তুমি আর আমি এক চিরায়ত অভ্যাসের বহিঃপ্রকাশ।
অভ্যাসে দুঃখ লাগভ হলেও,
কস্টরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে প্রস্তুতি নেয় পরবর্তী নতুন খতিয়ানের।
নগরে সাধু প্রবেশে বাঁধা নেই, তবে,
বাটে পড়ে নিজেকে পাগল সাজাতে কয়জনে পারে!
যে নদী শুকিয়ে আসে, সে কি জানে জলের গন্তব্য?
মহাজনের কাছে বাধা পড়ে যে মাঝি হাল ছেড়ে বেহাল হয়েছে,
তার কাছে শুকতারার গল্প কেমন লাগে?
দীর্ঘ ক্লান্তিকর গল্প শোনার পরে ভিখারী বুঝতে পারে,
একটা পুঁইয়ের লতা দুর্দিনের ভরসা হতে পারে, পারে কি?
এসব আলাপ আমাদের মাঝে আর হয় না।
আমরা যৌথ ব্যাবসার আইন মেনে আমাদের রোজকার সম্পর্কটাকে
দারুন সরলীকরণ করতে পেরেছি।
রোজ, খাড়া বড়ি থোড়; থোড় বড়ি খাড়া!
জলের সমুদ্রে ঢেউ খেললেও বাতাসের সমুদ্রে কী হয় তার আলোচনা
মুলতবী রেখে আমরা পারষ্পরিক চুক্তি নামা নিয়ে মনোযোগী হই।
চুক্তিপত্রের এক্সপায়ারী ডেইট খুঁজে না পাওয়ার ব্যার্থতা মেনে নিয়ে
অপেক্ষায় থাকি এক নতুন সকালের।
সবদিন সকাল আসে না, কখনো কখনো সকাল এত দেরী করে,
দুপুর গড়িয়ে ফের রাত নামে,
তবুও আমরা চুক্তিপত্র হাতে নিয়ে সকালের অপেক্ষায় থাকি।
সকাল না হওয়াটাকে যখন অভ্যাসে নিয়েছি,
তখন বুঝতে পারি, কষ্টরা বড্ড অভিমান ভাঁজে, তারা বড্ড সজীব!