somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নয়ন বিন বাহার
তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

জীবনের মিনিং বা উদ্দেশ্য কী?

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনের মিনিং বা অর্থ কী?

জীবনের উদ্দেশ্য কী?

এই বহুল চর্চিত প্রশ্নগুলো প্রতিটি মানুষকেই ভাবায়।
প্রত্যেকেই এর উত্তর খোঁজে।
এই উত্তরগুলো কেমন?

আপনার নিজের কাছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আছে?
আছে। তবে বড্ড গোলমেলে, বড্ড গোঁজামিলে ভরা!

এই গোলমেলে বা গোঁজামিলের যথেষ্ঠ কারণ আছে। এই বহুবিদ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘সামগ্রিক জীবনকে’ একটা মাত্র শব্দে বা একটা মাত্র বাক্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করা।

পৃথিবীর সময়ের গতিতে মানব জীবন নেহায়েত ছোট নয়। এই বিশাল মানব জীবনকে শুধুমাত্র একটা শব্দে বা একটা বাক্যে প্রকাশ করতে চাওয়াটা নিতান্ত বোকাী ছাড়া আর কিছু নয়!

প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটা দিনেই জীবনের নতুন নতুন মিনিং তৈরী হয়; নতুন নতুন উদ্দেশ্য গঠিত হয়। অর্থাৎ একটা মাত্র মিনিং বা একটা মাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে মানব জীবন অতিবাহিত করা অসম্ভব!

যেকোনো মিনিং বা উদ্দেশ্যের একটা লিমিটেশন থাকে।

ধরুন, আপনি গ্রামে থাকেন। ঢাকায় যাচ্ছেন। একজন প্রশ্ন করলো কী উদ্দেশ্যে ঢাকায় যাচ্ছেন? বললেন, চাকরীর উদ্দেশ্যে বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বা যে কোনো একটা কাজের কথা বললেন। এর পরে প্রশ্ন এলো, কবে ফিরবেন? বললেন, চার দিন পর ফিরবো।

তার মানে এখানে একটা উদ্দেশ্য ছিলো, আর সে উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার পরে আপনি ফিরে আসবেন। অর্থাৎ উদ্দেশ্য শেষ!

তেমনি মিনিংও একটা সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার পরে থেমে যায়।

ধরুন, পেন মানে কী? বললেন, কলম। এখানেই শেষ। পরে একটা প্রশ্ন করলেন, কলম দিয়ে কী হয়? তখন এই প্রশ্ন দ্বারা আর মিনিং বোঝায় না।

তার মানে মিনিং বা উদ্দেশ্যকে খুব সহজেই সংজ্ঞায়িত করা যায়।

কিন্তু যখন এই প্রশ্নগুলো মানব জীবন নিয়ে করা হয় তখন আর সংজ্ঞায়িত করা যায় না।

ধরুন, একজন মানুষ তার উদ্দেশ্য হলো অনেক টাকার মালীক হওয়া। কত টাকা? ধরুন, পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই লোক যদি পাঁচ হাজার কোটি টাকার মালীক হয় তবে আপনার কী ধারণা? উনি এরপরে টাকা ইনকাম করা ছেড়ে দিবে? ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দিবে? কেনো দিবে না? উনার উদ্দেশ্যতো পূরণ হয়েছে, নয় কী? পাঁচ হাজার কোটি টাকার মালীক হতে চেয়েছে, হয়েছে, আর কী?
বাস্তবতা হলো উনি কিছুই ছাড়বেন না। এ জগতে এমন কেউ কখনো করেনি।

তাহলে এখানে ঐ লোকের উদ্দেশ্য আসলে কী ছিলো?

প্রাথমিক পর্যায়ে ঐ লোকের উদ্দেশ্য ছিলো পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় করা। তবে মাঝপথে বা শেষ দিকে এসে উনার উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন উদ্দেশ্য তৈরী হয়েছে।

তেমনি, জ্ঞান অর্জন উদ্দেশ্য?
জ্ঞান অর্জন করে শেষ করতে পারবেন? এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
মানব সেবা উদ্দেশ্য?
কয়জন মানুষের সেবা করবেন? কী ধরনের সেবা করবেন? মানব সেবা করতে হলে অর্থ লাগবে, স্বাস্থ্য লাগবে, এগুলোতো অর্জন করতে হবে। আবার নতুন উদ্দেশ্য...

অর্থাৎ প্রতিনিয়তই মানব জীবনের নতুন নতুন উদ্দেশ্য তৈরী হয় নতুন নতুন মিনিং তৈরী হয়।

আসলে মানব জীবনের আল্টিমেট মিনিং নেই বা আল্টিমেট উদ্দেশ্য নেই।

রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন, দেখলেন খুব সুন্দর একটা প্রজাপতি রঙবেরঙের পাখা মেলে কী সুন্দর ফুলে ফুলে উড়ে যাচ্ছে। আপনি প্রজাপতির উড়ে যাওয়া দেখলেন। মুগ্ধ হলেন। আপনার দেহে, মনে এক অন্যরকম পুলক বা প্রশান্তি অনুভব হলো। এই আপাত ক্ষণস্থায়ী একটা সুখ যদি আপনি অনুভব করেন তবে এটাই হয়তো জীবনের মিনিং!

মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা আপনার আছে, আপনি মুগ্ধ হলেন। সুন্দর প্রজাপতিটাকে ধরে আপনি প্রজাপতির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারতেন, কিন্তু আপনি তা করলেন না। এই যে ক্ষমতার প্রয়োগ করলেন না, এটাই হয়তো জীবনের মিনিং!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৪
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×