somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাবি-জাবিঃ এ্যালিয়্যান হিসাবে এক বছর

০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



Click This Link

অগাষ্ট 12, 2008 by naushadzaman
হাবি-জাবিঃ এ্যালিয়্যান হিসাবে এক বছর



এ্যালিয়্যান শব্দটা শুনলে যেই অর্থটা মাথাই আসে, সেইটা হল এ্যালিয়্যান, মানে কোন একটা কিছু এই দুনিয়ার বাইরের। কিন্তু এই যুক্তরাষ্ট্রে আসার সময় আমাদের কিছু ফর্ম ফিলাপ করতে হয় এ্যালিয়্যান হিসাবে। এবং এর পরে কেউ যদি ভুলে যায় যে সে একটা এ্যালিয়্যান, প্রতি বছর ট্যাক্স এর সময় তাকে মনে করাই দেয়া হবে যে সে অাসলে এ্যালিয়্যান। যদিও ৫ বছরের আধিক সময় থাকলে, ট্যাক্স এর হিসাবে সে নাগরিক কিন্তু এমনি আবার এ্যালিয়্যান! মানে ফাইজলামির শেষ নাই।



কিন্তু এই এক বছর “এ্যালিয়্যান” হিসাবে থাকলেও নিজে কে কোন দিন “এ্যালিয়্যান” মনে হয় নাই। শুধু আমি না, আমার জানা মতে, যে এই দেশে এসেছে, তার একি মন্তব্যই হবে। আমার হইত এই ধারনা আরো বেশি, কারন আমার জ্ঞ্যান বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটা জার্মান কম্পানিতে সীমাবদ্ধ। চাকরিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এ আসলে বাইরের মানুষই এত বেশি, দেখে মনে হই এ্যালিয়্যানদেরই রাজত্ব। আমি এই গ্রীষ্মে একটা জার্মান কম্পানিতে ইন্টারনশিপ করেছি এবং সেই খানে হাতে গুনা কয়েকজন আমেরিকান। আর আমার একটা বন্ধু ইন্টেল এ ইন্টারনশিপ করছে, সে বেশ মজার একটা গল্প বলছিল সেইদিন। আমার সেই বন্ধু, তার আরেক বন্ধুর জন্য ইন্টেল এর লাউন্জ এ অপেক্ষা করছিল। তখন সে বসে বসে মানুশ গুন্ছিল এবং একশজন পর্যন্ত গণনার পরে দেখল, ৭৭ জন ই এশিয়া বংশৌদ্ভূত। আসলেই এ্যালিয়্যানদেরই রাজত্ব! সিলিকন ভ্যালি তে অধিকাংশ কম্পানি এরই একি অবস্থা। কম্পানিগুলার মানুষগুলা আসে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে, সুতরাং, অনুপাত তা সেই খানেত্ত অনেকটা একি রকম। যদিও র্যাঙকিং এর একদম উপরের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ হইত অধিকাংশই আমেরিকান থাকে, কিন্তু বাকি অনেক গুলোতে আমেরিকানরা আসলে সংখ্যাগুরু না। অন্ত্যত আমার মাত্র এক বছর এর অভিজ্ঞতা থেকে তাই ই মনে হয়েছে। ভাল দিকটা হল, এই কারনে এ্যালিয়্যান হয়েও নিজেকে মাথায় সিং ওয়ালা এ্যালিয়্যান মনে হয় না, কারণ অধিকাংশই এ্যালিয়্যান।



অারেকটা ব্যাপার হলো, এই দেশ টার জন্ম অাসলে এ্যালিয়্যান দেরই নিয়ে। অাদিবাশী, মানে অাসল অামেরিকানদের দেখা বড় ভাগ্যের ব্যাপার। কেউ হয়ত পাচ পুরুষ অাগে এ্যালিয়্যান ছিল, কেউ বিশ পুরুষ। সুতরাং সবাই এই এ্যালিয়্যান দের খুব সহজভাবে গ্রহন করে নিতে পারে। যদিও এই চিত্রটা বিশ্ববিদ্যালয়, অাইটি কম্পানি, বড় শহরে অনেক স্বাভাবিক হলেও, ছোট শহর অথবা মাঝখানের স্টেট গুলোতে শুনেছি বিপরীত চিত্র।



যাই হোক, এই এক বছর পর অামাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, এই এক বছরে অামার সব থেকে কি বেশি ভালো লেগেছে, প্রথমটা অামি সাথে সাথেই বলতে পারবো কিন্ত এর পরেরগুলা ক্রমানুসারে বলতে হয়ত বেশ সময়ই লাগবে। অার প্রথমটা হল এই খানের খাওয়া দাওয়া। অামেরিকার খাওয়া দাওয়া বলতে অামাদের অধিকাংশ এরই ধারণা হচ্ছে ম্যাকডোনাল্ডস, কেএফসি, এইগুলো। কিন্তু এই খানে অাসলে বুঝা যাই এই গুলো থেকে অনেক ভালো খাওয়া অাছে এই খানে, অার সেই টা হল সব দেশের খাবার। এই খানে বড় শহর গুলোতে, অনেক দেশের বংশৌদ্ভূত মানুষ থাকার জন্য অনেক দেশের খাওয়া পাওয়া যায়। নিউ ইয়র্ক, টরোন্টোর মতো বড় শহরে হয়তো যেকোন দেশের খাবার পাওয়া যাবে এবং খুব সহজে। কিন্তু মোটামুটি শহরেও অনেক দেশের খাওয়া পাওয়া যায় এবং অন্যান্য খাবারের দামেই। অবশ্যই এখানের শিক্ষা, বিভিন্ন দেশের বন্ধু, সব কিছুই অামার জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা, কিন্তু খাবারটা নির্দ্বিধায় অামি সবথেকে বেশি উপভোগ করেছি এই এক বছর!



নওশাদ

১২ অগাষ্ট ২০০৮

পালো অাল্টো, ক্যালিফোর্নিয়া





ব্যবহার যোগ্য বাংলা মনে করতে পারিনিঃ ফর্ম ফিলাপ, র্যাঙকিং



যে সব শব্দ নিয়ে সন্দেহ আছেঃ বংশৌদ্ভূত



অনেক দিন পরে ব্যবহার করলামঃ নাগরিক, গ্রীষ্ম
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×