বাঙ্গালির নিকট ইতিহাসে না খায়া থাকা, খাবারের অভাব তীব্রভাবে ফিল করা, এ্যাভেইলেবল মাংসের স্বাদ নিতে না পারা, যখন তখন স্পাইসি খাবার খেতে না পাওয়ার বেদনা ইত্যাদি ছিলো একসময়।
গত দেড় দশকে এসব ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। মানুষের হাতে দু'পয়সা এসেছে। গরীবের হাতে পয়সা এলে সে প্রথমে কী করবে? প্রথমেই পেট পুরে খাবে। ইচ্ছামতো খাবে।
এখন হাতে দুপয়সা আসার কল্যানে খাওয়াটা একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এইযে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ খাবারের তীব্র অভাববোধ করেছিল, ইচ্ছামতো খাইতে না পারার আক্ষেপ ছিল, সেটা এখন কিছুটা পুষিয়ে নিচ্ছে।
যার দরুন ফুটপাত থেকে শুরুকরে জাতপাতের উর্দ্ধে উঠে রুপটপ ইত্যাদি জায়গায় অজায়গায় শুধু খাবারের দোকান আর খাবারের দোকান।
এখন মানুষের অন্যতম একটা হবি হলো খাওয়া আর দাওয়া!
বিয়ে বাড়ীতে গিয়ে মাংসের টুকরোর জন্য মারামারি থেকে শুরু করে খুন খারাবির ইতিহাস হাল আমলেরই ইতিহাস।
হুজুগপ্রিয় জাতির এ এক অন্য লেভেলের হুজুগ। আর এ হুজুগের কল্যানে হাসপাতাল ব্যবসা তুঙ্গে। মেডিসিন ব্যবসার রমরমা!
চিকিৎসার জন্য দেশ বিদেশ এখন হাতের মোয়া!
আশা করি আস্তে আস্তে এ হুজুগ কমবে!! মানুষ সচেতন হবে।
পরিশেষে বলব,'সাবধানে খাবেন'। খাইতে যায়া যদি ফিরতে না পারেন, তো এই খাওনের কী দাম???
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬