অনেক গড়মিল থাকে।
প্রথমতঃ তারা যে কষ্ট করে তা দেশের মানুষ বুঝতেই পারেনা বা বুঝতেই চায় না বা তারা কষ্ট করছে তা জেনেও অনেক বাবামা সেটাকে গ্রাহ্যও করে না।
দ্বিতীয়তঃ বেশির ভাগ বাবা মনে করে যে ভাবেই পারো তোমার কর্তব্য হল টাকা পাঠানো।
অভাগা প্রবাসী এতো কিছু করেও অনেক সময় তাদের কপালে দেশের মানুষের ভালবাসা জুটে না।
তাদের কে পরিণত করা হয় টাকা পাঠানোর মেশিন হিসেবে। কি করো না করো তাতে আমাদের কোনো যায় আসে না।
দেশে যে আরও ছেলে পেলে থাকে তাদের উপর একরকম প্রত্যাশা আর প্রবাসের সন্তান দের কাছে আর এক রকম প্রত্যাশা। এ কোন বিচার?
রহিম প্রবাসে থাকে অনেক দিন । বাবামার ১৭ জন সন্তান । আর বেচারা রহিম আর পাঁচ টা পুরুষের মতো যে কাজ পেয়েছে তাই করতে বাধ্য হয়েছে। বাবামার চাহিদা পুরনের জন্য। " টাকা পাঠাও " শহরে জায়গা রাখতে হবে। "টাকা পাঠাও" জমির পাশে জমি একজন বিক্রি করছে সেটা আমি রাখতে চাই । "টাকা পাঠাও" বিল কিনবো । চাহিদার শেষ নাই। তার পর বোনের বিয়ে দিতে হবে ফ্রিজ টিভি দেয়ার টাকা পাঠাও। তারপরে আছে সবার পড়ার খরচ দাও।
সেটাও শেষ নয় একটা একটা করে সবায় কে নিয়ে যাও তোমার কাছে সেখানে তাদের পড়া শুনার খরচ চালাও । প্রবাসের পড়াশুনা করার খরচ যে কত এবং বাড়ি ভাড়া কত তার নূন্যতম ধারনা নাই বেশির ভাগ বাংলাদেশি মানুষের ।
রহিমের মতো মানুষ গুলোর প্রশ্ন, তাদের বাবামার কাছে , সন্তান নেয়ের ব্যাপারে যদি সাবধানতা অবলম্বন করতো তা হলে "বাবার দায়িত্ব" সন্তানদের নিতে হতো না।
এক গাদা ছেলে পেলে নিয়ে একজন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিবে আর তাদের প্রবাসী সন্তান দের কলুর বলদের মতো ঘানি টেনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাবার জন্ম দেয়া ভাই বোন দের মানুষ করতে হবে ,
এ কোন বিচার?
একজন মানুষ তার ইনকাম দিয়ে যে কয়জন সন্তান পালতে পারবে, 'বাবারা' সে কয়জন সন্তান নিয়ে ক্ষান্ত দাও প্রবাসীদের ।
বুঝতে শেখো তাদের কষ্ট।
বিদেশে থাকলে একটা সফট কর্নার মনের মধ্যে জেগে উঠে প্রিয়জনদের জন্য । জান মেরে কষ্ট করা টাকা দিয়ে যতদূর পারে কিছু একটা করতে চেষ্টা করে তাদের জন্য। আর হ্যাঁ আর সেই দুর্বলতা টিকে ব্যাবহার করে দেশের প্রিয় জোন রা ।
প্রবাস জীবন অনেক কষ্টের । কতটা বুঝে তা দেশের রেখে আসা মানুষ রা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



