মরে গিয়েও শান্তিতে নেই বেচারী!
সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তনুকে নিয়ে আর লিখবোনা।
কিন্তু ছবিটি দেখার পর চোখদুটো জলে চলচল করতে বাধ্য হলো!
মানুষ মরে যাওয়ার পর এভাবে অবমূল্যায়ন করা হয় কোন ধর্মে?
একটি ধর্মে দেখেছি মরার পর পোড়ানোর সময় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়!
আমার বেশ কয়েকটি হিন্দুবন্ধু আছে, যারা এটাকে অমানবিক বলেছে।
একজনতো এটাও বলেছে, আমি আমার মাকে পোড়াতে দিবনা,
সম্মানের সঙ্গে মাটি দিব, কাউকে আঘাত করার সুযোগ দিবনা।
এবার আসুন।
এই ছবিটি কি বলে?
মনে হচ্ছে বিরক্তিকর কিছু টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে!
আমাদের দেশে একটি মসজিদে কিছু থাকুক আর না থাকুক,
অন্তত একটি খাটিয়া রয়েছে, মৃতব্যক্তির দাফনের জন্য।
স্থানীয় মসজিদের খাটিয়া ব্যবহার করলে কে বাধা দিত?
বা সিআইডি কি সঙ্গে করে একটি কফিন না হোক অন্তত একটি কাঠের বাক্সও নিতে পারেনি?
আমি এনিয়ে রাজনীতি করা পছন্দ করিনা,
কেউ আমাকে টাকাও দেয়নি এনিয়ে লিখতে।
যদিও এদেশে চুপ থাকাই সবচেয়ে শ্রেয়।
শুধু মানুষ হিসেবে, একটি দায়িত্ববোধ জাগলো তাই লিখলাম।
দেশে মানুষ খুন হয়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হাতের নাগালে থাকার পরও
প্রথমবার যখন ময়না তদন্ত করা হয় তখন কেন তা সম্পূর্ণ করা হয়না?
এজাতীর কর্নধারদের নিকট আমার এই প্রশ্ন!
কেন দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করার জন্য মৃতব্যক্তির লাশ উত্তোলন করার দরকার হয়?
মৃত ব্যক্তির আত্নাদের অভিশাপ নেওয়া কি খুবই প্রয়োজন আমাদের!
নাকি আমরা বারবার হাফ ছেড়ে বেঁচে যাই বলে?
ভূমিকম্প আমাদেরকে বারবার শুধু কাঁপিয়েই দিয়ে যায়।
এটা যাষ্ট ওয়ার্নিং!!!
বড় মাপের একটি ভূমিকম্প হলে কি হবে এদেশের কারো ধারনা আছে?
অবশ্য কেউ আবার একথাও বলে, সবাই মরে যাক আমি বাঁচলেই হয়!!
সত্যি কথা হলো এধরনের সেলফিশরা সবার আগে মরে!!
আল্লাহ সবাইকে বুঝার জ্ঞান দান করুন। আমীন