“আমি তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি”... “এটাই শেষ পরীক্ষা না”... “একটা পরীক্ষা লাইফ চেঞ্জ করতে পারেনা” ... “মন খারাপ করনা”... “কেদে কি হবে?”... “বাদ দাও” “তুমি ওদের চেয়ে মেধাবী কম না। "জীবনে আরো অনেক পরীক্ষা আসবে”...
...
মিথ্যা কথা। আপনে তার মনের অবস্থা বুঝতে পারছেন না... ... আপনে তার মনের অবস্থা বুঝতে পারবেন যদি আপনে ছেলেটার জায়গায় থাকতেন। হয়ত শুধু মাত্র কল্পনা করতে পারছেন... আপনার কাছে একটা পরীক্ষা কিছুনা, ছেলেটা বা মেয়েটার কাছে এই পরীক্ষা টা অনেক কিছু... কেদে কি লাভ হবে? হ্যা কেদে লাভ হবে... ছেলেটা কে কাদতে দিন... যতক্ষন মন চায় তাকে কাদতে দিন। কেদে সে চোখ ফুলিয়ে তুলুক...
---
“দোস্ত, আমরা সবাই এ প্লাস পেয়েছি... তোর যে কি হল!” “ভাবি, আমার মেয়ে টা এ প্লাস পেয়েছে, আমরা জানতাম আমাদের মেয়ে এ প্লাস পাবেই... আপনার ছেলে টা যে কি করল!!”... হ্যা, এই “কি হল”, “কি করল” এই “কি” শব্দটার ওজন কতটুকু, কত বিশাল হতাশা এটা শুধু সেই বুঝবে... সে কাদতে চাচ্ছে তাকে কাদতে দিন, সে একা থাকতে চাচ্ছে তাকে একা থাকতে দিন... তার চোখের পানিতে তার কষ্ট ডুবে যাক... তাকে ভাবতেদিন কেন সে অযথা ফেসবুকে থেকেছে, কেন সে গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ঝগড়া করে খায়নি পড়ে নি... তাকে নিজেকে বুঝতে দিন ভুল গুলো... দুইদিন পর সে এসে বলবে,
...“আম্মু আর কখন ও আমার জন্য তোমাকে কাদতে হবে না,কথা দিচ্ছি”...
... “দিদি, এবার দেখিস এইচএসসি তে আমি প্রথমে তোকে মিষ্টি খাওয়াবো”...
“বাবা, যে টাকা মিষ্টি আজ মিষ্টি কিনতে রেখেছিলে, এই টাকা ২ বছর পর্যন্ত আলমারিতে উঠিয়ে রাখ।... তখন মিষ্টি কিনতে অনেক টাকা লাগবে... এটা ব্যাকয়াপ দেবে”...
---
সে কাঁদতে চাচ্ছে, তাকে কাঁদার সময় দিন... সে একা থাকতে চাচ্ছে, তাকে কিছুক্ষন একা থাকতে দিন... হয়ত এটাই তার জন্য শেষ একা থাকা,হয়ত এটাই তার শেষ কাঁদা…